মাওলানা জালালউদ্দিন রুমীর শ্রেষ্ঠ আধ্যাত্মিক বাণী (পর্ব ১)

“আগার খাহী হাম নশীনী বা খোদা
গো নাশিনাদ দর হুজুরে আউলিয়া।”
অর্থঃ তুমি যদি আল্লাহ পাকের সান্নিধ্য বা সামনে বসতে চাও, তবে কামেল অলীগণের দরবারে বসে যাও।

“মরদানে খোদাঘর খোদানা বাশাদ
ওয়া লেকেন আজ খোদা জুদা না বাশাদ”
অর্থঃ মানুষ কে খোদা বল, মানুষ খোদা নয় কিন্তু মানুষ খোদা হতে পৃথক নয়।

“চুঁ খোদা খাহাদ কে পর্দা কাচ দারাদ
মায়লা শান্দর তানা এ পাকাঁ বারাদ”
অর্থঃ কোন মানুষ কে যদি আল্লাহ পাক লাঞ্চিত অপমানিত করতে চান, তবে তার গতি ফিরিয়ে দেন নেক লোকদের কে বা অলীগণের দোষারুপ করার প্রতি।

“চশমে রওশন কুন যে যাকে আউলিয়া
তা বধিনি এবতেদাতা এন্দেহা”
অর্থঃ তুমি যদি আউলিয়া কেরামের পদধূলি দ্বারা স্বয়ং চক্ষুকে জ্যোতিময় কর, তবে তুমি আদি ও অন্ত সব কিছু দেখতে সক্ষম হবে।

“আল্লাহ আল্লাহ গোফতো আল্লাহ
মিশওয়াদ ইশখুনকার বাত্তর মরদম শাওয়াদ”
অর্থঃ আল্লাহ আল্লাহ জপতে জপতে মানুষই আল্লাহময় হয়ে যায়, এ কথা কি হবে সাধারণ লোক বিশ্বাস করবে।

“এক জমানা ছোহবতে বা আউলিয়া
বেহতর আজ ছদ ছালা তা আত বেরিয়া”
অর্থঃ এক মুহুর্ত আউলিয়ায়ে কেরামের সহচার্য লাভ করা, শত বছরের ত্রুটিহীন এবাদত অপেক্ষা উত্তম।

“ছদ কিতাবো ছদ ওয়ারাক দর নারেকুন
সিনারা আজ নূরে হক গোলজারে কুন”
অর্থঃ শত শত কিতাব আগুনে নিক্ষেপ কর। তোমার সিনাকে পীরের ধ্যান দ্বারা সত্য নূর দিয়ে ফুল বাগানে পরিণত কর।

“নূর খাহী মুস্তায়েদ্দে নূর শাও
দূর খাহী খেশে বীনো দূর শাও”
অর্থঃ তুমি যদি মারেফাতের নূর চাও, তবে মুশিদে কামেলের সাহর্চাযে থাকিয়া নূরের প্রতিভা ও যোগ্যতা অর্জন কর। আর যদি আল্লাহর রহমত থেকে দুরে থাকিতে চাও, তবে অহংকার ও খোদপছন্দী কর এবং অলীর দরবার থেকে দুর হয়ে যাও।

“পেশে সোবহা পাস নেগাহ দারদে দে
তা নাগর দেদ আয গুমানে বদ খাজেল”
অর্থঃ অতএব, আল্লাহ পাকের গুনাহবলীতে গুনান্বিত লোকদের সামনে দেলকে ওয়াসওয়াসা ও কুধারণা হতে হেফাযতে রাখিও, যেন অন্তরের বদ গুমানির কারণে তোমাকে লজ্জিত হতে না হয়।

“তা তূ মীবীনী আযীযাঁ রা বশর
দাঁ কে মীরাসে বলীসাস্ত আঁ নজর”
অর্থঃ তুমি যখন আল্লাহর সম্মানিত ওলীগণকে সাধারণ মানুষরুপে দর্শন কর, তখন মনে করিও এই দর্শন তুমি ইবলিস হতে উত্তরাধিকারী সূত্রে প্রাপ্ত হইয়াছ।
চিত্র ডিজাইন : ফখরুল ইসলাম জয়