আধ্যাত্মিক বাণী – ফকির সেলিম কাদেরী (পর্ব-১)
১/ প্রকৃত পক্ষে একজন প্রেমিক তার রবকে খোঁজার চেস্টা করেন দূরে কোথাও নয়, বরং তার আসে পাসে যা কিছু আছে তার মধ্যেই তার ছায়া অনুধাবন করেন৷
২/ চুম্বুক যেমন লোহাকে আঁকড়ে ধরে রাখার পর সেই লোহাতেও চুম্বুক আকর্ষণ ঘটতে শুরু করে, ঠিক তেমনই ভক্তগন যদি পীরে কামেলকেও আঁকড়ে ধরে থাকে তবে ভক্তের মাঝেও সেই পীরের চুম্বুক আকর্ষণ ঘটতে শুরু করে। শুধু ধৈর্যের প্রয়োজন৷
৩/ একজন কামেল পীরের নিকট নিজেকে আত্মসমর্পণ করার পর তার নিজ দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। সত্যকে
আলিঙ্গন করার এবং তা আগে নিজের ভিতরই প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, তবেই সে পীরের নিকট ভালো ফলের আশা করতে পারে, কারন সকলকেই নিজ নিজ কর্মের ফলই ভোগ করতে হবে৷
৪/ এই পৃথিবীটা স্বচ্ছ কাঁচের আয়না। এর মধ্যে আপনি নিজেকে যেভাবে দেখতে চান ঠিক সেই ভাবেই দেখতে পাবেন৷
৫/ যেই ব্যাক্তি অপরের কল্যাণ করে ও ভাবে, কিন্তু নিজের কথা চিন্তাও করেনা, সেই ব্যাক্তি প্রকৃত মানুষ।
৬/ তুমি যদি অপরকে ভালোবাসো, চিন্তা করোনা বন্ধু, তোমাকে একদিন ভালোবাসবে সবাই, কারন ভালোবাসার কাছে সকল বিপর্যয়ের পরাজয় হবেই৷
৮/ শরিয়ত হল এলোপেথি মেডিসিনের মত যা আপনি বার বার সুস্থ থাকার জন্য খাবেন কিন্তু রোগ থেকেই যায়, আর মারেফত হলো হোমিও মেডিসিনের মত সময় লাগবে কিন্তু মূল থেকে উচ্ছেদ হয়ে যাবে৷ ঠিক তেমনি শরিয়ত সমাজ ব্যবস্থা বিধির বিধান বা, আইন তা অবশ্যই মানতে হবে। আর মারেফত হলো হৃদয়ের গভীর থেকে ময়লা পরিস্কার করে ও মানুষের মূল্যবোধ শেখায় এবং অন্তরে স্বর্গীয় প্রেম জাগতে শুরু করে৷
৯/ ভালো মন্দ সেটা স্বভাবের সাথে সম্পৃক্ত, আনমনে তাহা চলে আসে, যাহা আপনি করেন যুক্ত৷ তাই সত্য বলা এবং সু-পথে চলা অভ্যাসে পরিনত করুন, সুখী সমৃদ্ধ নতুন এক বিশ্ব ভুবন গড়ুন।
১০/ জ্ঞানী আলোচনা ভালো। কিন্তু সমালোচনা ভালো নয়, সমালোচনা নিজেকেই অন্ধ কুপে পতিত করে৷
লেখাঃ ফকির সেলিম কাদেরী।