রবের দাস কে? কে করে রবের দাসত্ব?
আল্লাহর রাসুল মেরাজে যান না, তিনি মেরাজ করাতে আসছেন। মেরাজ না হলে কেউ মুমিন হতে পারে না। আর মুমিন না হলে মেরাজ হবে না। কিন্তু মুমিন হওয়ার শর্ত হল দায়েমি সালাত, দায়েমি সালাতের শর্ত হল ইফতার করা, আর ইফতারের শর্ত হল সাহারি করা। সাহারি শব্দের অর্থ হল আত্মবল, আত্মশক্তি ও আত্মজ্ঞান । ইফতার শব্দের অর্থ হল তাগুতি শক্তি মিটিয়ে ফেলা। যে মূহূর্তে সায়েম তাসাব্বুরে শায়েখের আঘাতে তাগুতি শক্তি মিটিয়ে ফেলবে সেই মূহুর্তে সায়েমের তাহারাত অর্জন হল। সালাতের শর্তই হল তাহারাত তথা পবিত্রতা । মুমিন হওয়ার শর্ত হল মেরাজ। মেরাজের শর্ত হল সালাত, সালাতের শর্ত হল তাহরাত। তাহারাতের শর্ত হল ঈমান, ঈমানের শর্ত হল তাওহীদের জ্ঞান।
নফসে মোৎমায়েন্নাহকে বলা হয় এতমেনান, পরিতৃপ্ত । যে সায়েম মোৎমায়েন্নাহ তিনিই আরজু ও তামান্না মুক্ত। যিনি আরজু এবং তামান্না মুক্ত তিনি রবের দাস, এই দাসই জান্নাতপ্রাপ্ত, নফসে মোৎমায়েন্নাহই আপন রবের চেহারা দর্শন করেন। মুমিনই রবের মনোনীত দাস। রাসুলগণই তাঁর দাসকে মেরাজ করায়। আল কোরান দাসকে মেরাজের সুসংবাদ দিয়েছেন। আমানুকে মুমিন হতে হলে মেরাজ শর্ত।
মেরাজের শর্ত হল উরজ তথা সায়ের করা, সায়ের করার শর্ত হল তাসাব্বুর, তাসাব্বুরের শর্ত হল শায়েখ ।
রাসুল মাকামে মাহমুদে আছেন। রাসুল আমানুকে আহ্বান করছে মেরাজের মাধ্যমে মুমিন হওয়ার জন্য। কারণ, মুমিনের সিনা তথা কলব রবের আসন। যে আসনে রবের গুণাবলি ফুটে উঠে, সেই রেজেকপ্রাপ্ত আসনটির নাম হল আরশ। রাসুল রুহুল আমিন তিনি মুমিনের হৃদয়ে জাগ্রত হয়। যিনি রুহুল আমিনের সাথে অবিচ্ছন্ন যোগাযোগের মাধ্যমে কর্মযোগে চালিয়ে যান তিনিই দাস। এই দাসত্বের মোকামে উত্তীর্ণ হতে গেলেই সাধনা আবশ্যক। এই সাধনাটাই আমলে সালেহা।
মাকামে মাহমুদে উত্তীর্ণ হতে গেলেই ইয়াকীন অর্জন করতে আল কোরান নির্দেশ দিয়েছেন। এই ইয়াকীন হল ইচ্ছার মৃত্যু, এই ইচ্ছার মৃত্যুর পরই ইয়াকীন হয়। তখনই রবের ইচ্ছাকে মনে প্রাণে গ্রহণ করা হয়। তার আগে আমি মুমিন নই। তাই সুফিগণ বলেন আমিত্ব ছাড়, মুর্শিদ ধর, রফ রফে শীঘ্রই চল।
নিবেদক: আর এফ রাসেল আহমেদ ওয়ার্সী