সৃষ্টির আঠার হাজার আলম হতেই আদম সৃষ্টিতে এলেন।
সৃষ্টির আঠার হাজার আলম হতেই তো আদম বাছাই হয়ে সৃষ্টিতে এলেন। আদিতে এক থাকলেও এক একটি পদার্থ ও প্রাণী স্বতন্ত্র প্রকৃতির অবস্থার আবর্ত হতে স্বতন্ত্র ও অন্যান্য অবস্থান্তরীণ আবর্তে পড়ে তার ধারা হতে একদিন মানুষের উদ্ভব সম্ভব হয়ে উঠলো। স্বয়ং আল্লাহ যার মনে স্থান করার সঙ্গে ধারণার উৎপত্তি হল অন্য প্রাণীতে এরুপ হয়নি, কারণ এই বিকাশের ধারার পিছে আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া আর কিছুরই সজ্ঞান বা সচেতন ইচ্ছা ছিল না।
অথচ আল্লাহপাক যেখানে সকলের সক্রিয়তার খেলা দেখতে মশগুল শেষ প্রান্তে আদম চেহারায় আমাণত বসে গিয়ে সেখানে এমনই ধারণার জন্ম নিল সেখানে মূল স্রষ্টা নিজে আসন পেতে বসলেন। মুমিনের আরশ আল্লাহর আরশ, লক্ষ করবেন কোন মুসলমানের হৃদয় আল্লাহর আরশ বলা হয়নি-কারণ মুসলমান সবাই হতে পারে কিন্তু মোমিন সবাই হতে পারে না। মোমিনের হৃদয় যখন আল্লাহর আরশ হয়ে যায় তাই আদি মানব আদম হয়ে গেলেন আল্লাহর খলিফা বা স্থলাবর্তী।
নূরনবী মোহাম্মদ (সা:) তার আহলে বাইয়াত অর্থাৎ আলী, ফাতেমা, হাসান, হোসাইন(আ:) সকলেই ঐ একই। তাদের হতে মৌলিক নূরানী পঞ্চকের উদ্ভবে যে সৃজনের ধারা প্রবাহিত হতে চললো সেটাই আদমের ধারণায় আল্লাহর পাতার সঙ্গে আদমের বাসনায় পাক-পাঞ্জতন রুপ আশার সঞ্চার হলো। এই আশা পুরুষানুক্রমে জিইয়ে রাখতেই হযরত নূহ(আ:) বিষম তুফানেও বিনাশ হন নাই।
– শানে পাক-পাঞ্জাতন, পৃ: ৩৫।