ইমাম আজিজুল হক শেরে বাংলার বাণী
আল্লামা গাজী আজিজুল হক শেরে বাংলার সংক্ষিপ্ত পরিচয়:
খাজায়ে বাঙ্গাল আল্লামা গাজী আজিজুল হক শেরে বাংলা (রহ.) চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানার অন্তর্গত মেখল নামক গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত সৈয়দ পরিবারে ১৩২৩ হিজরী, ১৩১৩ বাংলা এবং ১৯০৬ ইংরেজীতে কোন এক শুভ মুহূর্তে জম্মগ্রহণ করেন। অবশেষে ১৩৮৯ হিজরীর ১২ই রজব, ১৯৬৯ ইংরেজীর ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১৩৭৬ বাংলার ৮ই আশ্বিন ইন্তেকাল করেন।
প্রতি বছর আরবী মাসের ১২ই রজব এ মাহান অলির ওরশ মোবারক হাটহাজারী দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত হয়।
আল্লামা গাজী আজিজুল হক শেরে বাংলার বাণী:

(১) “আমার নিকট সবচেয়ে বড় স্বার্থ হল ঈমানের হেফাজত। কিছুমাত্র ঈমানের ক্ষতি হওয়াকে আমি বড়ই ক্ষতিগ্রস্থ ও আঘাতস্বরূপ মনে করি।”
(২) “ধার্মিক মানুষদেরই মর্যদা আছে। দ্বীণদার ব্যাক্তি খুবই গরিব হলেও আমার কাছে তার সম্মান আছে।”
(৩) “ইহজগতের মান-সম্মান ও আর্থিক সুযোগ- সুবিদাকে খুবই নগণ্য মনে করি। এজন্য আমার কাছে শুধু সম্পদশালির সম্মান নেই।”
(৪) “আল্লাহর প্রিয় নবী সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লম এর মহব্বত যে মোহাদ্দেস সাহেবের অন্তরে নেই, সে পবিত্র হাদিসের কিতাব বোখারী শরীফ পড়াতে গেলে তার জ্বর আসবে।”
(৫) ছরকারে দোআলম সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লম এর প্রকৃত আশেকগণের অত বেশি আমলের দরকার হবেনা। ছরকারে দো-আলমের এক নজরের প্রতিক্ষায় তারা থাকেন। আর বিশেষ কিছু তাঁরা চান না।
(৬) “আল্লাহর পেয়ারা রাসূল সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লম এর খাটি মহব্বত যার অন্তরে স্থান পায়নি সে মোমেন নহে। যদিওবা হাজার পূণ্যকাজ করতে থাকে দেখা যায়। যেহেতু ঈমানের মাপকাঠিই হচ্ছে রাসূল প্রেম। অর্থাৎ; মানুষের অন্তরে হুজুরে আকরাম সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লম এর যে পরিমান মহব্বত হাছেল হয়েছে সে ততপরিমান মোমেন। অন্যথায় তার সব কিছুই বেকের ও নিস্ফল।”
(৭) “অনেককে শুধু সুন্নাতে রাসূল (সা:) এরই চর্চা করতে দেখা যায়। আমি (শেরে বাংলা) বলি প্রকৃতপক্ষে সুন্নাত কয়েক প্রকার হয়ে থাকে। যথা:-
- এক প্রকারের সুন্নাত হল সকল কাজে আল্লাহর পেয়ারা রাসূল (সা:) এর প্রদত্ত নিয়ম ও ত্বরীক্বাকে অনুসরণ করা। এটাকে “সুন্নাতে রাসূলুল্লাহ্” বলা হয়ে থাকে। এটা সর্বস্তরের মুসলমান নতঃশিরে পালন করে এবং এর প্রতি কারো বিরক্তি নেই।
- আর এক প্রকারের সুন্নাত হল “সুন্নাতে সাহাবা“, অর্থাৎ: সাহাবায়ে কেরামের তরীক্বা বা প্রথা।
- আর এক প্রকারের সুন্নাত হল “সুন্নাতে ওলামা” অর্থাত্ আলেম সমাজের নির্ধারিত প্রথা। যা হক্বানী ওলামায়ে কেরাম প্রচলন করেছেন।
- আর এক প্রকারের সুন্নাত হল সুন্নাতুল্লাহ্। অর্থাত্ আল্লাহ্ তা’আলারই এক খাছ আদত শরীফ যা পবিত্র কোরআন মজিদের মধ্যেও ঘোষনা আছে।”
(তথ্যসুত্রঃ ইমাম শেরে বাংলা (রাহঃ)’র জিবনী- ২২৪-২২৫পৃঃ)