শ্রী রমেশশীল আল-মাইজভান্ডারীর বাণী।
রমেশ শীল বা কবিয়াল রমেশ শীল বা রমেশ মাইজভান্ডারী। তিনি একুশে পদক প্রাপ্ত কবি। (বাংলা ২৬শে বৈশাখ ১২৮৪ চট্টগ্রাম জেলা – ২৩শে চৈত্র ১৩৭৩, ইং ১৮৭৭ – এপ্রিল ৬, ১৯৬৭) বাংলা কবিগানের অন্যতম রূপকার। কবিগানের লোকায়ত ঐতিহ্যের সাথে আধুনিক সমাজ সচেতনতার সার্থক মেলবন্ধন ঘটিয়ে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তিনি ছিলেন মাইজভান্ডারী গানের কিংবদন্তি সাধক।
১/ মাওলানা রুমির বাণী, মসনবী কিতাবে শুনি,
মাংস খেয়ে হাড্ডি রাখে সে কথাটুকু জানো।
খোদার সঙ্গে বসতে হলে, হাদীস কোরআনে বলে,
আউলিয়ার সঙ্গে বসিলে এ সমান তাহা মানো।
২/ জাহেরি এলেম জানি, এলেম নয় ভাই হিংসার খনি,
খোদার পথের ডাকাত জানি থেকো সচেতন।
৩/ এলহাম প্রাপ্ত হয় না যারা, রাসুকের নায়েব নহে তারা,
পীর বলিয়ে তুষের বাড়া, মাথামারা কেন।
৪/ আহমদের ঢাকনি দিয়া, খেলা খেলো আহা দিয়া,
নানা রুপ ধরিয়া আছো, ছল করে মাওলায়।
৫/ মিমের পর্দা উঠাইলে দেখবি ওরে মন,
রাম রহিম কৃষ্ণ করিম মূলেতে একজন।
আহাম্মদে আহাদ পাওয়া, আহাম্মদে আহাদ হওয়া,
মনসুরে আনাল হক্ব কওয়া সে কথারি কারণ।
৬/ ত্যাগ করে বেদের বিধি, মেনে লও গুরুর বিধি,
৭/ আর কি তোর স্বর্গ-নরক, গুরু তোর নরক নিবারক,
হংসের মত করে পরখ, নীর ছেড়ে ক্ষীর খাবি।
৮/ কাম কামিনীর ঝর্ণা জলে, এ দুনিয়ার পিছিল মাটি,
প্রেম রাস্তাতে চলতে হলে হকে, শক্ত রাখিস ভাবের খুটি।
৯/ মন অহংকারে দিন কাটাইলি, মানুষ হবু কেমন করে?
তোর সাধন ভজন নষ্ট হইলো হিংসা নিন্দা অহংকারে।
১০/ রমেশ কয় মন কর্মনাশা, ছাড়ো ধন গৌরবময় আশা,
যেই আশায় দুনিয়ায় আসা, হরদম থাকো সেই আশা ধরে।