বায়াত গ্রহণ ছাড়া মুসলমান হওয়া যায়না (কুরআনের ঘোষণা)।

বায়াত গ্রহণ ছাড়া মুসলমান হওয়া যায়না (কুরআনের ঘোষণা)।

বায়াত গ্রহণ ছাড়া মুসলমান হওয়া যায় না। পবিত্র কুরআন শরীফে আল্লাহ এটি স্পষ্ট ঘোষণা করছেন। আসুন জেনে নিই কোরআন ও হাদিসের আলোকে।

“হে রাসূল (সঃ) যারা আপনার হাতে বায়াত গ্রহন করে তারা আল্লাহর হাতেই বায়াত গ্রহন করে। আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর”। (সূরা আল ফাতহ ৪৮: আয়াত নং ১০)।

“যে ব্যক্তি রাসূলের অনুসরণ করলো, প্রকারান্তরে সে আল্লাহকেই অনুসরণ করলেন”। (সূরা আন নিসা, আয়াত নং ৮০)।

“সাবধান! নিশ্চয় আল্লাহর অলীগননের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না”। (সূরা ইউনুস ১০: আয়াত নং ৬২)।

“আমি আমার সৃষ্টির ( মানুষ) মধ্যে এমন একদলকে সৃষ্টি করেছি যারা মানুষকে সৎ পথ দেখাবে এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করবে”। (সূরা আল আ ‘রাফ ৭ : আয়াত নং ১৮১)।

“(হে রাসূল) যাকে আমি পথভ্রষ্ট করেছি, তার জন্য কোন মোর্শেদ খুঁজে পাবে না”। (সূরা আল আ’রাফ, আয়াত নং ১৮৬)।

“তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, (হে রাসূল) তার জন্য কোন মোর্শেদ অভিভাবকরুপে পাবেন না”। (সূরা আল কাহফ, আয়াত নং ১৭)।

“আল্লাহ যাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন, তারা হলেন – নবীগণ, সত্যবাদীগণ, শহীদগণ ও সৎকর্ম পরায়ন ব্যক্তিগণ”। (সূরা আন নিসা, আয়াত নং ৬৯)।

“নিশ্চয় আল্লাহর দল বিজয়ী”। (সূরা আল মায়িদাহ, আয়াত নং ৫৬)।

“তাঁরাই আল্লাহর দল, জেনে রাখ আল্লাহর দলই বিজয়ী”। (সূরা আল মুজাদালাহ, আয়াত নং ২২)।

“হে হাবীব (সঃ)! আপনি যে বালি নিক্ষেপ করেছিলেন, তা আপনি করেননি। বরং আল্লাহ নিজেই তা নিক্ষেপ করেছিলেন”। (সূরা আল আনফাল, আয়াত নং ১৭)।

“যারা মু’মিন আল্লাহ তাদের অভিভাবক “। (সূরা আল বাকারা, আয়াত নং ২৫৭)।

“তিনি রাহমান (আল্লাহ), তার সমন্ধে যে অবগত আছে তাকে জিঙ্গেস করো”। (সূরা আল ফোরকান, আয়াত নং ৫৯)।

“নিশ্চয় আমি ভূ- পৃষ্ঠা আমার প্রতিনিধি প্রেরণ করবো”। (সূরা আল বাকারা, আয়াত নং ৩০)।

“আমি মানুষকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেছি”। (সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত নং ৭০)।

“আমি রাসূল প্রেরণ না করা পর্যন্ত কাউকে শাস্তি প্রদান করি না”। (সূরা বণী ইসরাঈল, আয়াত নং ১৫)।

“তাদের নিকট এমন কোন নবী রাসূল আসেনি, যাকে তারা ঠাট্টা করতো না”। ( সূরা হিজর, আয়াত নং ১১)।

“তারা নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করতো”। ( সূরা বাকারা, আয়াত নং ৬১ )।

“মানুষ কি তা মনে করে যে, তারা যদি মুখে মুখে বলে, আমরা ঈমান এনেছি, তাহলে কি তাদেরকে বিনা পরীক্ষায় খাঁটি প্রেমিক বলে ছেড়ে দেব”? (সূরা আনকাবুত, আয়াত নং ২)।

