হোমপেজ খোদা ও নূরতত্ত্ব আল্লাহর আকার নিয়ে কুরআনে ৪ হাজারের উপর আয়াত এবং ১৮ হাজার হাদিস...

আল্লাহর আকার নিয়ে কুরআনে ৪ হাজারের উপর আয়াত এবং ১৮ হাজার হাদিস রয়েছে।

Advertisement:
IPL 2024: ফ্রিতেই IPL Live Cricket খেলা দেখুন Full HD তে

আল্লাহর আকার নিয়ে কুরআনে ৪ হাজারের উপর আয়াত এবং ১৮ হাজার হাদিস রয়েছে।

আসুন জেনে নিই কোরআন ও হাদিসের আলোকে:

“যে তার প্রতিপালকের দেখার কামনা করে, সে যেন উওম কাজ করে”।( সূরা আল কাহফ ১৮, আয়াত ১১০)।

“হে মানুুষ! তুমি তোমার প্রতিপালকের নিকট পৌছানো পর্যন্ত সাধনা করতে থাক, অতঃপর তুমি তার দেখা লাভ করবে”। (সূরা আল ইনশিকাক ৮৪ : আয়াত নং৬)।

IPL 2024: ফ্রিতেই IPL Live Cricket খেলা দেখুন Full HD তে

“তিনি (আল্লাহ) আদি, তিনি অন্ত, তিনি প্রকাশ্য, তিনি গোপন, তিনি সব কিছুই অবগত আছেন”। ( সূরা – আল হাদীদ, আয়াত নং ৩)।

“আল্লাহর আধিপত্য পূর্বে ও পশ্চিমে, অতঃপর তোমরা যেদিকে মুখ ফিরাও সেদিকেই আল্লাহর চেহারা বিদ্যমান”। (সূরা আল বাকারা, আয়াত নং ১১৫)।

“স্মরণ কর সে দিনের কথা, যেদিন পায়ের গোছা উন্মোচিত হবে এবং তাদেরকে সেজদা করার জন্য আহবান করা হবে, কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবে না। হীনতাগ্রস্হ হয়ে তারা তাদের দৃষ্টি অবনত করবে, অথচ যখন তারা নিরাপদে ছিল, তখন তো তাদেরকে সিজদা করার জন্য আহবান করা হয়েছিল”। (সূরা আল কালাম, আয়াত নং ৪২ ও ৪৩)।

“তারপর যখন সে আগুনের কাছে আসলো তখন তাকে ডেকে বলা হলো – হে মুসা! নিশ্চয় আমিই তোমার প্রতিপালক। অতএব তুমি তোমার জুতা খুলো, কারণ তুমি এখন পবিত্র তোয়া উপত্যকায় রয়েছে”। (সূরা তোয়াহা, আয়াত নং ১১ ও ১২)।

“যখন মুসা আগুনের কাছে পৌছলো তখন উপত্যকার ডান পাশের পবিত্র স্হানের একটি বৃক্ষ থেকে তাকে ডেকে বলা হলো – হে মুসা ! আমি আল্লাহ, বিশ্ব জগতের প্রতিপালক “। (সূরা আল কাসাস, আয়াত নং ৩০)।

“প্রত্যেকটি বিষয় নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতকাল পর্যন্ত আবর্তিত হয়, আল্লাহ প্রত্যেকটি বিষয়কে পরিচালিত করেন এবং নিদর্শনাবলী বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাৎ সম্বন্ধে নিশ্চিত বিশ্বাস করতে পার”। (সূরা আর রাদ, আয়াত নং ২)।

“যে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ লাভের আশা রাখে তার জন্য সেই নির্দিষ্ট সময় অবশ্যই আসবে। তিনি সব শোনেন ও জানেন”। (সূরা আল আনকাবুত, আয়াত নং ৫)।

“আল্লাহর সাক্ষাৎ যারা অস্বীকার করেছে তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তারা সৎপথ প্রাপ্ত ছিল না”। (সূরা ইউনুস, আয়াত নং ৪৫)।

