হোমপেজ মাওলা আলী (আঃ) প্রসঙ্গ মাওলা আলী ব্যতিত কাউকে সিদ্দিকে আকবর বলা কুফরি।

মাওলা আলী ব্যতিত কাউকে সিদ্দিকে আকবর বলা কুফরি।

মাওলা আলী ব্যতিত কাউকে সিদ্দিকে আকবর বলা কুফরি।

দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) বলেন,

عَلِيٌّ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ.

“আলী সৃষ্টিকুলের সেরা।”
(আল ইমাম আলী (আ.)– ইবনে আসাকির ২:৪৪৩/৯৫৯,মানাকিবে খারেযমী : ৬২)।

إِنَّ عَلِيّاً مِنِّي، وَ أََنَا مِنْهُ، وَ هُوَ وَلِيُّ كُلِّ مُؤمِنٍ بَعْدِي.

“নিশ্চয় আলী আমা থেকে আর আমি আলী থেকে। আর সে আমার পরে সকল মুমিনের নেতা।” (খাসায়েসে নেসায়ী :২৩,মুসনাদে আহমাদ ৪:৪৩৮,আল মু’ জামুল কাবীর-তাবারানী ১৮: ১২৮/২৬৫,হিল্লীয়াতুল আউলিয়া ৬:২৯৬)

أَنَا وَ عَلِيٌّ حُجَّةٌ عَلَي أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ.

“কেয়ামতের দিন আমি এবং আলী আমার অনুসারীদের জন্য হুজ্জাত (দলিল) এবং পথপ্রদর্শনকারী।” (তারীখে বাগদাদ ২:৮৮)।

مَا اكْتَسَبَ مُكْتَسَبٌ مِثْلَ فَضْلِ عَلِيٍّ، يَهْدِي صَاحِبَهُ إِلَي الْهُدَي، وَ يَرُدُّ عَنِ الرَّدَي.

“আলীর ন্যায় গুণাবলী অর্জনের মতো আর কোনো অর্জন অধিক উপকারী নয়। কারণ,তার অধিকারীকে হেদায়েতের পথে পরিচালিত করে এবং নীচ ও হীনতা থেকে দূরে রাখে।” (আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৮৯,যাখায়িরুল উকবা :৬১)।

أََوَّلُكُمْ وُرُوداً فِي الْحَوْضِ أََوَّلُكُمْ إِِسْلَاماً عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ.

“তোমাদের মধ্যে সবার আগে হাউজে কাওসারে প্রবেশ করবে সেই ব্যক্তি যে সবার আগে ইসলাম গ্রহণ করেছে। আর সে হলো আলী ইবনে আবি তালিব।” (আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৬,আল ইস্তিয়াব ৩:২৭,২৮,উসুদুল গাবাহ ৪:১৮,তারীখে বাগদাদ ২:৮১)।

اَلسُّبْقُ ثَلَاثَةٌ: اَلسَّابِقُ إِلَي مُوْسَي يُوشَعُ بنُ نُون، وَ السَّابِقُ إِلَي عِيسَي صَاحِبُ يس، وَ السَّابِقُ إِلَي مُحَمَّدٍ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ.

“সত্যের অগ্রদূত তিনজন : মুসাকে মেনে নেওয়ার বেলায় ইউশা’ ইবনে নুন,ঈসাকে মেনে নেওয়ার বেলায় ইয়া সীনের মালিক আর মুহাম্মদের সাথে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে আলী ইবনে আবি তালিব।”
(আস সাওয়ায়িকুল মুহরিকা ১২৫,মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯: ১০২,যাখায়িরুল উকবা :৫৮,আল মু’ জামুল কাবীর-তাবারানী ১১:৭৭/১১১৫২)।

لَوِ اجْتَمَعَ النَّاسُ عَلي حُبِّ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، لَمَا خَلَقَ اللهُ تَعَالَي النَّارَ.

“যদি মানুষ আলী ইবনে আবি তালিবের ভালোবাসায় একমত হতো তাহলে মহান আল্লাহ কখনো জাহান্নামকে সৃষ্টি করতেন না।” (আল ফেরদৌস ৩:৩৭৩/১৩৫,আল মানাকিব-খারেযমী ৬৭/৩৯,মাকতালুল হুসাইন (আ.)-খারেযমী ১:৩৮)।

لَمَّا عُرِجَ بِي رَأَيْتُ عَلَي سَاقِ الْعَرْشِ مَكْتُوباً: لَا إِِلَهَ إِِلَّا اللهُ، مُحَمَّدٌرَسُولُ اللهِ، أَيَّدْتُهُ بِعَلِيٍّ، نَصَرْتُهُ بِعَلِيٍّّ.

“যখন আমাকে মি’রাজে নিয়ে যাওয়া হয় তখন আরশের পায়ায় দেখলাম লেখা রয়েছে‘‘ আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই,মুহাম্মদ আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ। আমি তাকে আলীকে দ্বারা শক্তিশালী করেছি এবং আলীকে তার সাহায্যকারী করে দিয়েছি।” (তারীখে বাগদাদ ১১:১৭৩,ওয়াসীলাতুল মুতাআব্বেদীন খ:৫ আল কিসম ২:১৬৩,আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৩১,যাখায়েরুল উকবা : ৬৯)।

إِنَّ رَبَّ الْعَالَمِيْنَ عَهِدَ إِلَيَّ عَهْداً فِي عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ ، فَقَالَ: إنَّهُ رَايَةُ الْهُدَي، وَ مَنارُ الْاِيْمَانِ، وَ اِمَامُ أَوْلِيَائِي، وَ نُورُ جَمِيعِ مَنْ أَطَاعَنِي.