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুসলমান না হয়ে মরিও না”।

“হে মু’মুেনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সাদেকীন অর্থাৎ অলী – আল্লাহদের সঙ্গ লাভ কর “। (সূরা তাওবা, আয়াত নং ১১৯)।

হযরত রাসূল পাক (সাঃ) বলেনঃ

“যে ব্যক্তি আমার বন্ধুর সাথে শক্রুতা পোষণ করে, আমি তাকে আমার সাথে যুদ্ধের জন্য আহবান করি”। (বোখারী শরীফ ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা নং ৯৬৩। এবং মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা নং ১৯৭)।

“মানুষ আমার রহস্য, আর আমি মানুষের রহস্য”। (সিররুল আসরার, পৃষ্ঠা নং ১৯)।

“তোমরা আল্লাহর চরিত্রে চরিত্রবান হও”। (শরহে আক্বীদাতুত তাহাবিইয়্যাহ ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং ১৭৭)।

“তোমাদের মধ্যে আমার মত কে আছে, আমি আমার প্রভুর নিকট রাত্রি যাপন করি, তিনি আমাকে খাওয়ান ও পান করান”। (বোখারী শরীফ ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং ২৬৩)।

“সাবধান ! নিশ্চয় আল্লাহর অলীগণ অমর”।

“যে আমাকে স্বপ্নে দেখেছে, সে হককে (আল্লাহ) দেখেছে”। (শামায়েল তিরমিযী, পৃষ্ঠা নং ২৮)।

“আসমান ও জমিনের কোথাও আল্লাহর সংকুলান হয় না, কেবলমাত্র মোমেন ব্যক্তির হৃদয়েই তার সংকুলান হয়ে থাকে “। (মসনবী শরীফ)।

“নিশ্চয় মহান মহিমাময় আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক শতাব্দীর শিরোভাগে এ উম্মতের জন্য এমন এক ব্যক্তিকে প্রেরণ করেন, যিনি ধর্মকে সজীব ও সতেজ করে তোলেন”। (মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা নং ৩৬)।

“যে ব্যক্তি তার জামানার ইমামকে চিনতে পারলো না এবং এ অবস্হায় যদি মৃত্যু ঘটে, তবে তার মৃত্যু অন্ধকারে নিমজ্জিত ও নিপতিত হবে”। (মজমুয়ায়ে ফতুয়া)।

“সাবধান! আল্লাহর অলীগন অমর। মোমেন ব্যক্তির ক্বালবই আল্লাহর আরশ। মোমেন ব্যক্তি কাবার চেয়ে অধিকতর সম্মানিত”। (ইবনে মাজা)।

“নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং, তার ফেরেশতাগন, আসমান জমিনের বাসিন্দারা, এমনকি গর্তের পিপিলিকা ও সমুদ্রের মাছেরা পর্যন্ত ঐ ব্যক্তির উপর দরুদ পাঠ করে, যিনি মানুষদেরকে উত্তম শিক্ষা দান করে থাকেন”। (মেশকাত শরিফ, পৃষ্ঠা নং ৩৪)।

“বান্দা নফল ইবাদত দ্বারা আমার এত নিকটবর্তী হয়ে যায় যে, আমি তাকে ভালবাসতে থাকি, আর যখন আমি তাকে ভালবাসতে থাকি তার কর্ণ হয়ে যাই, যে কর্ন দ্বারা সে শোনে; চোখ হয়ে যাই, যে চোখ দ্বারা সে দেখে; হাত হয়ে যাই, যে হাত দ্বারা সে ধরে; পা হয়ে যাই, যে পা দ্বারা সে চলে; কোন বিষয়ে প্রার্থনা করা মাএ আমি অবশ্যই তা দান করে থাকি এবং কোন বিষয়ে মাফ চাওয়া মাএ আমি অবশ্যই তা মাফ করে থাকি”।