“যারা আমার দর্শন লাভ করার আকাংখা করে না এবং পার্থিব সম্পদ পেয়েই খুশী আছে এবং যারা আমার নিদর্শন হতে উদাসীন রয়েছে তাদের বাসস্থান অগ্নিপূর্ণ জাহান্নাম”। (সূরা ইউনুস, আয়াত নং ৭ ও ৮)।

“সুতরাং, যারা আমার দর্শন লাভের আকাংখা করে না তাদেরকে আমি বিদ্রোহাচরণের মধ্যে অন্ধভাবে বিচরণ করা অবস্হায় পরিত্যাগ করবো”। (সূরা ইউনুস, আয়াত নং ১১)।

“তিনি ঐ জ্যোতি দ্বিতীয়বার দেখেছেন। সিদরাতুল মুনতাহার নিকটে”। (সূরা আন নাজম, আয়াত নং ১৩ ও ১৪)।

“আমি (আল্লাহ) তোমাদের দিলে (ক্বালবের ৭ম স্তর নফসীর মাকামে) অবস্থান করি, তোমরা কি দেখ না”? (সূরা আয যারিয়াত, আয়াত নং ২১)।

“নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের ক্বালব এবং তার সীমারেখার মধ্যে ঘুরাফিরা করেন”। (সূরা আল আনফাল, আয়াত নং ২৪)।

“যখন আমি তাকে (আদমকে) সুঠাম করব এবং তার মধ্যে আমার রুহ ফুঁকে দেব, তখন তোমরা তার প্রতি সেজদাবনত হবে”। (সূরা সোয়াদ, আয়াত নং ৭২)।

“আমি (আল্লাহ) আমার রুহ থেকে আদমের ভিতরে রুহ ফুঁকে দিলাম”। (সূরা আল হিজর, আয়াত নং ২৯)।

“তুমি যেদিকে তাকাও সেদিকেই আল্লাহর চেহারা মোবারক বিদ্যমান রয়েছে”। (সূরা আল বাকারা, আয়াত নং ১১৫)।

“ভূপৃষ্ঠে যা কিছু আছে সমস্তই নশ্বর, কেবল অবিনশ্বর তোমার প্রতিপালকের চেহারা, যিনি মহিমাময়, মহানুভব”। (সূরা আর রাহমান, আয়াত নং ২৬ ও ২৭)।

“আমি তার (মানুষের) শাহরগের চেয়েও নিকটে”। (সূরা ক্বাফ, আয়াত নং ১৬)।

হযরত রাসূল পাক (সঃ) বলেন,
“আমাদের প্রভু তার পায়ের গোছা উন্মোচন করে দেবেন, অতঃপর প্রত্যেক বিশ্বাসী পুরুষ ও নারী তাকে সেজদা করবে”। (বোখারী শরিফ, ২য় খন্ড, পাতা ৭৩১)।

“আমি গুপ্ত ধনাগার ছিলাম, নিজে পরিচিত হওয়ার বাসনা করলাম, তাই পরিচিত হওয়ার জন্য বিশ্বজাহান সৃষ্টি করলাম”। (সিররুল আসরার, পৃষ্ঠা নং ১০)।

“নিশ্চয় আল্লাহ আদমকে তার নিজ সুরতে সৃজন করেছেন”। (মেশকাত শরিফ, পৃষ্ঠা নং ৩৯৭)।

“আমি আমার প্রতিপালককে যুবকের আকৃতিতে দেখেছি”। (শরহে ফিকহে আকবার, পৃষ্ঠা নং ২১৬ )।

“শীঘ্রই তোমরা তোমাদের প্রভুকে পূর্ণিমার চাঁদের মত উজ্জ্বলতর দেখতে পাবে”। (বোখারী শরীফ ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা নং ১১০৫ এবং তিরমিযী শরীফ ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৮২)।

“আমার প্রভুকে আমি অতি উত্তম সুরতে দেখেছি”। (তাফসীরে রুহুল বয়ান ৯ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং ২২২ এবং তাফসীরে দুররে মানছুর ২৭তম খন্ড, পৃষ্ঠা নং ৬৪৭)।

