শবে বরাত কাদের জন্য, কারা পুরস্কৃত হবে।

শবে বরাত কাদের জন্য, কারা পুরস্কৃত হবে।

  • ১. শবে রবাত (সুপ্রসন্ন রজনী/মুক্তির রজনী)।
  • ২. লাইলাতুল বরাত (পুরুষ্কারের রজনী/রহমতপ্রাপ্তির রজনী)।
  • ৩. লাইলাতুল কিসমা, (তকদির পরিবর্তনের রজনী/ক্ষমার রজনী)।
  • ৪. লাইলাতুল মিরাজ, (আত্মদর্শনের রজনী/খান্নাস ত্যাগের রজনী )।
  • ৫. লাইলাতুল কদর, (শক্তিশালী রজনী/রূহ নাজিলের রজনী)।
  • ৬. লাইলাতুল মুবারাকা (মর্যাদাপূর্ণ রজনী/কোরান নাজিলের রজনী)।

এ সকল রজনী নামে ভিন্ন হলেও মূলে একই রজনী। যিনি একটি রজনীর উপযুক্ত হয়েছেন সকল কল্যাণ তাঁর জন্যই বরাদ্দ। এ সকল রজনী একজন সাধকের জন্য পুরুষ্কারের রজনী এবং একজন সাধকের জন্য বিশেষভাবে নির্ধারিত। এই সকল পুরস্কারের রজনী সবার জন্য বরাদ্দ নয়। এ সকল পুরস্কারের লগ্ন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বাজেট করেছেন যারা দীর্ঘ দিন জিহাদে আকবরে লিপ্ত তথা যারা তাজকিয়াতুন নফস অর্জনের পথে রয়েছে। অর্থাৎ যারা সাধক, যারা খান্নাস ত্যাগের সাধনায় রত তাদের জন্য রাব্বুল আলামিন রহিমরূপ ধারণ করে রেজেক বন্টন করেন, রূহ ফুঁৎকার করেন, হেদায়েত দান করেন ও কিতাব দান করেন।

এ সকল রজনী নাস/ইনসানের জন্য নয়। ইনসানের জন্য এ সকল রজনী নির্ধারিত করা হয় নি। ইহা কোনো জাগতিক রজনী নয়, আধ্যাত্মিক রজনী।

ইহা খান্নাস ত্যাগের রজনী, যারা নফস ও রূহের পার্থক্য জেনে মুর্শিদের অনুমোদিত পথে ধ্যান সাধনা করে তাদের জন্য এ রজনী জীবনে একবার আসে, এই রহমত প্রাপ্তির জন্য আপন মুর্শিদকে কেবলা করে নির্জনস্থানে অবস্থান করতে হবে। রহমত বাতেনে রাখা আছে, তা অর্জন করতে হলে আপনাকে বিশেষ করে গোপন হতে হবে।

এই রজনী গুরুভক্ত সাধকের জন্য, যারা দুনিয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে তাসাব্বুরে শায়েখ এর উপর নিমগ্ন রয়েছে, তাদের জন্য এই রজনীর সুসংবাদ। আল কোরান ইনসানকে ঈমানদার হতে আহবান করেছে। যুগের রাসুলের উপর ঈমান না এনে ফি – বছর শুধু অনুষ্ঠানই পালন করলেও কোনো ফায়দা হবে না। আমানু তথা ঈমানদারের মধ্যে যারা কঠোর সাধনা করে, রিয়াজত করে , মুজাহাদা করে, মোরাকাবা মোশাহেদার মধ্যে রয়েছে তাদের জন্য এ সকল বিশেষ রজনীর সুসংবাদ। একজন সাধক এই বিশেষ লগ্নের প্রতীক্ষায় ফি- মাস, ফি- বছর, যুগ যুগ সাধন-ভজন চালিয়ে যান।

যারা আল্লাহ রাসুল বা অলির নিকট মুরিদ হয় নাই তাদের জন্য এ রজনী বিশেষ উপকারী নয় । বিশেষ দিনে বর ও কনে বাসর করে, আর তার উপলক্ষে আত্মীয় – স্বজনরা হালুয়া রুটি খায়। তবে বাৎসরিক উৎসব পালন করলে তার হাকিকত হয় তো মানুষ জানতে পারে। যারা জনম জনম ভোগের কাযা আদায়ের লক্ষ্যে কর্মযোগে যোগী তাদের জন্য বোনাস হিসাব এসব বিশেষ লগ্ন নির্ধারিত করা হয়েছে। সুতরাং জাহের ও বাতেনের সমন্বয়ে ইসলামের রূপরেখা। জ্ঞানীরা সংশোধন হলে গোটা দেশই সংস্কার হয়ে যাবে। জ্ঞানীরাই সত্যকে ঢেকে রাখে, প্রকাশ হতে দেয় না।

নিবেদক:
আর এফ রাসেল আহমেদ
১৪.০২.২০২৫

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel