একজন সাধকের কখন মেরাজ হয়?

একজন সাধকের কখন মেরাজ হয়?

মোমেন আর মোসলমান এক কথা নয়। ঈমান আনার পর মোসলমান হিসেবে স্বীকৃতি লাভকরা যায়; মোমেন স্বীকৃতি পাইতে বহু কাঠ-খড়ি পোড়াইতে হয়, বহু ত্যাগ তিতিক্ষা ও সাধনার প্রয়োজন হয়। মোমেনের পরিচয় দানের ক্ষেত্রে রাসূলে পাক (সাঃ) বলেন, মোমেন হইল সেই ব্যক্তি-যাহার নামাজে মেরাজ” সিদ্ধ হয়।

‎‫الصَّلَوةُ مِعْرَاجُ المُؤْمِنِينَ‬‎

অর্থাৎ-“নামাজ মোমেনের জন্য মেরাজ।”

একজন সাধকের কখন মেরাজ বা খোদাতায়ালার দীদার নছিব হয়? যে সকল সাধক কামালাতে বেলায়েত ও কামালাতে নবুয়তের মাকাম সমূহ তয় করিয়া হকিকতে এলাহিয়ায় (হকিকতে কুরআন, হকিকতে কাবা, হকিকতে সালাত) উপনীত হইতে পারিয়াছেন; তিনি যখন নামাজে দন্ডায়মান হন, তাঁহার উপর হকিকতে কুরআন হইতে একটি নূরের ধারা, হকিকতে কাবা হইতে আর একটি নূরের ধারা এবং হকিকতে সালাত হইতে ভিন্ন একটি নূরের ধারা অবিরাম পড়িতে থাকে। সাধক বা নামাজী তখন নিজের সমগ্র অজুদ বা সত্তাকে হযরত মুসা (আঃ) এর নূর প্রজ্জলিত বৃক্ষের মত দেখিতে পান। হকিকতত্রয়ের নূর একত্রিত হইয়া বিশাল এক নূরের গম্বুজ তৈরী করে-যেই গম্বুজের মধ্যে তখন সাধক বিনীতভাবে বিগলিত প্রাণে সেজদা করেন। ইহাই মেরাজ।

এই অবস্থাতে সাধক খোদাপ্রাপ্তিতত্ত্বজ্ঞানের পরিপূর্ণতা অর্জন করেন, যেমন মেরাজে দয়াল নবী (সাঃ) এর খোদাপ্রাপ্তিতত্ত্বজ্ঞান লাভহইয়াছিল। এমন সাধকবর্গকে বলা হয় মোমেন। কাজেই মোমেনের মর্যাদা পাওয়া এত সহজ নয়। আর ঈমান আনিলেই মোমেন হওয়া যায় না। একমাত্র ওলীয়ে কামেলগণই যথার্থ মোমেন।

সূত্রঃ খোদাপ্রাপ্তিজ্ঞানের আলোকে- শাহসূফী হযরত খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) ছাহেবের “নসিহত” ১ম খন্ড (বিষয়ঃ আদাবুল মুরীদ)-এর অংশ বিশেষ।

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel