খাজা মোস্তফা আমির ফয়সল মোজাদ্দেদীর ৪০টি বাণী।
(১) “আমরা মানবতায় বিশ্বাসী, আমরা ধর্মান্ধ নই।”
(২) “রাসূল সাঃ ওফাতের পর খোলাফায়ে রাশেদীনের সময় পরম্পরার মধ্যে একটি ঘটনা ঘটে, রাজনৈতিক বা ক্ষমতার কারনে। এবং তারপর থেকেই আমরা ধীরে ধীরে আত্মশুদ্ধির পথ থেকে দূরে চলে যাই।”
(৩) “আদ্ধাতিকতার সর্বোচ্চ মাকাম হলো ইসলাম, মনোষ্যসেবা এবং মানবতা সবকিছুই ইসলামের ভিতরে।”
(৪) “শুধু পোষাক পড়লেই আর কিতাব হাতে নিলেই ধার্মিক হওয়া যাবেনা, আলোকিত হওয়া যাবেনা, কিতাবের আলো প্রজ্জ্বলিত করা যাবেনা, বইয়ের আলো প্রজ্জ্বলিত করা যাবেনা, জ্ঞানের আলোও প্রজ্জ্বলিত করা যাবেনা।”
(৫) “মুয়াবিয়াকে যারা রাদ্বিআনহু এবং এজিদকে রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলে তাদেরকে আমি মুসলমান মনে করিনা।”
(৬) “আমীরে মুয়াবিয়া বলে যারা সিজদাহ্’য় পরে তারা কখনো মুসলমান হতে পারে না।”
(৭) “শুধু বিশ্বাসী হলেই চলবে না, এর সাথে সাথে কর্মে সে বিশ্বাসের যথাযথ প্রতিফলন ঘটাতে হবে।”
(৮) “মরীচিকার পিছনে আমরা পাগল হয়ে ছুটি। তখন আপন মুর্শিদ ও রাসুলে পাক (সাঃ) এর কথা ভুলে যাই। তখন যা খুশী তাই করি। নিজ স্বার্থ উদ্ধারে যত ধরনের অনৈতিকতা ও অমানবিকতা আছে তা অবলম্বন করি। এভাবে তো সত্য ও সুন্দরের পথের সন্ধান পাওয়া যাবে না।”
(৯) “তামাম বিশ্ব আজ দুই অক্ষে ভাগ হয়ে গেছে। একটি ধনবাদী বা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি, অপরটি সমাজতান্ত্রিক শক্তি।”
(১০) “প্রকৃত ইসলামের শ্বাশত মহিমার অপূর্ব মহাসন্মেলন। উরস শরীফ নৈতিক ও মানবিক উৎকর্ষ সাধনের দিকে মানুষকে উজ্জীবিত করে। শান্তি ও অগ্রগতির পথের দিশা দান করে।”
(১১) “ভিতরে যদি মুক্তা না থাকে, তাহলে ঝিনুকের দুই পয়সা দাম নেই, তেমনি মানুষ যদি মানুষ না হয় তারও মূল্য নেই, সে পশুর চাইতেও নিকৃষ্ট।”
(১২) “নীতি-নৈতিকতা হারিয়ে মানুষ সীমাহীন পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। মানুষের মাঝে মিথ্যাচার, বেঈমানী, মুনাফেকি, শত্রুতা আজ সীমাহীন পর্যায়ে। প্রত্যেক অনু-পরমানুর বিচার হবে। যা সত্য; তা সত্য। যা প্রতিষ্ঠিত; তা প্রতিষ্ঠিত। যে বিজয় নির্ধারিত; তা হবেই।”
(১৩) “মহামারী ও মহাদুর্যোগে মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কথা; কিন্তু মানুষ আতঙ্কিত নয়। দুনিয়ার লোভ-লালসা সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে, প্রেম হারিয়ে গেছে, মানুষ অমানুষে রূপান্তরিত হয়েছে; মানুষ আজ মানুষ হত্যা করে আনন্দ-উল্লাস করে। এমন জাতি আল্লাহ পাক চান না। এ পৃথিবীতে দুটি পথ- একটি ওলী-আল্লাহগণের পথ, আরেকটি শয়তানের পথ।”
(১৪) “ধনীকে গরীব বানানো নয়! বরং আমাদের টার্গেট হবে পিছিয়ে পরা মানুষ গুলোকে টেনে উন্নত জীবনে নিয়ে আসা।”
(১৫) “ধনীবাদী বিশ্বের ঘৃণা, সমাজবাদী বিশ্বের হিংসা। এই দুটি জিনিস পরিহার করে পারস্পরিক ভাতৃত্বে শিক্ষা দেয় ইসলাম।”
(১৬) “আল্লাহপাক যাকে স্বীকৃতি দেন, যাকে দায়িত্ব দান করেন, তার সাফল্য আল্লাহ পাক তিনার হাতে লিখে দেন। এজন্য আল্লাহপাক বলেছেন- আমার বন্ধুর সাথে যারা দুশমনি করে আমি পরোয়ারদিগার তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করি।”
(১৭) “শিরক সবচাইতে জঘন্যতম অপরাধ! আমরা যদি বলি দুইজন আল্লাহ, তিনজন আল্লাহ। কোরআন শরীফে আল্লাহ পাক যেটা বলছে- আমি যদি দুইজন বা একাধিক হইতাম তাহলে বিশ্ব ভূমন্ডল চলতো না। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় তাতে কোন সন্দেহ নাই!”
