খাজা বাবা মঈনউদ্দিন চিশতির আধ্যাত্মিক বাণী
“আল্লাহ্ চাও, দুনিয়াও চাও এটা একটা পাগলামী।”
“মক্কা হচ্ছে কপালের কাবা আর মদীনা হচ্ছে রূহের কাবা।”
“আল্লাহ পাক যাদের ভালোবাসেন, তাদের মাথার ওপর বারিধারার মতো বিপদ বর্ষণ করেন।”
“কোন বিপদগ্রস্ত লোকের সাহায্য করাই সর্বাপেক্ষা বড় এবাদত।”
“মৃত্যু একটি সেতুর ন্যায় যার ওপর দিয়ে বন্ধু বন্ধুর নিকট গমন করে।”
“শত জ্ঞানী ও বিদ্যানের সমস্ত জীবনের পাপ পূণ্যের হিসাব হাশরের দিন এক নিশ্বাসে শেষ হইবে, আশেকের এক পলকের নেকী বদীর হিসাব একশত হাশরেও শেষ হবে না।”
“খোদার প্রেমের পথে যে অটল (স্থির) থাকে, প্রেমাগ্নি তার অস্তিত্বকে (আমিত্বকে) বিলোপ করে দেয়।”
“এমন জায়গা যেখানে জাহেদরা হাজার চিল্লায় পৌঁছে। এশকের শরাবে মত্ত এক আহ্ শব্দে সেখানে পৌঁছে।”
“তারাই প্রকৃত প্রেমিক, যাদের হৃদয় প্রতি মুহূর্তে জিকিরে নিমগ্ন থাকে, কিন্তু মুখ দেখে তা বোঝা যায় না।”
“যারা দুধের শিশুর ন্যায় জ্ঞানের উপযোগী, তাদেরকে পোলাও কোরমার মতো অতি উঁচু স্তরের জ্ঞান দিও না।”
“রুটি-রুজির চিন্তা ছাড় এবং রিজিকদাতাকে চিন। তারপর দেখ, তোমার হৃদয়ের কাঙ্ক্ষিত রিজিখ কিভাবে পৌঁছে।”
“তরিকত পন্থীদের জন্য ৫টি জিনিস দেখা এবাদত হিসেবে গণ্য মাতাপিতাকে দেখা, কুরআন শরিফ দেখা, আলেমে রব্বানীকে দেখা, বায়তুল্লাহ শরিফ দেখা, স্বীয় মুর্শিদকে দেখা।”
“পৃথিবীতে প্রত্যেক জামানায় হাজার হাজার অলি-আল্লাহ বিদ্যমান থাকেন। তাদের অনেকেই থেকে যান দৃষ্টির আড়ালে। সুতরাং পৃথিবীকে কখনই আউলিয়া শূন্য মনে করো না।”
“ঈশার শানই আমি-অর্থাৎ আমিই দ্বিতীয় ঈশা। কারণ তাঁর কাছে যে রুহুল কুদ্দুস, সেই রুহুল কুদ্দুস আমার কাছেও।”
“আমি মত্ত ও পাগল হয়ে পতঙ্গের মত তোমার (প্রভুর) চারদিকে ঘুরছি, হে জ্ঞানের প্রদীপ, আমাকে ধর, নিজের মধ্যে টেনে নাও।”
“পুণ্য করার চাইতে পুর্ণবানের সোহবত যত উত্তম, পাপ করার চাইতে পাপীর সোহবত তত খারাপ।”
“তরিকতপন্থীদের জন্য ৫টি জিনিস দেখা এবাদত হিসেবে গণ্য মাতাপিতাকে দেখা, কুরআন শরিফ দেখা, আলেমে রব্বানীকে দেখা, বায়তুল্লাহ শরিফ দেখা, স্বীয় মুর্শিদকে দেখা।”
“পৃথিবীতে প্রত্যেক জামানায় হাজার হাজার অলি-আল্লাহ বিদ্যমান থাকেন। তাদের অনেকেই থেকে যান দৃষ্টির আড়ালে। সুতরাং পৃথিবীকে কখনই আউলিয়া শূন্য মনে করো না।”
“আমার ক্ষত হৃদয়ে, তোমার ইশকের ব্যথা যতই ব্যাখ্যা করি, সবই যেন ব্যাখ্যার বাইরে রয়ে যায়।”
“শাহ হচ্ছে হুসাইন, বাদশাহ হচ্ছে হুসাইন, দ্বীন হচ্ছে হুসাইন, দ্বীনের আশ্রয় হচ্ছে হুসাইন, মাথা দিয়েছেন তিনি কিন্তু হাত দেননি ইয়াযিদের হাতে, সত্যিই (কলেমা) লা ইলাহা (ইল্লাল্লাহ)-র ভিত্তি হচ্ছেন হুসাইন।
“হে মানুষ জেনে রাখ, মানুষ মরে পঁচে গেলেই তার মৌলিক অস্তিত্ব শেষ হয়ে যায় না। তা সুক্ষ্মভাবে সম্পূর্ণরূপে অস্তিত্বশীল হয়ে থাকে। পতন ঘটে স্থূলদেহের, মন-মস্তিষ্কের উৎকর্ষের পতন ঘটে না। তাকে মানব বীজরূপে আল্লাহ সংরক্ষিত করে রাখেন।”