(বোখারি শরিফ, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা নং ৯৬৩, মেশকাত শরিফ, পৃষ্ঠা নং ১৯৭ এবং তাফসীরে মাজহারি ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং ৫৮)।

“যে নিজের নফসকে চিনতে পেরেছে, সে তার প্রভুকে চিনতে পেরেছে”। (সিররুল আসরার, পৃষ্ঠা নং ১৮)।

“যিনি মাওলার হয়ে যান, তামাম মাখলুকাত তার হুকুমের গোলাম হয়ে যায়”।

মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি বলেনঃ

“আল্লাহর অলীকে ভালবাসা আকবরী হজ্বের চেয়েও অধিক ফজিলতপূর্ণ”।

“লাখ কাবার চেয়ে অলী আল্লাহর এক দিলের মর্তবা অনেক বেশী”।

“এই কাবা নির্মিত হয়েছে পানি ও পাথর দিয়ে, আর অলী আল্লাহর দীল তৈরি হয়েছে আল্লাহর নূর দিয়ে”।

“এক মুহূর্ত কোন অলীর সংসর্গে থাকা একশত বছর রিয়ামুক্ত ইবাদতের চেয়ে উত্তম”।

“হে বেখবর! তুমি যদি আল্লাহর হুজুরের পৌঁছাতে ইচ্ছা কর, তবে অবশ্যই কোন কামেল অলীর পদধূলি হয়ে যাও। সমস্তকে ত্যাগ করে তুমি কোন কামেল অলীর গোলাম হয়ে যাও, তবেই তুমি ধর্মের স্বাধ গ্রহণ করতে সফল হবে”।

“অলী আল্লাহর দিল কাবায় মহান প্রভু আল্লাহ বসবাস করেন “।

(সূত্র : মসনবী শরিফ)।

সারা বিশ্বজাহানে তিন শ্রেণীর অলী আল্লাহ বিদ্যমান রয়েছেন।
১/ হাদী
২/ মাজ্জুব
৩/ দেশ রক্ষক

হাদী শ্রেণীর অলী আল্লাহ বলা হয় তাদের, যারা মানুষকে হেদায়েতের কাজে নিয়োজিত থাকেন। তাদের মধ্যে চারটি স্তর রয়েছে। নিম্নে পেশ করা হলো।

১/ অলী- আল্লাহ
২/ অলীয়ে কামেল
৩/ অলীয়ে মোকাম্মেল
৪/ মোজাদ্দেদে জামান বা যুগের ইমাম।

মাজ্জুব শ্রেণীর অলী আল্লাহ বলা হয় তাদের, যাঁরা সর্বাবস্হায় আল্লাহর এশকে দেওয়ানা থাকেন।

দেশ – রক্ষক অলী আল্লাহর মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণী স্তর রয়েছে। নিম্নে ক্রমানুসারে পেশ করা হলো।

১/ কুতুবুল আকতাব – (সারা বিশ্ব) – ১ জন
২/ গাউস – (সারা বিশ্ব) – ২ জন
৩/ আওতাদ – (সারা বিশ্ব) – ৪ জন
৪/ আবদাল – (সারা বিশ্ব) – ৭ জন
৫/ আখিয়ার – (সারা বিশ্ব) – ৭০ জন
৬/ নুজাবা, নুকাবা – (সারা বিশ্ব)- ৩০০ জন
৭/ কুতুব – (সারা বিশ্ব) – অসংখ্য

বায়াত অর্থ আনুগত্য স্বীকার করা এবং অঙ্গীকার বদ্ধ হওয়া। নিজের আমিত্ব স্বত্তা বিলীন করে দিয়ে অলী আল্লাহর গোলামী করা। আর মুসলমান শব্দের অর্থ হলো, আত্মসমর্পণ করা। আল্লাহর মনোনীত মহামানব অর্থাৎ অলী আল্লাহর কাছে গিয়ে নিজেকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। ডাক্তারের ঘরে জন্মগ্রহণ করলে যেমন ডাক্তার হওয়া যায় না। ঠিক তেমনি মুসলমানের ঘরে জন্মগ্রহণ করলে মুসলমান হওয়া যায় না। মুসলমান হতে চাইলে একজন কামেল অলী আল্লাহর কাছে গিয়ে আত্নসমর্পন করতে হবে। তবেই আপনি মুসলমান হতে পারবেন।