(১৮) “একটু একটু করে আল্লাহর সাথে বেয়াদবী ও নাফরমানি করতে করতে সাহস বাড়ে। পরে দুঃসাহসী হয়ে উঠে। এভাবেই ইবলিশ শয়তান তৈরি হয়েছে। এভাবেই রাসূলে পাক (সাঃ) এর আনুগত্যের বিরোধীতা করতে করতে এজিদ তৈরি হয়েছে। নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রতি বেঈমানি করতে করতে মীর জাফর তৈরি হয়েছে। এখন আপন মুর্শীদের পবিত্র আদর্শের সমালোচনা করতে করতে একদল ভংয়কর মোনাফেক তৈরি হয়েছে।”
(১৯) “ফকির লোক যেদিন সিংহাসনে বসবে, সেইদিনই বাংলাদেশে শান্তি আসবে, পুরো বিশ্বে শান্তি আসবে!”
(২০) “এই দেশে সবাই আস্তিক, কোনো নাস্তিক নাই। নাস্তিক বানানো হয়েছে প্রচারণার মাধ্যমে।”
(২১) “সকলেই একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে, এই জড় দেহ ছেড়ে আরেকটা দেহের মধ্য দিয়ে আল্লাহর দরবারে যেতে হবে।”
(২২) “ক্ষমতার চেয়ে বড় কথা, জাতীর কল্যান সাধন!”
(২৩) “গোলাপ ফুল যেমন পবিত্র, আমাদেরও হতে হবে তেমন পবিত্র। গোলাপের মতো পবিত্র হয়ে, সেই সৌরভ ছড়িয়ে দিন মানুষের মাঝে!”
(২৪) “নিজে উদর ভরে খাবেন, আর পাশের জন না খেয়ে থাকবে, এমন সমর্থকদের দরকার নাই আমাদের।”
(২৫) “আবার জমবে মেলা, বটতলা, হাটতলা নবান্নের উৎসবে। সোনার বাংলা ভরে উঠবে সোনায়, বিশ্ববাসী চেয়ে রবে!”
(২৬) “ওলী-আল্লাহ সকল হাসতে হাসতেও যা বলেন, তাও আল্লাহ কবুল করেন!”
(২৭) “আমি সংখ্যালঘু শব্দটা অ-মর্যাদাকর মনে করি, অন্য ধর্মালম্বীদের জন্য। তাঁরা এই দেশের নাগরিক।”
(২৮) “মন্ত্রী নয়, পার্লামেন্ট মেম্বার নয়, মুখ্য হচ্ছে দেশ ও মুখ্য হচ্ছে জাতি!”
(২৯) “যদি স্নিগ্ধ মানুষ হয়, যদি পবিত্র মানুষ হয়, তবেই সোনার দেশ হবে সোনার মানুষ হবে।”
(৩০) “মুসলমানদের মধ্যে একতা নাই। নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত সবই আছে। কিন্তু সবকিছুর ভিতর একটা ব্যাবসা ঢুইকা গেসে।”
(৩১) “যেই ইসলাম আমরা দেখে আসছি ইয়াজিদ থেকে শুরু করে মীর-জাফর পর্যন্ত। সেই ইসলাম কোনোদিন রাসূল (সাঃ) এর ইসলাম হতে পারেনা!”
