মুমিনের জন্য প্রতিদিনই শবে বরাত
“আল্লাহ তা‘আলা’ প্রতি রাতের শেষাংশে–শেষ তৃতীয়াংশে’ – নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হয়ে আহবান জানাতে থাকেন ‘এমন কেউ কি আছে যে আমাকে ডাকবে আর আমি তার ডাকে সাড়া দেব? এমন কেউ কি আছে যে আমার কাছে কিছু চাইবে আর আমি তাকে দেব? আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তাকে ক্ষমা করে দেব?” [বুখারী, হাদীস নং ১১৪৫, মুসলিম হাদীস নং ৭৫৮]
উপরের হাদিসে খেয়াল করে দেখুন, প্রত্যেক রাত এর কথা বলা আছে। প্রত্যেক রাত। কেবল শবে বরাত বা শবে কদর না, বা শবে মেরাজ না। প্রত্যেক রাত। আর উল্লেখ্য যে, শবে বরতের ফজিলতের ক্ষেত্রে সবাই উপরের ফজিলতের কথাই বলে, অথচ এটা প্রতিদিনের ফজিলত। সেই হিসেবে প্রতিটিদিনই মুমিনদের জন্য শবে বরাত।
অনেক আবার বলে এই দিনে নাকি আল্লাহ ভাগ্য লিখেন সবার, তাই এইদিনকে ভাগ্যরজনী বলে থাকেন। অথচ আল্লাহ বছর বছর ভাগ্য লিখেন না, যা লিখার আপনাকে দুনিয়ায় পাঠানীর আগেই লিখে রাখছেন।
অবাক লাগে তখন, যখন দেখি গুরুবাদীরাও এই দিনটাকে কোনো বিশেষ দিন ভাবে। শবে বরাত এর হাকীকত নিয়ে লেখার ইচ্ছা থাকলেও অনেক কিছু ভেবেই লিখলাম না।
আশেকান বান্দারা ত আল্লাহকে সব সময় অনুভব করে তাদের হৃদয় দ্বারা। আল্লাহ তাদের ডাক শুনেনও। তবুও কেন যে তারা এরকম বিশেষ দিন নির্ধারণ করে নিয়েছে আমার বুঝে না আসে।
কোনো আল্লাহর আশেকান বান্দা যদি আল্লাহকে ডাকে আল্লাহ অবশ্যই তার ডাকে সাড়াদিবেন প্রতিরাত, প্রতিদিন, প্রতিক্ষন। তবে এই বিশেষ দিন কেন! তবে কি বান্দার প্রতি আল্লাহর নিত্য ভালবাসাকে খাটো করে দেখার জন্যেই এই স্পেশাল দিনের আবির্ভাব করলেন আপনারা!!! যেমন ভাবে মানুষ ভালাবাসা দিবস বানাইছে, মা দিবস বানাইছে, পিতামাতা দিবস বানাইছে, আপনারাও কি সেরকম নাকি! সারা বছর কোনো খবর নাই, আর একদিনে ভালাবাসা একদম ভাতের মারের মত উতলিয়ে পড়ে।
দয়া করে আল্লাহর মহত্ব ও ভালবাসাকে একদিনে সীমাবদ্ধ করবেন না। তিনি তাঁর বান্দাকে প্রতিদিনই সমানভাবে ভালবাসেন।
লেখাঃ DM Rahat