১৩ই রজব মাওলা আলী (আঃ) এর আবির্ভাব দিবস।

মাওলা আলী (আঃ) এর ব্যাপারে কিছু মানুষকে আমরা প্রায় বলতে শুনি যে, “কিছু কিছু মুসলিমরা হযরত আলীকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করে ফেলেন। প্রশংসার মাত্রা এতো বাড়িয়ে দেন যে, তা শিরকের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।”

যখন এগুলো শুনি, তখন ভাবি যে, এরা কি জানে মাওলা আলী (আঃ) কে? উনার মর্যাদা কি?

সত্য তো এটা যে, এই ত্রিভুবনে এমন কোনো সৃষ্টি নেই যে কিনা মাওলা আলীর শান-মান পূর্ণভাবে প্রকাশ করতে পারবে। সৃষ্টির আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত কারো দ্বারা মাওলা আলীর শান-মান পূর্ণভাবে প্রকাশ করার মত কোনো মহামানবেরও জন্ম হয়নি এই ধরায়, আর হবেও না। পূর্ণতা পাওয়া মহাপুরুষগণ শুধু মাওলা আলীর মর্যাদাকে অনুভব বা উপলব্ধি করতে পেরেছেন, কিন্তু তা ভাষায় ব্যক্ত করতে পারেননি। কারণ তাঁর মর্যাদা ব্যক্ত করা অসম্ভব। শুধু কিঞ্চিত পরিমান শান-মান ব্যক্ত করা হয়েছে, যেন মানুষ উনার ব্যাপারে কিছুটা ধারণা পায়।

আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সঃ) ব্যতীত মাওলা আলীকে কেউ কখনো দেখেনি। হ্যা, কেউ কখনো মাওলা আলীকে দেখেনি। সর্বোচ্চ থাকে অনুভব বা উপলব্ধি করেছেন। তাঁর জাহেরী রূপ হয়তো অনেকেই দেখেছেন, কিন্তু তাঁর প্রকৃত রূপ দেখেননি।

যেখানে তাঁর প্রশংসা করে শেষ করা কারো পক্ষে অসম্ভব, সেখানে মানুষ কিভাবে তাঁর প্রশংসায় বাড়াবাড়ি করতে পারে? বরং মানুষের করা সমস্ত
প্রশংসা কখনো মাওলা আলীর শান ও মানের ধারের কাছে যেতেও অক্ষম। মানুষ যতই প্রশংসা করুন না কেন, সে কখনো মাওলা আলীর মর্যাদার কথা পূর্ণভাবে ব্যক্ত করতে পারবে না।

ইয়া মাওলা আলী মুশকিল কুশা! আমার মত ক্ষুদ্র প্রাণীর কি এমন সাধ্য আছে যে, আমি আপনার প্রশংসা করবো। এই গোলামের আকুতিটুকু যদি আপনি কৃপা করে গ্রহণ করে আপনার চরণের ধূলা-বালির সাথে ঠাঁই দেন, সেটুকুই এই অধমের জন্য যথেষ্ট।

লেখাঃ DM Rahat

বিঃদ্রঃ আগামী ১৩ই রজব মাওলা আলী (আঃ) এর আবির্ভাব দিবস। সবাইকে অগ্রীম ‘ঈদ মোবারক’।