
দানশীলতা ও রিজিক সম্পর্কে মঈনুদ্দিন চিশতি (রহঃ) এর বাণী
“দানশীলতা নেয়ামতের চাবি।”
“তিনি প্রকৃত আরেফ যিনি কোনো অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিকে খালি হাতে ফেরান না।”
“নীরবতা আরেফের স্বভাব।”
“আরেফের মস্তকে বিরামহীনভাবে নূর বর্ষিত হয়।”
“আরেফ ঐ ব্যক্তি যিনি নিজেরে হৃদয়কে দুনিয়া ও আখেরাত উভয়ের আকর্ষণ থেকে মুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছেন। প্রতি মুহূর্তে আল্লাহর হাজার হাজার তাজাল্লি তার ওপর বিকশিত হয়।”
“নেককার ব্যক্তির সংশ্রব নেক কর্ম থেকে উত্তম। পক্ষান্তরে পাপকর্ম থেকে ব্যক্তির সংশ্রব অধিকতর মন্দ।”
“যে আল্লাহর উপরে যত অধিক নির্ভরশীল, সে আল্লাহর তত-অধিক প্রিয়পাত্র হয়। সংসারের কোন অভাব ও দুঃখ কষ্ট তাহাকে স্পর্শ করিতে পারে না।”
“কোনো মুসলমান ভাইকে হেয় জ্ঞানে উৎপীড়নে যে ক্ষতি হয়, অন্য কোনো পাপ কাজে মানুষের সেই পরিমাণ ক্ষতি হয় না।”
“সর্বাবস্থায় বদনে প্রশান্তি এবং হাসির আভা বিদ্যমান থাকা আরেফ ব্যক্তিদের অন্যতম লক্ষণ।”
“কোনো মুসলমান ভাইকে হেয় জ্ঞানে উৎপীড়নে যে ক্ষতি হয়, অন্য কোনো পাপ কাজে মানুষের সেই পরিমাণ ক্ষতি হয় না।”
“রুটি-রুজির চিন্তা ছাড় এবং রিজিকদাতাকে চিন। তারপর দেখ, তোমার হৃদয়ের কাঙ্ক্ষিত রিজিখ কিভাবে পৌঁছে।”
“কেয়ামতের আজাব থেকে মুক্তি পেতে হলে বিপন্ন, দুস্থ ও উৎপীড়িতদের খেদমত করতে হবে। অভাবগ্রস্তদের অভাব মোচন করে এবং ক্ষুধার্তদের আহার প্রদান করে।”
“আল্লাহ পাক যাদের ভালোবাসেন তাদের মাথার ওপর বারিধারার মতো বিপদ বর্ষণ করেন।”
“তিনটি বস্তুর মাধ্যমে ইমানের পরিপূর্ণতা লাভ হয়। আল্লাহ ভীতি, আল্লাহপ্রাপ্তির, আল্লাহর প্রেম।”
“তারাই প্রকৃত প্রেমিক, যাদের হৃদয় প্রতি মুহূর্তে জিকিরে নিমগ্ন থাকে, কিন্তু মুখ দেখে তা বোঝা যায না।”