
কোরান এবং আহলে বাইত অখণ্ড ও অবিভাজ্য
– সৈয়দ কুতুবউদ্দিন আহমেদ আল হোসাইনী চিশতী
আল্লাহর বাণীর সমষ্টিই আল কোরান যার ভিত্তিমূলে রয়েছে গতিময়তাদানকারী মহাশক্তি পাক পাঞ্জাতন। এভাবেই “কোরান এবং আহলে বাইত অবিচ্ছেদ্য” নবীর উক্ত বাণী যাঁরা শুনেছেন, মেনেছেন এবং বিশ্বাস করেছেন তাঁরাই প্রকৃত মোমিন। আর যারা জানতে চায়নি বা জেনেও মানতে চায়নি তারা নিতান্তই নির্বোধ।
যারা তা বিশ্বাস করে না বরং বিরোধিতা করে তারা প্রকৃত মোমিন হতেই পারে না। ইয়াজিদপন্থী আলেম নামধারী জালেমেরা মহররমের দশ তারিখে আশুরা পালন করার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করে, আর ইমাম হোসাইন (আ.) ও তার পরিবারবর্গ এবং বন্ধু-বান্ধবদের ধর্মের জন্য নির্যাতিতভাবে শাহাদত বরণের নিমিত্তে শোক দিবস পালনে নিরুৎসাহিত করে থাকে।
ইমাম হোসাইনের বিষাদগ্রস্ত অবস্থার ইতিবৃত্ত আলোচনা, আহাজারি ও মাতম করাকে হারাম বলে গণ্য করে এবং কোর্মা, পোলাও, বিরিয়ানি আহারসহ আনন্দমেলা বসাতে জনগণকে অনুপ্রাণিত করে। অধিকন্তু তারা আরও বলে, ইমাম হোসাইনের (আ.) শাহাদাত সংক্রান্ত আলোচনা, মাহফিল, মজলিস, শোক মিছিল, গাসত, গজল, কাসিদা, জারিগান ও মর্সিয়া ইত্যাদি কারবালার চর্চায় নিষিদ্ধ। কারণ এতে নাকি অনেক মুসলমানের প্রতি বিতৃষ্ণার ভাব ও শত্রুতার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে এতে মুসলমানদের ঐক্য বিনিষ্ট হবার আশঙ্কা রয়েছে।
এখানে তাদের উদ্দেশ্য হলো মানুষ অন্য চর্চায় ব্যস্ত থাকুক, ইমাম হোসাইনের চর্চা বিলুপ্ত হোক। যাতে কেউ আর জানতে না পারে ইমাম হোসাইন কেন শহীদ হলেন? কি কারণে, কোন অবস্থায় শহীদ হলেন এবং কে বা কারা তাঁকে কোন অবস্থায় শহীদ করল? তাদের ইচ্ছাই হলো ইয়াজিদপন্থী মুসলমানদের ধর্মদ্রোহিতা এবং তাদের অপকর্ম ও নবীর পরিবারের প্রতি বিদ্বেষী আচার-আচরণ লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যাক। তবে তারা আহলে বাইতের দুশমনদেরকে সুকৌশলে বাঁচানোর জন্য যত অপচেষ্টাই করুক না কেন, মহান আল্লাহ কখনও তাদেরকে সফলকাম হতে দেবেন না।
সূত্র- নিয়ামতে খোদা আহলে বাইতে মোস্তফা