লাওহে মাহফুজ কি এবং উহা কোথায় অবস্হিত।
‘লাওহুন’ আরবী শব্দ যার অর্থ শিলা, ফলক, লেখা যায় এরুপ বস্তু ইত্যাদি। ‘মাহফুজ’ আরবী শব্দ,যার অর্থ সংরক্ষিত। লাওহে মাহফুজ অর্থ সংরক্ষিত ফলক।
পবিত্র কুরআন শরীফে আল্লাহ বলেন,
“উহা সেই কিতাব, যা লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত আছে।” (সূরা আল বরুজ, আয়াত নং ২১ও ২২)।
অলী আল্লাহগণ তাঁদের সাধনালব্ধ জ্ঞান থেকে মানব জীবনে এর বাস্তবতা উপলব্ধি করে থাকেন। মানবের আত্মার স্মৃতিতে সৃষ্টির আদি হতে অন্ত পর্যন্ত সমস্ত ঘটনাবলী সংরক্ষিত আছে, সাধনার দ্বারা সংরক্ষিত এ সকল ঘটনাবলী অবগত হতে সক্ষম হৃদয়ও এক প্রকার লাওহে মাহফুজ।
হযরত রাসূল পাক সঃ জাবালে নূরের হেরা গুহায় একাধারে ১৫ বছর ধ্যান সাধনার মাধ্যমে ক্বদরের রজনীতে নিজের হৃদয়ের ৭ম স্তরে সংরক্ষিত সৃষ্টির আদি হতে অন্ত পর্যন্ত ঘটনাবলী অবগত হয়েছিলেন বিধায় বলা হয়, ক্বদরের রজনীতে পরিপূর্ণ কুরআন নাজিল হয়েছে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন অবস্হার প্রেক্ষিতে পর্যায়ক্রমে আয়াতসমূহ প্রকাশিত হয়েছে। বেলায়েতের যুগেও যিনি ধ্যান সাধনার মাধ্যমে তাঁর হৃদয়ের ৭ম স্তরে সংরক্ষিত সৃষ্টির আদি হতে অন্ত পর্যন্ত ঘটনাবলী অবগত হতে পারেন এবং তিনি হৃদয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে সংবাদ লাভ করতে পারেন।
কিতাবুম মুবিন বলতে পবিত্র কুরআনকে বুঝানো হয়েছে, যা লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত ছিল। যার মধ্যে সমস্ত সৃষ্টির জীবন ধারণ ও ভালো-মন্দ ইত্যাদি বিষয়াদি স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে। মানুষের ক্বালবের ৭ম স্তরে আল্লাহর নূর বিরাজ করে। সাধনার মাধ্যমে ঐ নূর জাগ্রত করে তাঁর সাথে যোগাযোগ স্বাপন করতে সক্ষম হলে আল্লাহর বাণীসমূহ আপন ক্বালবের ৭ম স্তর থেকে প্রাপ্ত হওয়া সম্ভব। লাওহে মাহফুজে কুরআন সংরক্ষিত এ কথার অর্থ পরিশুদ্ধ ক্বালবের ৭ম স্তরে আল্লাহ তায়ালার বাণীসমূহ সংরক্ষিত থাকে। সাধনার মাধ্যমে প্রয়োজনমত আল্লাহর এই বাণী প্রাপ্ত হওয়া যায়। যেমন, নবী রাসূলগণ এ বাণী পেয়েছেন।
পরিশেষে বলা যায় যে, লাওহে মাহফুজ বলতে পবিত্র কুরআন যেখানে নূরের অক্ষরে লিপিবদ্ধ অবস্থায় সংরক্ষিত, সে স্হানকে বুঝায়। হযরত রাসূল পাক সঃ উহা আল্লাহর কাছ থেকে লাভ করেছিলেন।
সূত্র: আল্লাহ কোন পথে।
নিবেদক: অধম পাপী মোজাম্মেল পাগলা।