আল্লাহর মনোনীত অলী আল্লাহরা জগতের বুকে আসে মানুষকে হেদায়েত করার জন্য। নবুয়তের যুগে আসত নবী রাসূলরা এবং বেলায়াতের যুগে আসবে অলী আল্লাহগণ। হযরত রাসূল পাক সঃ ব্যতীত, নবীদের চেয়ে অলী আল্লাহদের শান ও মর্যাদা অনেক বেশী। নবীদের যুগে বহু নবীকে কাফেররা হত্যা করেছে এবং জগতে এমন কোন নবী ও রাসূল নেই যে, সেই নবী অত্যাচারের স্বীকার হয় নাই। ঠিক তেমনিভাবে অলী আল্লাহরা জগতের বুকে অসংখ্য অত্যাচারের স্বীকার হন।

ইমাম হোসাইন শুধুমাত্র এই বায়াত প্রথার জন্যই কারবালার প্রান্তরে নরপিশাচ কাফের এজিদ বাহিনী কর্তৃক নির্মমভাবে হত্যার স্বীকার হন। ইরাকের কুফার ৪০ হাজার মানুষ ইমাম হোসাইনের কাছে বায়াত গ্রহণ করার জন্য মনস্থির করেন। তাই ইমাম হোসাইন কুফার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ইমাম হোসাইনের হাতে যাতে মানুষ বায়াত গ্রহণ করতে না পারে এবং বায়াত প্রথাকে চিরতরে বিলুপ্ত করার জন্য নরপিশাচ কাফের এজিদ কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসাইনকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

তারপর এজিদ এই বায়াত প্রথার বিরুদ্ধে অসংখ্য জাল হাদিস তৈরি করে এবং যা আজও সমাজে বিদ্যমান রয়েছে। যে ৪০হাজার লোক বায়াত গ্রহন করতে চেয়েছিল, তারা কিন্ত সবাই কালেমা পড়া মুসলমান ছিল। একজন ব্যক্তিও ইহুদি, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ এবং হিন্দু ছিল না। তবুও তারা বায়াত গ্রহণ করতে চেয়েছিল কেন? তারা তো বলতে পারত, আমাদের কাছে কোরআন ও হাদিস আছে এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ব। আমরা কেন মাওলা ইমাম হোসাইনের কাছে বায়াত গ্রহণ করব। কারণ তারা জানত বায়াত গ্রহন না করলে মুসলমান হওয়া যাবে না। তাই তারা বায়াত গ্রহণ করতে চেয়েছিল। বায়াত প্রথা প্রথম প্রকাশ্যে বিরোধিতা করে নরপিশাচ কাফের এজিদ। আজও তার অনুসারীরা বায়াত প্রথা বিরোধিতা করে আসছে।

যে বায়াত প্রথার জন্য ইমাম হোসাইন কারবালার প্রান্তরে জীবন দিল, সেই বায়াত প্রথা অস্বীকার করা মানে স্বয়ং ইমাম হোসাইনের বিরোধিতা করা। আর ইমাম হোসাইনের বিরোধিতা করা মানে রাসূল পাক (সঃ) এর বিরোধিতা করা। আর রাসূল পাক (সঃ) এর বিরোধিতা করা মানে স্বয়ং আল্লাহর বিরোধিতা করা। তাহলে আপনারা বলেন, আল্লাহ ও রাসূল পাক (সঃ) এর বিরোধিতা করে আপনি কিভাবে মুসলমান হবেন। নিশ্চয়ই আপনি মুসলমান তো দুরের কথা বরং কাফেরে পরিণত হবেন।

আপনারা হয়তো বা বলতে পারেন আমরা কিভাবে আল্লাহর মনোনীত মহামানব অর্থাৎ অলী আল্লাহ চিনব? একটি বিষয় মনে রাখবেন বিশ্বাসের নাম ধর্ম এবং ধর্মই বিশ্বাস। যার বিশ্বাস নাই, তার ধর্ম নাই।

