মাওলা আলীর শান-মান: পর্ব-১৩
দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) মাওলা ইমাম আলীকে বলেনঃ
أنْتَ وَلِيُّ كُلِّ مُؤمِنٍ وَ مُؤمِنَةٍ بَعْدِي.
“আমার পরে তুমি প্রত্যেক মুমিন নর ও নারীর উপর কর্তৃত্বের অধিকারী।”
(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৪,আল মুজামুল কাবীর-তাবারানী ১২:৭৮/১২৫৯৩)
দয়াল রাসূল (সাঃ) একাধারে আধ্যাত্নিক জ্ঞান বিতরণ করতেন এবং পাশাপাশি রাষ্টীয় খলিফা হিসাবে দেশ পরিচালনা করতেন। তাই দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) সর্বদিক দিয়ে প্রত্যেক মুমিন নর-নারীর উপর কর্তৃত্বের অধিকারী ছিলেন। তাই দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) ওফাতের পূর্বে নিজের স্থলাভিষিক্ত করে যান মাওলা আলীকে। মাওলা আলী ছিলেন স্বয়ং রাসূল পাক (সাঃ) এর গুনে গুনাণিত। সাহাবী থেকে শুরু করে কেয়ামত পর্যন্ত যতো অলী আল্লাহ এবং প্রত্যেক মুমিন নর-নারীর উপর কর্তৃত্বের অধিকারী হবেন মাওলা আলী। তাই মুমিন সাহাবীরা মাওলা আলীর দাসত্বের মাধ্যমে নিজের মুক্তি খুঁজে পাইতো।
হযরত সালমান ফারসি, আবু যর গিফরি এবং আব্বাস (রাঃ) প্রমুখ মুমিন সাহাবীরা মাওলা আলীর দাসত্ব করে মহান ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছে। ইসলামী ইতিহাসে এরা স্বর্নাক্ষরে ঠাঁই করে নিয়েছে। আবার বিপরীতে মাওলা আলীর বিরোধিতা করে অনেক সাহাবী ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ হয়েছে। মুমিন মুসলমানরা এদেরকে আহলে বায়াতের দুশমন হিসাবেই চিনে থাকে। কেয়ামত পর্যন্ত সকল মুমিন নর-নারী মুসলমানদের মনিব হলেন মাওলা আলী। আর সকল মুমিন মুসলমান হলো মাওলা আলীর দাস। মনিবই একমাত্র কর্তৃত্বের অধিকারী হয়ে থাকে। তাই দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) ওফাতের পর যারা মাওলা আলীকে রাসূলের মতো মনিবরুপে গ্রহণ করছে, তাঁরাই প্রকৃত সাহাবী এবং মুমিন ব্যক্তি।
মাওলা আলীকে মনিব না মানা পর্যন্ত কেয়ামত পর্যন্ত সাধনা করলেও কেউ মুমিন তো দুরের কথা বরং মুসলমানই হতে পারবে না। মুমিনের মানদণ্ড সরাসরি মাওলা আলী। সৃষ্টির শুরু থেকে এই ধারা চলমান ছিলো এবং কেয়ামত পর্যন্ত এই ধারা বলবৎ থাকবে। যারা মাওলা আলী এবং দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) কে পৃথক রুপে ভিন্ন জানে, তারা কখনো মুমিন হতে পারে না এবং কখনো মুসলমান হতে পারবে না। কারণ সৃষ্টির বিধানে এরুপ নাই। মাওলা আলীই ধর্ম, ঈমান এবং মুমিনের হৃদ-পিন্ড। মুমিন জপে মাওলা আলীর নাম নিরালায়, মোজাম্মেল পাগলা তোর এখনো হুঁশ হলো না। নিধানকালে আসিও বন্ধু আমার পাশে, দয়া করে ঠাঁই দিও তোমার রাঙা চরণে। জয় মাওলা আলীর জয়। জয় মোহাম্মদী ইসলামের জয়।
নিবেদক : অধম পাপী মোজাম্মেল পাগলা।
