আধ্যাত্মিক বাণী – ফকির সেলিম কাদেরী (পর্ব-৩)
২১/ প্রভু তুমি ধরা নাইবা দিলে, আমি খুঁজে নিব তোমায় আকাশের বিশালতায়, বাতাসের অনুভুতিতে, আগুনের উষ্ণ স্পর্শে, পানির শিতলতায় আর মাটির গন্ধের মাঝে, প্রিয় সর্বময় যে তুমি আর তোমার পরশে প্রেমের-ই আলিঙ্গন৷
২২/ এই ভ্রম্মান্ডের সমস্ত দার বন্ধ হয়ে যাক আমার তাতে কোন আফসোস নেই, প্রিয় আমি যে তোমার বন্ধ দারে এসে বসে আছি ওই দার কখন খুলবে সেই অপেক্ষায় প্রহর গুনছি৷
২৩/ দিনের শেষে গধুলি বেলায় যেমন ঘুরে বেড়ানো পাখি গুলো আপন নীড়ে ফিরিয়া যাইতে হয়, ঠিক তেমনই পৃথিবীর বুকে ঘুরে বেড়ানো মানুষ গুলোকেও একদিন রবের মুখাপেক্ষী হইতে হয়, সেই দিন কর্ম গুনে কেউ চিনিতে পারিবে আর কেউ চিনিতে পারিবে না৷
২৪/ প্রিয় তোমার সাথে কাটানো মুহুর্ত গুলো কত যে অমৃত, মধুর ছিল দূরে এসে খুরে খুরে খাচ্ছে আমার হৃদয় সেই স্মৃতি গুলো ৷
২৫/ আমার বাগানের ফুল গুলো কুরাই প্রতিনিয়ত তোমার জন্য, তুমি আসবে বলে, ফুলের মধু যায় সুকিয়ে শুধু তোমার-ই অপেক্ষায়৷
২৬/ হে প্রভু, এই পার্থিব বন্দী কারাগার হতে আমায় মুক্তি দাও, আমি মুক্ত হতে চাই পাখির মতো হাওয়ায় তোমায় নিয়ে ভেসে বেড়ানোর জন্য অভয়ারণ্যে ৷
২৭/ প্রিয়, শীতের সকালে ঘাসের সাথে জরিয়ে থাকা জল রাশির মত তুমি আমায় জরিয়ে আছো কিন্ত আমি অন্ধ বলে দেখিতে পাই না৷
২৮/ প্রকৃতিকে ঘিরে আছে মৌসুমী ঋতুতে যা তোমার ইচ্ছা অনুযায়ী হয়ে থাকে, কিন্তু প্রেমিকের হৃদয় উন্মুক্ত সব সময় তোমার জন্য সেখানে এই গুলোর প্রয়োজন হয় না কারণ প্রেমিকের হৃদয় সমতল ভুমির মত, সেখানে সব ঋতুতেই থাকে উষ্ণ শুধু তোমার জন্য৷
২৯/ দিনের শেষে রাতে আধার এলে বাতি গুলো জ্বালিয়ে যেমন আধার দূরীভূত হয়, ঠিক তেমনি করে প্রিয় তুমি এলে আমার মনের গহিনে আধার দূরীভূত হয়৷
৩০/ এই পৃথিবীতে জানার শেষ নেই কেউ পড়াশোনা করে যানে আর কেউ কর্ম করতে করতে জানে, তবে কর্ম করে জানাই উত্তম এতে জানা, শোনা আর অভিজ্ঞতা সব-ই একসাথে অর্জন হয় ৷
— ফকির সেলিম কাদেরী