আধ্যাত্মিক বাণী – ফকির সেলিম কাদেরী (পর্ব-২)
১১/ প্রেম সুপ্ত এবং গুপ্ত বিষয়, যা আপনার পার্শ্ববর্তী কর্ম মাধ্যমে প্রকাশ পায়৷ সেই কর্ম গুলো অবশ্যই ভালোবাসা দিয়ে করতে হবে, প্রতিটি ভালোবাসা যুক্ত কর্ম মাধ্যমে স্রষ্টার সৌন্দর্যের প্রকাশ৷
১২/ হে প্রভু মানুষের জন্য করিলে সৃজন, এই ভুবনের সকল। আমি কত যে করি বাহানা, আসল কর্ম হয়না, আমার সবই নকল, প্রভু ক্ষমা কর হে নিজ গুনে এই ধরায় তুমি তো প্রিয় আসল।
১৩/ ক্লান্ত পথচারীগন সূর্যের তাপ থেকে বাঁচার জন্য একটি বট বৃক্ষের ছায়াতলে আশ্রিত হয়৷ ঠিক তেমনি ক্লান্ত মানুষ গুলো সাংসারিক মোহ এবং লোভের উত্তাপ থেকে বাঁচতে গুরুর আশ্রয়ে যেতে হয়৷
১৪/ মনের সৌন্দর্য হল আসল সৌন্দর্য, যা বাহ্যরূপের সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলে, সে হোক কালো কিংবা ফর্সা। আর এই মনের সৌন্দর্যের প্রকাশের জন্যই ভাষার/বাক্যের উদয়।
১৫/ আকাশের বিশালতার যেমন মাপকাঠি হয় না, তেমনই হৃদয়ের গভীরতাও মাপা যায় না৷ সেখানে ডুব দাও মুর্শিদের ছবি নিয়ে রহস্যের উন্মোচন হতে শুরু করবে, অনুভব করতে পারবে৷
১৬/ হৃদয়ের মাঝেই সুখ আর দুঃখ অনুভব করা যায়, যা বাহ্যিক দৃষ্টিতে দেখা যায় না৷ বাহ্যিক দৃষ্টিতে যাহা কিছু দেখি তাহা হলো মোহ আর মোহ থাকিতে হৃদয় অনুভব করা যায় না৷
১৭/ আমার সাথে প্রিয়র কি চলছে তা আমি জানি, আর প্রিয় জানে। তোমরা যা বল তা হলো অনুমানে, আর অনুমানে কিছু করা মানেই ঠিকানা বিহীন চিঠি লিখার মত, যা সঠিক জায়গায় পৌঁছে না৷
১৮/ বাহ্যিক/দুনিয়াবী খায়েস গুলো মন থেকে একে একে কর্তন করাই নফসের সাথে যুদ্ধ করা, আর এই যুদ্ধে যিনি জয়ী হতে পেরেছেন তিনি মানুষে পরিনত হয়েছেন৷
১৯/ যেদিন প্রথম আমার প্রিয়কে দেখি মন আর ছিল না ঘরে, সেই থেকে আজ পর্যন্ত প্রিয়র জন্য আমার মন আনচান করে৷
২০/ আমি আমার প্রিয়র রূপ দেখে হয়ে গেছি মুগ্ধ, তোমরা আমায় কি রূপ দেখাবে বলো আমি যে ওই রূপেই আবদ্ধ৷
— ফকির সেলিম কাদেরী