মাওলা আলীর শান-মান: পর্ব-২৫
দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) বলেছেনঃ
صَاحِبُ سِرِّي عَلِيُّ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ.
“আলী আমার গোপন রহস্যকথার একমাত্র আঁধার!”
(আল ফেরদৌস ২:৪০৩/৩৭৯৩,আল ইমাম আলী (আ.)– ইবনে আসাকির ২:৩১১/৮২২)।
দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) বলেন, আলী আমার গোপন রহস্যের একমাত্র আঁধার। শরিয়ত আমার কথা, তরিকত আমার কাজ, হাকিকত আমার অবস্থা এবং মারেফাত আমার নিগূঢ় রহস্য। তাহলে এখন প্রশ্ন জাগে, দয়াল রাসূল (সাঃ) এর নিগূঢ় রহস্য কি? মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর নুরকে দ্বিখণ্ডিত করে একটি নাম দিলেন নুরে মোহাম্মদী এবং অপরটির নাম দিলেন আহাদ। এই আহাদি স্বত্ত্বাটি চিরতরে নুরে মোহাম্মদী স্বত্ত্বার সাথে মিশে একাকার হয়ে মহাশক্তিশালী রুপ ধারণ করে। নুরে মোহাম্মদী স্বত্ত্বাই জগতকে আলোকিত করছে এবং হেদায়েতের সুমহান কাজটি করে যাচ্ছে যুগে যুগে ভিন্ন নামে ভিন্ন রুপে। হাকিকতে এই আহাদি স্বত্ত্বাটি ছিলো মাওলা আলী। দয়াল রাসূল (সাঃ) এর গোপন রহস্য নিয়ে কেয়ামত পর্যন্ত লেখালেখি করলেও অধমের পক্ষে বিন্দুমাত্র বলা সম্ভব নয়।
পৃথিবীর সমস্ত গাছ যদি কলম হয় আর সমস্ত সমুদ্রের জল যদি কালি হয়, তবুও জল শেষ হয়ে যাবে গাছগুলো নিস্তেজ হয়ে যাবে। কিন্তু দয়াল রাসূল (সাঃ) এর গুণগান বিন্দুমাত্র বলা সম্ভব হবে না। মাওলা আলীই একমাত্র দয়াল রাসূল (সাঃ) এর সমস্ত গোপন রহস্য জানে। অন্য সাহাবী তো দুরের কথা বরং পৃথিবীর কোন মানুষের পক্ষে বিন্দুমাত্র জানা সম্ভব নয়। দয়াল রাসূল (সাঃ) এবং মাওলা আলী দুটি দেহধারী হলেও প্রাণ একটি। তাঁরা দুজন এক এবং অভিন্ন।
নিবেদক : অধম পাপী মোজাম্মেল পাগলা।
