হোমপেজ শিক্ষণীয় ঘটনা ও বাণী পীরের দরবারের ধূলাবালী আশেকের চোখের সুরমা।

পীরের দরবারের ধূলাবালী আশেকের চোখের সুরমা।

393

পীরের দরবারের ধূলাবালী আশেকের চোখের সুরমা।

পীরের দরবারে নগ্নপায়ে চলিবে। ইহাই মুরীদের জন্য উত্তম। পীরের নিকট মুরীদ সব সময় ভিখারী বা মিসকিন। আর মিসকিনকে মিসকিন হালতেই থাকা উচিৎ।

হযরত বশির হাফী (রঃ) ছাহেব খ্যাতনামা একজন ওলী ছিলেন। কিতাবে দেখা যায়, তিনি জীবনে কখনও জুতা-সেন্ডেল পায়ে দেন নাই। কেন?

হযরত বশির হাফীর পীর ছিলেন শরীয়ত ও তরিকতের প্রথিতযশা আলেম হযরত হাসান বছরী (রঃ) ছাহেব। হযরত হাসান বছরী (রঃ) ছাহেব যেদিন বশির হাফীকে তাওয়াজ্জুয়ে এত্তেহাদী প্রয়োগ করিয়া ওলীর দরজায় পৌঁছাইয়া দেন; সেদিন বশির হাফির পীর হযরত হাসান বছরী (রঃ) ছাহেব নগ্ন পায়ে ছিলেন। তাই পীরের প্রতি আদব রক্ষার্তে তিনি বশির হাফী (রঃ) কোন দিনই আর জুতা-সেন্ডেল পায়ে দেন নাই। পীরের প্রতি এহেন আদব প্রদর্শনের নমুনা দেখিয়া মহান খোদাতায়ালা বশির হাফি (রঃ) এর উপর অতিশয় খুশি হন এবং অত্র এলাকায় সমস্ত পশু পাখী, গরু-ছাগল-ভেড়া ইত্যাদিকে জানাইয়া দেন, যে সমস্ত রাস্তা দিয়া বশির হাফি চলাচল করেন-সে সকল রাস্তার উপর যেন তাহারা মলমুত্র ত্যাগ না করে।

তাই কিতাবে দেখা যায় যে, হযরত বশির হাফী (রঃ) যে সকল রাস্তা দিয়া হাঁটিতেন-সে সব রাস্তার উপরে তাঁহার জীবদ্দশাতে কোন পশু পাখী প্রশাব-পায়খানা করে নাই।

পীরের দায়েরাকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা মুরীদের কর্তব্য। এখানে জাকেরান সকল আল্লাহর জেকের করে। মনে রাখিবে, পীরের দরবারের ধুলাবালী আশেকানদের চোখের সুরমা। কাজেই পীরের দরবারের ইজ্জতের খাতিরে তথায় জুতা-সেন্ডেল পায়ে না দেওয়াই উত্তম।

গ্রন্থসূত্রঃ খোদাপ্রাপ্তি জ্ঞানের আলোকে শাহসূফী হযরত ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের পবিত্র নসিহত শরীফ, ১ম খন্ড, পৃষ্টা-৪১/৪২