তাপসী রাবেয়া বসরী (রাঃ) এর ১৫টি বাণী।
হযরত রাবেয়া বসরী (রাঃ) ছিলেন একজন মহিলা মুসলিম সাধক এবং মহিলা সূফী ব্যক্তিত্ব। তিনি ইরাকের বসরা নগরীর এক দরিদ্রপল্লীতে জন্ম গ্রহণ করেন। ৯৫ হিজরী, মতান্তরে ৯৯ হিজরির ৭১৯ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে ইরাকের বসরা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ইসমাঈল ও মাতার নাম মায়ফুল।
“পরশ্রীকাতর ও লোভী ব্যক্তি কখনো শান্তি পায় না।”
“যার আত্মা জাগ্রত, তার বন্ধুর প্রয়োজন নেই।”
“আল্লাহর সাথে একদিন মিলন হবে, এই আশা, এই বিশ্বাস রাখবে।”
“যে ব্যক্তি বন্ধুর দেওয়া আঘাত, বন্ধুর দর্শনে ভুলে যায়, সেই প্রকৃত বন্ধুত্বের দাবিদার।”
“ওহে মানবরা! শুধু মাত্র ইন্দ্রিয়ের সাহায্যেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায় না। হাত, পা, জিহ্বা এবং কান দিয়েও তা সম্ভবপর নয়। কারণ, কান শ্রোতা ও পদদ্বয় চালক মাত্র। কিন্তু তাঁর সম্পর্ক শুধু ক্বলবের সঙ্গে।”
“আমি শয়তানকে ঘৃণা করিনা, কারণ আমি আমার স্রষ্টার ভালোবাসায় এতটাই বিভুর যে, তাকে ঘৃণা করার সুযোগ পাইনা।”
“যিনি ঈশ্বরের নিকট হতে প্রার্থনা পূর্বক হৃদয় প্রাপ্ত হন এবং তৎক্ষণাৎ সেই হৃদয় ঈশ্বরকে প্রত্যার্পণ করেন, তিনিই ঋষি।”
“আল্লাহর সম্পর্ক হৃদয়ের সঙ্গে। অতএব হৃদয়ের জাগরণ খুব জরুরী। যার হৃদয় জেগে থাকে, তার কোন বন্ধুর প্রয়োজন নেই।”
“আমার অন্তর ভরে আছে আল্লাহর প্রেমে। সেখানে অন্য কারোর জন্য ভালোবাসা বা ঘৃণা প্রকাশ করার কোনো জায়গা নেই।”
“হে আল্লাহ! আমি যদি জান্নাতের লোভে ইবাদত করি, তাইলে আমি যেন কখনই জান্নাতে না যাই আর আমি যদি জাহান্নামের ভয়ে তোমার ইবাদত করি, তাইলে যেন আমি জাহান্নামে যাই। কিন্তু আল্লাহ আমি যদি শুধু তোমার ভালবাসায় তোমার ইবাদত করি, তাইলে আমি যেন কখনই তোমার দর্শন থেকে এক মূহূর্ত বঞ্চিত না হই।”
“হে দয়াময় প্রভু, তুমি দুনিয়াতে আমার জন্য যা নির্ধারন করেছ, তা আমার শত্রুকে দিয়ে দাও। আখেরাতে যা নির্ধারন করেছে তা আমার মিত্রকে দিয়ে দাও। আর শুধু তুমি আমার হয়ে যাও।”
“আল্লাহর সম্পর্ক হ্নদয়ের সঙ্গে, অতএব হ্নদয়ের জাগরন খুব জরুরী, যার হ্নদয় জেগে থাকে, তার কোন বন্ধুর প্রয়োজন নেই।”
“বিয়ে তো তারই দরকার যার দেহ আছে। কিন্তু আমার তো শরীরই নাই, আমি তো স্বীয় শরীরের মালিক নই, সমস্তই তাঁহাতে বিলীন করে দিয়েছি।”
“পরমকে তাঁর সত্তারগুনেই ভালবাসতে হবে, ভয় বা কোনো কিছু প্রাপ্তির লোভে নয়।”
“আপন হৃদয়ের গোপনপুরে যে পাপ, অন্ধকার, আবর্জনা বাসা বেধেছে তা ধৌত করে মন পরিষ্কার করতে না পারলে মাহবুবকে পাওয়া যায় না।”
– নিশাত ওয়াহিদ