নিম্নে একটি দরুদ পেশ করা হলোঃ

“আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলা ইমাম মাহদী রাহমাতাল্লিল আলামীন ওয়া আলিহি ওয়াছাল্লিম”।

বাংলা অর্থঃ “হে আল্লাহ! রহমতে কামেলা নাযিল কর আমাদের নেতা সৃষ্টিকুলের করুণার আধার হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ও ইমাম মাহদী এবং তাঁদের পরিবার – পরিজনের উপর”।

এই দরুদটা মূলত পাকপান্জাতন এবং ইমাম মাহদীর উপর। এটাই পাক পান্জাতন ও ইমাম মাহাদী দরুদ। যা আপনাকে অভিষ্ট লক্ষে পৌঁছাতে সক্ষম।

এই দরুদটি প্রতিদিন ৫০০ বার পড়তে হবে, একটানা চল্লিশ দিন। আর আপনি শুয়ার সময় মনে মনে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবেন, ওগো দয়াল মাওলা, দয়াল খোদা তুমি তো দয়ার সাগর। তোমার দয়াতে আমি অধম বেঁচে আছি। তোমার দয়া ছাড়া এক মুহূর্ত বাঁচতে পারব না।

তুমি দয়া করে এই অধমকে, তোমার মনোনীত মহামানব অর্থাৎ অলী আল্লাহর সন্ধান আমাকে দাও। আমি তো অন্ধ, চোখ থাকতেও তোমার অলী বন্ধুকে চিনি না। তুমি দয়া করে আমাকে চিনিয়ে দাও। এভাবে আল্লাহর নিকট কান্নাকাটি করে প্রার্থনা করবেন। একা একা শুয়ার সময় মনে মনে এগুলো বলার চেষ্টা করবেন।

আল্লাহ অপার দয়াময়, তিনি আপনার প্রতি দয়াশীল হলে, অবশ্যই ৪০ দিনের মধ্যে আল্লাহর মহান বন্ধু অলী আল্লাহকে স্বপ্নে আপনাকে দেখাতে পারেন। তবে আমি আশাবাদী, আল্লাহ দয়া করলে অবশ্যই দেখতে পারবেন।

যদি আপনার বিশ্বাস হয়, তাহলে আপনি পড়বেন আর বিশ্বাস না হলে পড়ার দরকার নাই। কারণ বিশ্বাস ছাড়া কোন কিছু হয় না। বিশ্বাসই পরম ধর্ম। বিশ্বাস নাই যার, ধর্ম নাই তার।

এখন আপনারাই বলুন, যারা অলী আল্লাহর বিরোধি করে তারা কি রাসূলের দুশমন নয়? রাসূল পাক (সঃ) এর দুশমন থেকে সদাসর্বদা সাবধানে থাকবেন। কারণ সে নিজে ঈমানহারা হয়েছে এবং অন্যকে ঈমানহারা করতে সদাসর্বদা ব্যস্ত।

“হে আমার মহান আল্লাহ তুমি সবাইকে হেদায়েত দান কর এবং তোমার মনোনীত অলী আল্লাহর সন্ধান সবাইকে দিয়ে দাও। এতে তো তোমার কোন ক্ষতি অথবা লাভ হবে না। বরং তোমার অলী আল্লাহর সন্ধান না পেলে আমরা বড়ই ক্ষতিগ্রস্ত হব। নিশ্চয়ই তুমি তা চাও না। তুমি তো বড়ই দয়াশীল, আমাদের অপরাধ তুমি নিজগুনে ক্ষমা করুন। আমাদের দয়া না করলে, তোমার ‘রাহমানুর রাহীম’ নামের আজ কলংক হবে। তোমার দয়া থেকে আমাদের নিরাশ করো না। আমিন।

সূত্রঃ আল্লাহ কোন পথে।

নিবেদক : অধম পাপী মোজাম্মেল পাগলা।

পীর-মুর্শিদ প্রশঙ্গে আরো কিছু দলিল ভিত্তিক পোস্ট নিচে দেয়া হলো:

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel