হোমপেজ বাণী ও উপদেশ শায়খ ইবনুল আরাবীর ৪০টি বাণী।

শায়খ ইবনুল আরাবীর ৪০টি বাণী।

9006

শায়খ ইবনুল আরাবীর ৪০টি বাণী।

ইবনুল আরাবীর সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ

মূল নাম মোহাম্মদ এবং পারিবারিক নাম আবু আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ইবনুল আরাবী। জন্মঃ ১৭ রমজান ৫৬১ হিজরী অথবা ২৮ জুলাই ১১৬৫ খৃষ্টাব্দে তৎকালীন আন্দালুসিয়া বা বর্তমান স্পেনের মূর্সিয়া নগরীতে জন্মগ্রহন করেন।। ওফাতঃ ২২ রবিউস সানি ৬৩৮ হিজরী মোতাবেক ১২৪০ খৃষ্টাব্দে ঔফাত লাভ করেন। মূল ধারা ও দর্শনঃ সূফিবাদ, আধ্যাত্মবাদ, কাব্য। (অহেদাতুল অজুদ দর্শনে তিনি ছিলেন অনন্য)

ইবনুল আরাবীর বাণী সমূহঃ

(১) শিরিক ধ্বংস করিয়া তৌহিদ প্রতিষ্ঠার জন্যে আমি আম্বিয়া ও আউলিয়ার সুরতে নিজেকে প্রকাশ করি। আমার মর্ম কে বুঝিবে?

(২) তোমরা আহলে বায়তের (নবী পরিবারবর্গ) সাথে কোন মাখলুককে (সৃষ্টি) সমকক্ষ করিও না, কারন তারা সকল শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী।

(৩) যদি তুমি অন্যের কষ্ট অনুভব করতে চাও, তবে তোমার নিজের আগে সেই কষ্ট অনুভব করতে হবে।

(৪) প্রজ্ঞাই (জ্ঞান) সবচেয়ে বড় সম্পদ।

(৫) যে অশ্রু তোমায় কাঁদায়, তা তোমার হৃদয়ের পুঁজ দূর করবে।

(৬) যতক্ষণ তোমার ভিতর ঈমাণ আছে ততক্ষণ তোমার শত্রুও আছে!

(৭) আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের পরীক্ষা নেন, সে সময় সবর করতে হয়। সবর কোন সহজ কাজ নয়, যে গাছ ঝড়ের সাথে তাল মিলাতে পারেনা তা ভেঙে পড়ে যায়!

(৮) তোমার চোখ দিয়ে যে অশ্রু গড়ায়, তা হৃদয়ের বাগানে প্রবাহিত হয়ে ফুলে-ফলে সাজিয়ে তোলে।

(৯) ইসলাম সম্পর্কে বুঝতে হলে তোমাকে প্রথমে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে জানতে হবে।

(১০) কোন কিছু পাওয়ার জন্য জোর জবস্তি করো না, তুমি ততটুকুই পাবে, যতটুকু আল্লাহ তোমার জন্য বরাদ্ধ রেখেছেন।

(১১) পৃথিবী হল একটি শিক্ষালয়, যেখানে আমাদের সকলকে আলাদাভাবে পরিক্ষা করা হয়। এবং আমাদের একমাত্র শিক্ষক হল আমাদের প্রভূ।

(১২) তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো, যাদের দ্বীনদারী তোমার চাইতে বেশী। এবং দুুনিয়াদারী তোমার চাইতে কম।

(১৩) যে বীজ তার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে আগ্রহী নয়, সে কখনো ফলদায়ী বৃক্ষ হতে পারে না।

(১৪) যে শুধু নিজের জন্য শান্তি খুঁজে; তার কাছে শান্তি থাকে না। শান্তি তার জন্য, যে অপরের কল্যাণে নিয়জিত।

(১৫) লোকে যদি তোমাতে মুগ্ধ হয়, তাহলে ভেবো না তুমি মুগ্ধকর। আসলে আল্লাহ যে তোমার পাপগুলোকে ঢেকে রেখেছেন, লোকে তোমার ওপর ঝুলানো আল্লাহর সেই পর্দাতে মুগ্ধ। এটা আসলে তুমি না, এটা আল্লাহর দান করা আবরণ। তোমাকে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে যাতে তুমি আরও ভালো কাজ করতে পারো এবং এইসব ধ্বংসাত্মক প্রশংসায় আত্মমুগ্ধ হয়ে না পড়ো।

(১৬) মুসলমানদের উচিৎ তাদের ইতিহাস, সর্ম্পকে জানা; যাতে তারা, তাদের দুর্ভাগ্যের অবসান ঘটাতে পারে।

(১৭) তুমি সত্যের পথে হাটলে শত্রু তোমাকে কিছুই করতে পারবেনা।

(১৮) আল্লাহর দর্শন অশরীরী অবস্থায় নয়! কিন্তু মূর্ত দৃশ্যবান স্রষ্টাকে দেখতে হলে শরীর দেহবিশিষ্ট তার সৃষ্টির রুপ দর্শন করো।

(১৯) কোনো পুরুষ যদি কোনো নারীকে সম্মান করে, তাহলে বুঝতে হবে সেই পুরুষ কোনো সম্মানীতা নারীর পুত্র।

(২০) শাহাদাত আমাদের নৈকট্য লাভের শ্রেষ্ট উপায়, কোন মুমিন ব্যক্তি জুলুমের বিরুদ্ধে, যতক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ করে যাবে – ততক্ষণ পর্যন্ত সে একজন শ্রেষ্ট মুসলিম।

(২১) শত্রুকে পরাজিত করাই বড় না, শত্রুর মনকে পরাজিত করে আল্লাহর দিকে আনাই বড় জয়!

(২২) সতোর পথে যখন কেউ পথিক হয়ে যায়, মহান আল্লাহ স্বয়ং তাঁর সাহায্যকারী হয়ে যায়।

(২৩) আমরা শূন্য থেকে এসেছি, শূন্যে ফিরে যাবো।

(২৪) কোন পাপই আল্লাহর রহমত থেকে বড় নয়।

(২৫) এখন তোমারাও সেরকম পুনরুত্থানের দিন গণনা করছো, বীজ যেমন মাটি থেকে অঙ্কুরিত হওয়ার দিন গণনা করে।

(২৬) নিজের উপর আস্থা রাখো, আল্লাহর উপর নির্ভরশীল হয়ে এগিয়ে চলো।

(২৭) ধনুক যতো জোরে টানবে, তীর ও ততো দূরে যাবে।

(২৮) সাধারণ বান্দা থেকে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হবার, সব থেকে বড় ভূমিকা শয়তানের।

(২৯) ভেঙে পড়নো, হতাশ হয়োনা, ছোট ছোট পরাজয় বৃহৎ জয়েরই হাতছানি। তোমার প্রতিটি পরাজয়ই জয়ের আহবান।

(৩০) যে কথা গোপন রাখতে জানে না, তাকে গোপন কথা বলো না।

(৩১) ব্যথা সবসময় ক্ষণস্থায়ী। আঘাত না পেলে বিজয়ের আনন্দ কখনো উপভোগ করা যায়না।

(৩২) কারো গন্তব্য তাঁর প্রচেষ্টার আলোকেই নির্ধারিত হয়।

(৩৩) তোমার দৃষ্টি তোমার আয়না। মনে রেখো তুমি অন্যকে যেভাবে দেখবে অন্যরাও তোমাকে ঠিক সেভাবেই দেখবে!

(৩৪) মানুষ পানি দ্বারা ধৌত করলে কাপড় বদলায়, ঘাম দ্বারা ধৌত করলে ভাগ্য বদলায়, আর রক্ত দ্বারা ধৌত করলে ইতিহাস বদলায়।

(৩৫) শূন্য থেকে এসেছি, শূন্যেই ফিরে যাবো। চোখ কান সব সময় খোলা রেখো, কুয়াশায় পথ হারিয়ও না, বন্য প্রাণীদের খাবার হইও না।

(৩৬) যদি কেউ লড়াই করে তা দখলও করে, তবে শুধু মাত্র দখলদার হতে পারবে আর কিছু না।

(৩৭) দুঃখ করো না, শুধু ঈমান ধরে রেখো। জোর করেও কেউ এর মালিক হতে পারবে না।

(৩৮) ফু…এই নিঃশ্বাস যদি না নেয়া যেত মানুষ এখানে থাকত না। কিন্তু আমরা সত্য দেখতে পাইনা, আল্লাহকে স্মরণ করিনা।

(৩৯) পৃথিবীর সমস্ত সৌন্দর্য এবং যত চমক সব কিছুর ব্যবস্থা শুধু মাত্র মানুষের জন্য, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য, মানুষের সুখ ও শান্তির জন্য।

(৪০) পৃথিবীতে মানুষ হল সৃষ্টিকর্তার মোহর। বৃক্ষ, পাখি, পাহাড়, মহা সমুদ্র, নদী এগুলো কেন? সূর্য কেন পৃথিবীকে আলো দেয়? চাঁদ কেন রাতকে মহিমান্বিত করে? সমুদ্রের উত্তাল স্রোত কেন খেলা করে? কেন নদী বয়ে চলে? সূর্যোদয় কেন হয়? কেনই বা সূর্যাস্ত হয়? = সবই মানুষের জন্য।