কালামে কালান্দার বাবা জাহাঙ্গীর
১: সংসার ত্যাগ করতে পারলেই বৈরাগ্য হয় না – স্বকীয়তার বৃত্তের পাশবিক আর্বজনা ফেলে দিলেই হয় সত্যিকার বৈরাগ্য।
২: যুক্তির রাস্তা যেখানে শেষ , প্রেমের নদীর সেখান থেকেই শুরু।
৩: ধর্মের দালান – কোঠা যদি মানুষ – মানুষে ভালোবাসা নষ্ট করে, তবে এই পৃথিবী থেকে ধ্বংস হয়ে যাক মন্দির, মসজিদ, গীর্জা ও গ্যাগোডার সকল অস্তিত্ব। ইট- সুড়কির চেয়ে মানুষ বড়। ইট – সুড়কির চেয়ে ভালবাসা বড়।
৪: হেরোইন জমাকারীর যদি মৃত্যুদন্দ নামক শাস্তিই যোগ্য বলে বিবেচিত হয়, তাহলে যারা সম্পদ জমা করে এহেন অবস্থা তৈরি করে তাদের জন্য কী শাসিত?
৫: মারফতের মূল কেন্দ্রভূমি আপন দেহ – মন। আপন দেহ মনের পরিচয় পেলে মানুষ তার রবের পরিচয় পায়।
৬: সম্যক গুরুর প্রতি ভক্তিযোগ অথবা জ্ঞানযোগের পথ ধরলেই গোপন কথার তালা খুলে আল কেতারের দ্বার খুলে যাবে।
৭: সর্বশক্তিমান আল্লাহতে যিনি ফানা তথা নির্বাণপ্রাপ্ত হয়েছেন ইসলাম তাঁকে সর্বসময়ে জীবিত বলে দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেছে। সুতরাং যিনি সর্বসময়ে জীবিত তাঁর আস্তানাকেই কবর না বলে মাজার বলা হয়।
৮: আল্লাহকে যারা দেখলন তারা মানবের আকারেই দেখে থাকেন।
৯: ফেরেস্তা থিসিস এবং শয়তান এন্টিথিসিস এবং উভয়ের সংমিশ্রণে তথা সিনথেসিসে আমরা মানুষ পাই।
১০: তোমার আমিত্ব তোমা হতে সম্পূর্ণ দূর করে দাও, ইহাই হলো মরার আগে মরে যারার উপদেশ।
১১: প্রথম মানব আদম আ. হতে একটিমাত্র ধর্ম ইসলামের জন্ম, আর সেই একটিমাত্র ধর্মের একটিমাত্র কথা,একটিমাত্র উপদেশ,পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষদেরকে বিভিন্ন মহাপুরুষ তথা অবতার দিয়ে একটিমাত্র হেদায়েত করে গেছে। সেই একটিমাত্র হেদায়েতের নামটি হলো- নিজেকে চিনো।
১২: আইনের ভেতরে আনুষ্ঠানিক ধর্ম পালনের সুন্দরতম সামাজিক শৃঙ্খলা পেতে পারি এবং পেতে পারি সুন্দরতম নৈতিক আদর্শ, কিন্তু প্রেম কখনোই পাওয়া যায় না।কারণ, আইন প্রেমকে সহ্য করতে পারে না।
১৩: আমরা না হয় শয়তানের ধোঁকায় পড়ে শয়তানকে গালমন্দ করি, কিন্তু ফেরেস্তাদের ইমাম কার ধোঁকায় পড়ে শয়তানে পরিণত হলো?
১৪: সর উপদেশের মূল লক্ষ্য বা কেন্দ্রবিন্দু হলো আমিত্ব পরিত্যাগ করা।
১৫: যখন তুমি আল্লাহর পরিচয় প্রত্যক্ষরূপে পেয়ে যাবে তখন তোমার জন্য আর ইবাদত নেই বলেই চলে।
১৬: ইসলামে প্রেমের সম্পর্ককেই হুজুর পাক আ. উত্তরাধিকার তথা নিজ বংশের বলে ঘোষণা করেছে।
১৭: আপন ইচ্ছায় তথা নিজের স্বাধীনতায় না চলাকেই সেজদা বলে
১৮: নিরাকার আল্লাহরই একটি সাকার রূপ হলো আদম।
১৯: আল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করাকেই বলা হয় সালাত এবং এই সালাত তথা যোগাযোগকে করতে হয় কায়েম অর্থাৎ স্থায়ী।
২০: আমিত্বের অন্ধকার যখন সালাত কায়েমের দ্বারা দূর হয় তখনই প্রথম পরিচয় হয় আসল কোরান – এর তথা নূরি কোরানের- এর।
নিবেদক : আর এফ রাসেল আহমেদ