মহাকবি হাফেজ সিরাজীর বাণী
হাফেজ সিরাজীর সংক্ষিপ্ত পরিচয়:
নাম | মহাকবি হাফেজ, আসল নাম শামসুদ্দিন মোহাম্মদ |
---|---|
জন্ম | চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ (আনুমানিক) মোসল্লা, শিরাজ, ইরান |
মৃত্যু | ৭৯১ হিজরি বা ১৩৮৯ খ্রীস্টাব্দ (আনুমানিক) |
হাফেজ শিরাজি, মহাকবি হাফেজ, আসল নাম শামসুদ্দিন মোহাম্মদ। তিনি একজন ইরানী বা ফার্সি কবি যিনি বুলবুল-ই-শিরাজ উপাধিতে ভূষিত হন। শিরাজ ইরানের মদিনা, পারস্যের তীর্থভূমি। শিরাজেরই মোসল্লা নামক স্থানে বিশ্ববিশ্রুত কবি হাফেজ চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে জন্মগ্রহণ করেন। ইরানের এক নিশাপুর (ওমর খৈয়াম-এর জন্মভূমি) ছাড়া আর কোন নগরই শিরাজের মত বিশ্বজোড়া খ্যাতি লাভ করেনি। (Wikipedia)
হাফেজ সিরাজীর বিখ্যাত বাণী
(১) “তোমার খাঁটি পীর যদি বলে তবে শরাব রং-এ তোমার মুসাল্লা রাঙ্গিয়ে নাও, কেননা, সালেক মানযিলের পথ-পদ্ধতি সম্পর্কে সম্যক অবগত।”
(২) “আপন পীরের নূরময় সূরত, সবখানেই দেখতে পাচ্ছি।”
(৩) “যদি দুর্বিপাকের তুফান হইতে বাঁচিতে চাও, তবে তোমার পীরের কদমকে নূহের তরী মনে করিয়া শক্ত করিয়া ধর। নচেৎ এমনি দুর্বিপাকেন তুফান আসিবে, যাহা তোমার সবল ভিত্তিকে ভাংগিয়া মেছমার করিয়া ফেলিবে।”
(৪) “কামেল পীরের যদি হুকুম হয় তবে জায়নামাজকে মদ দিয়ে রাঙিয়ে দাও কারণ, তরীকত – পথের নিয়ম – পদ্ধতি সালেকের জন্য পূর্ণরূপে বুঝে উঠা সম্ভব নয়।
(৫) “স্বর্গে যা নেই, আমি যেন পাই হে সাকি, বানাও এমন বিধান, রুকনাবাদের নদীর কিনার, মুসল্লার সে ফুলের বাগান।”
(৬) “কান দাও, প্রিয়া, আমার কথায়: ঘা দিয়ে যতইশেখাক জীবন, নওজোয়ানেরা জানে, তার চেয়ে ঢের বেশি দামী প্রাজ্ঞবচন।”
(৭) “যে দিল করুণা করি যুগল নয়ন উচিত কি নয় তার রূপ দরশন?”
অর্থাৎ- যিনি তোমাকে একটি চক্ষুর পরিবর্তে দুইটি চক্ষু দান করিলেন, সেই চক্ষু দিয়া তাহাকে দেখিবার চেষ্টা করা কি তোমার উচিত নয়?
(৮) “যে দিল করুনা করি রসনা লোলিত, কেনরে না গাও তার মহিমার গীত।”
অর্থ্যৎঃ যিনি তোমাকে এমন সুন্দর জবান তৈরী করিয়া দিলেন, সেই জবান দিয়া তাহাকে ডাকা কি তোমার উচিৎ নয়?
(৯) “নাহিকো হানাফি, শাফি, মালেকি, হাম্বলি, প্রেম মম এক ধর্ম অন্য নাহি জানি।”
অর্থ্যৎঃ মহা কবি হাফিজ বাহ্যিক ধর্মের বিধি নিষেধ গ্রাহ্য করতেন না।
(১০) “ফিরায়ো না ক্ষোভ ভরে; হে বিশ্বাসী, চরণ তোমার হাফিযের শেষ ক্রিয়া হ’তে যদিও পাপে ভারে মগ্ন-প্রায় তরণী তাহার তবু সে উত্তরিবে স্বর্গে কোন মতে।”