হোমপেজ ইলমে মারেফত বায়াত হওয়া বা পীর ধরা বাধ্যতামূলকঃ

বায়াত হওয়া বা পীর ধরা বাধ্যতামূলকঃ

Advertisement:
IPL 2024: ফ্রিতেই IPL Live Cricket খেলা দেখুন Full HD তে

বায়াত হওয়া বা পীর ধরা বাধ্যতামূলকঃ

বায়াত বা পীর ধরা বাধ্যতামূলকঃ পবিত্র কুরআন শরীফ এবং আল্লাহর নির্দেশ।

সূরা আল কাহফ (الكهف), আয়াত নং ১৭

وَمَنۡ یُّضۡلِلۡ فَلَنۡ تَجِدَ لَہٗ وَلِیًّا مُّرۡشِدًا ٪

উচ্চারণঃ ওয়া মাই ইউদলিল ফালান তাজিদা লাহূত্তয়ালিইইয়াম মুরশিদা-।

IPL 2024: ফ্রিতেই IPL Live Cricket খেলা দেখুন Full HD তে

অর্থঃ আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, আপনি কখনও তার জন্যে মোর্শেদ অর্থাৎ পথপ্রদর্শনকারী ও সাহায্যকারী পাবেন না।

সূরা আল আরাফ (الأعراف), আয়াত নং ৩০

فَرِیۡقًا ہَدٰی وَفَرِیۡقًا حَقَّ عَلَیۡہِمُ الضَّلٰلَۃُ ؕ اِنَّہُمُ اتَّخَذُوا الشَّیٰطِیۡنَ اَوۡلِیَآءَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ وَیَحۡسَبُوۡنَ اَنَّہُمۡ مُّہۡتَدُوۡنَ

উচ্চারণঃ ফারীকান হাদা-ওয়া ফারীকান হাক্কা ‘আলাইহিমুদ্দালা-লাতু ইন্নাহুমুততাখাযুশশায়া-তীনা আওলিয়াআ মিন দূ নিল্লা-হি ওয়া ইয়াহছাবূনা আন্নাহুম মুহতাদূ ন।

অর্থঃ “একদলকে পথ প্রদর্শন করেছেন এবং একদলের জন্যে পথভ্রষ্টতা অবধারিত হয়ে গেছে। তারা আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করেছে এবং ধারণা করে যে, তারা সৎপথে রয়েছে।”

পবিত্র কুরআন শরীফ আরবী ভাষায় নাজিল হয়েছে বিধায় পীর শব্দটি আসেনি। কারণ পীর ফারসি শব্দ। যেমনটি নামাজ ও রোজার কথা পবিত্র কুরআন শরীফে কোথাও খুঁজে পাবেন না। কিন্তু কোরআনে সালাত এবং সাওম কথাটি উল্লেখ রয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে পীরের বদলে রয়েছে, মুর্শিদ, ওলি, ওসিলা, সাদেকীন ইত্যাদি শব্দ। মুর্শিদ আরবী শব্দ পীর ফারসি শব্দ এবং বাংলায় হলো পথপ্রদর্শক। যিনি আল্লাহর মনেনীত হয়ে পথভোলা মানুষকে হেদায়েতের পথ দেখান তিনিই হলেন নবী-রাসূল, পীর, মোর্শেদ, পথপ্রদর্শক এবং অলী আল্লাহ।

নবুয়াতের যুগে প্রত্যেক নবী-রাসূলগণই হলো সেই যুগের মানুষের জন্য আল্লাহর মনোনীত পথপ্রদর্শক। আর নবুয়াত শেষে বেলায়াতের যুগে আল্লাহর মনোনীত প্রত্যেক অলী আল্লাহগণই হলো সেই যুগের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক। তবে যুগে যুগে আল্লাহর মনোনীত সকল নবী-রাসূল এবং অলী আল্লাহগণের ভক্তদের সংখ্যা ছিলো খুবই নগন্য। বরং এঁদের বিরোধিতাকারীদের সংখ্যা ছিলো সবচেয়ে বেশি। এই জন্য আল্লাহর মনোনীত সকল নবী-রাসূল এবং অলী আল্লাহগণ সমকালীন যুগের মানুষের নিকট থেকে ভন্ড, কাফের, নাস্তিক ইত্যাদি উপাধি পেয়ে থাকেন।

আল্লাহ পবিত্র কুরআন শরীফে সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করছেন, আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করছেন তার ভাগ্যে কখনো পথপ্রদর্শক রাখেনি এবং সে কখনো পথপ্রদর্শনকারী এবং সাহায্যকারী খুঁজে পাবে না। আবার বলছেন, আমি একদলকে পথপ্রদর্শন করেছি এবং অন্য দলকে পথভ্রষ্ট অবধারিত করেছি। তারা আল্লাহকে ছেড়ে দিয়ে শয়তানকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করছে, তবে তারা মনে করে যে, তারা সৎপথেই রয়েছে। এখনই সুচিন্তিত বিবেকের কাছে বারবার করাঘাত করুন, তাহলে সঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন। কাদেরকে আল্লাহ পথভ্রষ্ট বলছেন এবং কারা শয়তান ও শয়তানকে বন্ধু রুপে গ্রহণ করেছে। মহান আল্লাহর সুস্পষ্ট বাণীটা কি কখনো আমাদের মনে ভাবনার উদয় হয়েছে?

মহান আল্লাহ তায়ালা অন্য আয়াতে বলছেন, তাদের চোখ আছে কিন্তু দেখে না, কান আছে কিন্তু শোনে না এবং হৃদয় আছে কিন্তু উপলব্ধি করে না। এরা অন্ধ, বধির এবং অন্তরকে সীল মোহর মেরে দিয়েছি। এই জন্যই আমাদের সমাজের কিছু পথভ্রষ্ট আলেমগণ অর্থাৎ মানুষরুপী শয়তানরা কখনো হেদায়েত পায় না বরং আল্লাহর মনোনীত মহামানবদের বিরোধিতা করে থাকে। আর এদের সংখ্যাই সমাজে সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত দেখা যায়। কারণ আল্লাহ এদেরকে অন্ধ, বধির এবং অন্তরকে সীল মোহর মেরে দিয়েছেন। তাই এরা হেদায়েতশূণ্য শুধু কিতাবি বিদ্যায় বিদ্যান। যারাই নবী-রাসূলদের বিরোধিতা করছেন, তারা কোন সাধারণ মানুষ ছিলেন না বরং তারা ছিলেন ঐ আমলের সবচেয়ে বড় আলেম এবং ক্ষমতাশীল ব্যক্তিগণ। যেমন আবু জেহেল ছিলেন তৎকালীন আমলে সবচেয়ে বড় আলেম। আবু জেহেল হাজার হাজার কিতাবি বিদ্যার অধিকারী ছিলেন। শুধুমাত্র আল্লাহর মনোনীত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) কে না মানার কারণে কাফেরে পরিণত হয়েছে।

কিছু সময়ের জন্য আপনার মনকে হাজার হাজার বছর আগে নবী-রাসুলের যুগে নিয়ে যান। এবার ভাবুন তো যারা মুসা (আঃ), ঈসা (আঃ) নুহ ( আঃ) এবং ইব্রাহিম (আঃ) নবীর বিরোধিতা করছে, তারা কি হেদায়েত প্রাপ্ত লোক ছিলো নাকি কাফের ছিলো? নিশ্চয়ই তারা সুপথগামী ছিলো না বরং পথভ্রষ্ট ছিলো। কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হলো তারাও নিজেদেরকে সৎপথ প্রাপ্ত মনে করতো। বরং তারা উল্টো নবী-রাসুলদেরকে পথভ্রষ্ট, কাফের, নাস্তিক এবং ভন্ড মনে করতো। এবার আপনার মনকে সরাসরি বর্তমানে নিয়ে আসুন এবং চারিদিকে চোখ ভুলান। দেখুন এখনো ঐ ধরনের চরিত্রের লোকজনই আল্লাহর মনোনীত অলী আল্লাহদেরকে কাফের, নাস্তিক এবং ভন্ড বলে ফতোয়া দিচ্ছে। আর তাদের অনুসারীরা অন্ধের মতো আল্লাহর মনোনীত অলী আল্লাহদের বিরোধিতা করছে। যুগ পাল্টিয়েছে, ধরণ বদলে গেছে কিন্তু চরিত্র হুবহু একই রয়ে গেছে। আরে ভাই যদি কিতাবই একমাত্র মুক্তির পথ হতো, তাহলে আল্লাহ যুগে যুগে মানুষকে হেদায়েত করার জন্য নবী-রাসূল এবং অলী আল্লাহ পাঠাতেন না। মনে করিয়েন না, আল্লাহ আপনাদের চেয়ে কম বুঝে। নাউজুবিল্লাহ।

এবার আপনার মনকে একবারের জন্য প্রশ্ন করে দেখুন, কে আপনার পথপ্রদর্শক? আপনি কি আল্লাহর মনোনীত মহামানব পথপ্রদর্শক খুঁজে পেয়েছেন নাকি দিকহারা পথিকের ন্যায় ঘুরিতেছেন। যদি আপনি আল্লাহর মনোনীত মহামানব পথপ্রদর্শক খুঁজে না পান, তাহলে আপনি নিশ্চিত ধরে নিন আপনি পথভ্রষ্ট এবং আপনার বন্ধু শয়তান।

কথাগুলো কিন্তু আমার নয়, তাই অধমের উপর রাগ করে লাভ নেই। নিতান্তই যদি রাগ করতে হয়, তাহলে আল্লাহর সাথে রাগ করুন। কারণ কথাগুলো আল্লাহ স্বয়ং তাঁর পবিত্র কুরআন শরীফে বলেছেন। অধম শুধু তুলে ধরেছি মাত্র। এখন মানা আর না মানা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। মোজাম্মেল হোসেন শুধু নৈতিক দায়িত্ববোধ এবং গোলামির স্বার্থে তুলে ধরেছে। এরচেয়ে ভিন্ন কিছু নয়।

নিবেদক : অধম পাপী মোজাম্মেল পাগলা।