“আমি আমার প্রভুকে দাড়ি- গোফ বিহীন যুবকের আকৃতি বিশিষ্ট দেখেছি”। (সিররুল আসরার, পৃষ্ঠা নং ৬৮)।

“মেরাজ রজনীতে আমি আমার প্রতিপালককে কোকড়ানো চুল বিশিষ্ট যুবকের ন্যায় দেখেছি”। (সিররুল আসরার, পৃষ্ঠা নং ৪৫)।

হযরত আলী (রাঃ) বলেন,
“আমি এমন প্রভুর ইবাদত করি না যাকে আমি দেখি না”। (তিরমিযী শরিফ ও সিররুল, পৃষ্ঠা নং ৬ )।

“যে নিজের নফসকে চিনতে পেরেছে, সে তার প্রভুকে চিনতে পেরেছে “। (সিররুল আসরার, পৃষ্ঠা নং ১৮)।

হানাফী মাযহাবের ইমাম হযরত আবু হানিফা (রহঃ) বলেছেন,
“আমি মহান প্রতিপালককে (আল্লাহকে) স্বপ্নে ৯৯ বার দর্শন করেছি”। (শরহে ফেকহে আকবর, পৃষ্ঠা নং ২১৬)।

হাম্বল মাযহাবের ইমাম হযরত ইবনে হাম্বল (রহঃ) বলেন,
“আমি মহান প্রতিপালক ( আল্লাহ) কে স্বপ্নে দেখেছি”। (শরহে ফিকহে আকবার, পৃষ্ঠা নং ২১৬)

আল্লাহ যে আকার নুরময় সত্তা, এই রকম কোরআনে আরো শত শত আয়াত বিদ্যমান রয়েছে। তাছাড়া আল্লাহর আকার নিয়ে শত শত সহী হাদিস রয়েছে। যদি আপনারা কেউ প্রয়োজন মনে করেন, আমি দেওয়ার চেষ্টা করব।

আল্লাহ নিরাকার কেউ যদি কোরআনের একটি আয়াত দ্বারা প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আমি সাথে সাথে আমার পোষ্ট ডিলিট করে দিব এবং ক্ষমা চেয়ে বিদায় নিব। কিন্তু কেউ এজিদ কর্তৃক বানানো জাল হাদিসের রেফারেন্স দিবেন না।

কেন আমাদের সমাজে আল্লাহ নিরাকার হলো?

কারবালার প্রান্তরে নরপিশাচ কাফের এজিদ ইমাম হোসাইনকে নির্মমভাবে হত্যা করে, এজিদ তার মনগড়া হাদিস তৈরি করে মুসলিম সমাজে লিপিবদ্ধ করে যায়। তারই ধারাবাহিকতা আমাদের ভারতীয় মহাদেশে খ্রীষ্টানরা যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে, তখন তারা জাল হাদিস তৈরি করে আল্লাহকে নিরাকার বানিয়ে দেয়।

তার অন্যতম কারণ হলো, আমরা যদি আল্লাহকে আকার জানতাম তাহলে আমরা সবাই আল্লাহকে দেখার জন্য সাধনা করতাম। তখন আর কেউ বেহেশত ও সোয়াবের পিছনে না দৌড়িয়ে, আল্লাহকে পাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে যেতাম। কারণ আল্লাহকে পেলে আমার কোন কিছু পাওয়ার বাকি থাকে না।

কোন ব্যক্তি যদি আল্লাহর সাক্ষাৎ পায়, তাহলে তাকে মোমেন বান্দা হিসেবে গণ্য করা হয়। আর মোমিন বান্দার অভিভাবক আল্লাহ স্বয়ং। আল্লাহর সাক্ষাৎ ব্যতীত কখনো মোমিন বান্দা হওয়া যায় না। ইহুদি এবং খ্রীষ্টান সম্প্রদায় যখন বিষয়টি ভালভাবেই জানে। যদি মুসলমানরা আল্লাহকে পেয়ে যায়, তাহলে মুসলিম জাতিকে অত্যাচার ও দমিয়ে রাখা যাবে না। কারন তখন মুসলিম জাতির অভিভাবক স্বয়ং আল্লাহ হয়ে যাবে। আর আল্লাহর সাথে যুদ্ধ করে কখনো পারা সম্ভব নয়। তখন মুসলিম জাতি সারা বিশ্ব শাসন করবে এবং শ্রেষ্ঠ জাতিতে রুপান্তরিত হবে। এটাই হলো ইহুদি ও খ্রীষ্টানদের অন্যতম হিংসার কারণ। তাই তারা সুকৌশলে আল্লাহকে নিরাকার বানিয়ে দিয়েছে।

