হোমপেজ মাওলা আলী (আঃ) প্রসঙ্গ মাওলা আলীর শান-মান: পর্ব-১২

মাওলা আলীর শান-মান: পর্ব-১২

মাওলা আলীর শান-মান: পর্ব-১২

দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) মাওলা আলী সমন্ধে বলেন-

أنْتَ مِنِّي وَ أَنَا مِنْكَ.

“তুমি আমা থেকে আর আমি তোমা থেকে।”

সূত্রঃ (সহীহ বুখারী ৪:২২,৫:৮৭, সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৫/৩৭১৬, মাসাবিহুস সুন্নাহ ৪:১৭২/৪৭৬৫ ও ১৮৬/১০৪৮, তারীখে বাগদাদ ৪:১৪০)

এই মর্মকথা বলা কি আদৌ অধমের পক্ষে সম্ভব?এই হাদিসটির তাফসীর কেয়ামত পর্যন্ত করলেও শেষ হবে না। মাওলা আলী রাসূলের কাছ থেকে আবার দয়াল রাসূল (সাঃ) মাওলা আলী থেকে। এই যুগলবন্দী ভালোবাসার মর্মকথা কিভাবে বলবো? অধমের হাত পা শীতল হয়ে আসছে এবং ভয়ে অন্তর আত্মা কেঁপে উঠছে। যারা মাওলা আলীকে দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) হতে আলাদা চিন্তা ভাবনা করে, তারা কখনো জ্ঞানী হতে পারে না। বরং তারা সরাসরি ধর্মের মূল ভিত্তির উপর আঘাত করলো। দুজনে এক হয়ে নৃত্য লীলা করে গোপনে।

দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) এর সাথে মাওলা আলীর প্রেমের গভীরতা কতো এখানে তা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট হয়। আল্লাহ প্রাপ্ত সাধকগন অন্তর চক্ষু এবং দিব্য জ্ঞান দিয়ে দুজনকে একই স্বত্ত্বায় এবং একইরুপে দেখতে পায়। যা আমরা হেদায়েতশূন্য খালি চোখে অবলোকন করতে সক্ষম নই। শুদ্ধ হৃদয়ে ভালোবাসার বিস্তৃতি ঘটলেই কেবলমাত্র বুঝা যাবে মাওলা আলীর মর্ম। কুতর্ক আমাদের বহুদূরে নিয়ে যাবে কিন্তু ভালোবাসার গভীর সমুদ্র থেকে অন্তঃসার শূন্য করে ছাড়বে। তাই মোজাম্মেল পাগলা কুতর্কের অবসান ঘটিয়ে আহলে বায়েতের কদমেই পড়ে থাকতে শ্রেয় মনে করে।

নিবেদক: অধম পাপী মোজাম্মেল পাগলা।