কারবালা সত্য মিথ্যার মাপকাঠি
কারবালা একটি নাম নয়, একটি জাগরণ, বাতিলের ত্রাস। কারবালা সত্য মিথ্যার মাপকাঠি, যে নাম শুনলে মুমিনের হৃদয়ে অনুভব হয় বেদনা, ঝড়ে পড়ে অশ্রু। যে নাম মজলুম অসহায় মানুষের মনে জোগায় সাহস। মুমিন যদি একবার তাকায় দেখতে পায় ঐ যে ফুরাতের পানি কলকল রবে বয়ে যাচ্ছে অথচ রাসূলের সন্তানগণ পিপাসায় কাতরাচ্ছে। “গড়াগড়ি দিয়ে দিয়ে কাঁদে কচি মেয়ে ফাতেমা, আম্মা গো পানি দাও ফেটে গেল ছাতি মা।” ঐ যে, দেখা যায় শিশু আলী আসগরের তাজা রক্তে ইমাম হোসাইনের সমস্ত শরীর লালে লাল, ক্ষতবিক্ষত আলি আকবর, আব্বাস ইবনে আলী (আ.)। ঐ যে পড়ে আছে ৭২ জনের মাথা বিহিন লাশ। যে বদনে হাজারো চুমু আদর করেছেন আল্লাহর রাসূল। হযরত আলী ফাতেমা (আ.) যার জন্য মাতোয়ারা সে নূরানী বদনে ৩৩টি বর্শা, ৪৩টি তরবারীর আঘাত।
» কারবালার ময়দানের ৭২ জন শহীদের নাম মুবারক
বিবস্ত্র করে নুরানী লাশের উপর দাবড়িয়েছে ঘোড়া। কি পাষন্ড! কি নিদারুণ দৃশ্য! এ তাজা রক্তের স্রোত বারবার মুমিনের মাঝে জাগায় ঈমানী চেতনা। শরীয়ত, তরীকত, হাকীকত ও মারফতের কেন্দ্র এই কারবালা। কিন্তু এ মহান ব্যক্তিদের নাম পর্যন্ত আমরা অনেকে জানি না। তাই হারিয়ে যাওয়া চেতনাকে আবার জাগিয়ে তুলতে, বরকতের সাগর মহাসাগরের সাথে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করতে প্রয়োজন বার বার শহীদানে কারবালাকে স্মরণ। তাই আসুন গভীর ভালবাসা ও সম্মানবোধ নিয়ে স্মরণ করি শহীদানে কারবালাকে। শোক ও মাতম করার অর্থ হচ্ছে জালিমের জুলুমের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন এবং শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন।
আজ থেকে প্রায় ১৫০ বছর পূর্বে অষ্টগ্রামের সু-প্রখ্যাত আউলিয়া হোসাইনী আদর্শের রূপকার নয় কোষার জমিদারী ত্যাগী হযরত সৈয়দ নাসিরুদ্দিন সিপাহসালার অর্ধঃস্তন পুরুষ ইমাম হোসাইনের বংশধর হযরত সৈয়দ আলাইমিয়া আল হোসাইনী সাহেব (রহঃ) ইমাম হোসাইনের প্রেমে কারবালার নিদর্শনের স্মৃতি জাগ্রত রেখে গেছেন ইমামবাড়া, শোক মাতম, জারি মর্সিয়া ও তাজিয়ার মাধ্যমে।