যাতে আমরা সারাজনম ইহুদি ও খ্রীষ্টানদের হাতে মার খাই। এরা আমাদের হাতের পুতুল এবং দাস বানিয়ে রেখেছে। আল্লাহ যদি আমাদের অভিভাবক হতেন, তাহলে আমরা সারা বিশ্বে ইহুদি ও খ্রীষ্টানদের হাতে নির্মম অত্যাচারের স্বীকার হতাম না। আমরা ফিরে পাইতাম সেই হারানো গৌরব অর্থাৎ আবার আমরা বীরের জাতিতে রুপান্তরিত হতাম। কিন্তু আজ চারিদিকে তাকিয়ে দেখেন, কোথায় আমরা মার খাচ্ছি না? ইরাক, লিবিয়া, লেবালন, সুদান, ইয়েমেন, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান এবং কাশ্মীর। সব জায়গায়ই আমরা মার খাচ্ছি। কই আল্লাহ তো আমাদের সাহায্য করছেন না। বরং দিন দিন আমাদের আরো অধঃপতন হচ্ছে।
কারণ আমরা আল্লাহকে হারিয়ে ফেলেছি। আল্লাহর সাক্ষাৎ কামনা কেউ করছি না। অথচ কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, যে আমার সাক্ষাৎ কামনা করে না, সে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। তাহলে তো আমরা সারা বিশ্বে মার খাবই। আল্লাহর কথাতো আর মিথ্যা হতে পারে না।

আল্লাহর সাক্ষাৎ কামনা ভুলে আমরা কিছু সংখ্যক বিপদগামী মুসলমান জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ছি। একটু খেয়াল করলে দেখতে পারবেন, এই জঙ্গিবাদ ইহুদি ও খ্রীষ্টানদের তৈরি। ইসলাম ধর্মে কখনো জঙ্গিবাদের স্হান নেই। আমরা ইহুদি ও খ্রীষ্টানদের পাতানো ফাঁদে বার বার পা দিচ্ছি।

আমার দয়াল রাসূল পাক সঃ জোর করে কাউকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেন নাই। রাসূল পাক সঃ মানুষকে ভালবাসা দিয়া ধর্মে দীক্ষিত করেছেন। ইসলাম ধর্মটাই হলো শান্তি ও ভালবাসার ধর্ম। রাসূল পাক সঃ কখনো যুদ্ধ করেন নাই। বরং ২৭টি যে যুদ্ধ হয়েছে, রাসূল পাক সঃ সেগুলো প্রতিরোধ করেছেন। রাসূল পাক সঃ কখনো নিজে থেকে কারোর উপর যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন নাই। বরং রাসূল পাক সঃ কেবলমাত্র আত্মা রক্ষার জন্য যুদ্ধ প্রতিরোধ করেছেন।

আসুন ভাই, আমরা সবাই আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভের জন্য, নিজের আমিত্ব সত্তা বিলীন করে দিয়ে সাধনায় নিমজ্জিত হই। যাতে আমরা মহান প্রভুর দিদার পাই। হে দয়াময় খোদা তোমার কাছে আকুল আবেদন করছি, এই অধম গোনাহগারকে তোমার সাক্ষাৎ দিয়ে ধন্য কর। তোমার কাছে আমার আর কিছু চাওয়ার নাই। আমিন।

সূত্র: আল্লাহ কোন পথে

“মহান আল্লাহর প্রতি নাই যার প্রেম,
কে বলে মানুষ তারে পশু সেই জন।

নিবেদক : অধম পাপী মোজাম্মেল পাগলা।