(৩২) “দেখতে হবে রাসূল (সাঃ) এর পবিত্র ইসলামি লেবাস কাদের গায়ে। যদি শয়তানদের গায়ে থাকে, তবে তা খুলে ফকির লোকদের গায়ে পড়িয়ে দিতে হবে!”
(৩৩) “আমি মুয়াজ্জিন আযান দিয়ে গেলাম, এরপরে ইমাম সাহেব আসবেন!”
(৩৪) “আমরা ভালোবাসতেও জানি, রাগ দেখাতেও জানি। আর শাসন করা তারই সাজে সোহাগ করে যে!”
(৩৫) “মানবিক গুনাবলী যার মাঝে নাই, মানব রুপি দানব তার দ্বারা সৃষ্টির অনষ্টি হয়েছে!”
(৩৬) “ইসলাম এসেছে রাসূল (সাঃ) এর আঙ্গুলের ইশারায় চাঁদ দ্বিখন্ডিত করার মাধ্যমে, মুসা (আঃ) এর লাঠির আঘাতে মুর্দা কে জিন্দা করার মাধ্যমে। প্রেম, ভালোবাসা, ক্ষমা, শাষন ও মানবতার কল্যানের মাধ্যমে।
(৩৭) “বাংলাদেশ বিশ্বওলীর দেশ। যখন মানবজাতি ধ্বংসের মুখে, আইয়ামে জাহেলিয়াতের পুনরাবৃত্তির ছায়া- সে সময়ে প্রকৃত ইসলামের পরিপূর্ণ চাঁদ বিশ্বওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) কেবলাজান ছাহেবের আবির্ভাব।”
(৩৮) “আমরা দুইভাই(মিয়া ভাইজান ও মেজ ভাইজান) খেজুরের বিচির মত এক সাথে আছি। বাহিরে অনেক কথা হচ্ছে সেগুলাতে কান দিবেন না।”
(৩৯) “ধর্মের নামে যদি অধর্মের পদচারণা হয়, ধর্মের নামে যদি ধর্ম কলংকিত হয়, অধার্মিক যদি ধর্মের বেশ ধরে এবং তার মধ্যে থেকে যদি ধর্মের আলো প্রদির্শিত না হয়, আলো প্রকাশিত না হয়, তার মধ্যে যদি আলো দেখা না যায়, সে যদি আলোকিত মানুষ হিসেবে রুপান্তরিত হতে না পারে। তাহলে শুধু পোষাক পড়লেই আর কিতাব হাতে নিলেই ধার্মিক হওয়া যাবেনা। আলোকিত হওয়া যাবেনা, কিতাবের আলো প্রজ্জ্বলিত করা যাবেনা। বইয়ের আলো প্রজ্জ্বলিত করা যাবেনা। জ্ঞানের আলোও প্রজ্জ্বলিত করা যাবেনা।”
(৪০) আপনারা ঘরে ঘরে যান সত্য বাণী প্রচার করেন, ইসলাম এর মহিমা প্রচার করেন; কোন ইসলাম? যে ইসলামের জন্য মানুষ পাগল হইছিল, এক সময় চোখের পানিতে ভাইসা গেছে, বাড়ি ছাড়ছে, ঘর ছাড়ছে, আত্মীয় ছাড়ছে, স্বজন ছাড়ছে। আজকে আমরা কিছুই ছাড়ি না। ইচ্ছা ছাড়ছে, টাকা ছাড়ছে। আজকে আমরা কিছুই ছাড়তে পারি না। পরীক্ষা করলে টিকবে কয়জন সেইটা কিন্তু আমার জানা আছে। এই জন্য কেবলাজান বলছেন, “আমার এক ঘোড়া, এক লাঠি যথেষ্ট”।
[ পীরজাদা আলহাজ্ব খাজা মোস্তফা আমীর ফয়সল মোজাদ্দেদী, (মহামান্য চেয়ারম্যান, জাকের পার্টি) ]