“বিশ্ব প্রতিপালক আলীর ব্যাপারে আমার সাথে কঠিনভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছেন। অতঃপর আমাকে বলেছেন: নিশ্চয় আলী হলো হেদায়েতের পতাকা,ঈমানের শীর্ষচূড়া,আমার বন্ধুগণের নেতা আর আমার আনুগত্যকারী সকলের জ্যোতিস্বরূপ।” (হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৬,শারহে নাহজুল বালাগা– ইবনে আবীল হাদীদ ৯:১৬৮)।

إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ وَ نُصِبَ الصِّرَاطُ عَلَي شَفِيرِ جَهَنَّم لَمْ يَجُزْ إلاَّ مَنْ مَعَهُ كِتَابُ عَلِيّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ.

“যখন কেয়ামত উপস্থিত হবে এবং জাহান্নামের অগ্নিপার্শ্বে পুলসিরাত টাঙ্গানো হবে তখন শুধু কেবল যার সঙ্গে আলী (আ.)-এর পত্র থাকবে সে ছাড়া কারো তা পার হবার অনুমতি থাকবে না।” (আল মানাকিব-ইবনুল মাগাযেলী ২৪২,২৮৯,ফারায়িদুস সামতাইন ১:২২৮,২৮৯)।

يَا عَلِيُّ، إِنَّكَ قَسِيمُ الْجَنَّةِ وَ النَّارِ وَ إِنَّكَ تَقْرَعُ بَابَ الْجَنَّةِ، فَتَدْخُلَهَا بِلَا حِسَابٍ.

“হে আলী! তুমি (মানুষকে) বেহেশত ও দোযখের (মধ্যে) বণ্টনকারী। অতঃপর তুমি নিজে বেহেশতের দরজায় টোকা দিবে এবং হিসাব ছাড়াই প্রবেশ করবে।” (আল মানাকিব- ইবনুল মাগাযেলী ৬৭/৯৭,আল মানাকিব-খারেযমী : ২০৯,ফারায়িদুস সামতাঈন ১:৩২৫/২৫৩)।

اَلصِّدِّيقُونَ ثَلَاثَةٌ: مُؤْمِنُ آلِ يس، وَ مُؤْمِنُ آلِ فِرْعَوْنَ، وَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَ هُوَ أَفْضَلُهُمْ.

“প্রকৃত সত্যবাদী তিনজন : আলে ইয়াসীনের মুমিন,আলে ফেরআউনের মুমিন আর আলী ইবনে আবি তালিব,আর সে হলো তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।” (কানযুল উম্মাল ১;৬০১/৩২৮৯৮,ফাযায়িলুস সাহাবা ২:৬২৮/১০৭২,আল ফেরদৌস ২:৪২১/৩৮৬৬)।

[উল্লেখ্য,আলে ইয়াসীনের মুমিন হলো হাবীব নায্যার (ইয়াসীন : ২০),আর আলে ফেরআউনের মুমিন হলো হেযকিল (গাফির : ২৮)]

عَلِيٌّ أَمِيرُ الْبَرَرَةِ، وَ قَاتِلُ الْفَجَرةِ، مَنْصُورٌ مَنْ نَصَرَهُ، مَخْذُولٌ مَنْ خَذَلَهُ.

“আলী সৎকর্মশীলদের নেতা আর ব্যভিচারীদের হন্তা। যে কেউ তাকে সাহায্য করে, সে সাহায্য প্রাপ্ত হয় আর যে ব্যক্তি তাকে ত্যাগ করে সে বিফল হয়।” (আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৯,কানযুল উম্মাল ১১:৬০২/৩২৯০৯,আস-সাওয়ায়েকুল মুহরিকা :১২৫,আল ইমাম আলী (আ.)-ইবনে আসাকির ২:৪৭৬/১০০৩ ও ৪৭৮/১০০৫)।

َالنَّظَرُ إِلَي وَجْهِ عَلِيٍّ عِبَادَةٌ.

“আলীর মুখের দিকে তাকানো ইবাদত।”
(আল মানাকিব- ইবনে মাগাযেলী ২০৬/২৪৪-২৪৬ ও ২০৯/২৪৮-২৪৯ ও ২১০/২৫২-২৫৩,আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৪২,আর রিয়াদুন্ নাদরাহ ৩:১৯৭)।

সিদ্দিকে আকবর অর্থ কি?

‘সিদ্দিক’ শব্দের অর্থ হলো বিশ্বাসী/সত্যবাদী।
‘আকবর’ অর্থ হলো সবচেয়ে বড় বা প্রধান। অর্থাৎ সিদ্দিকে আকবর অর্থ দাঁড়ায় সবচেয়ে বড় বা প্রধান বিশ্বাসী অথবা সত্যবাদী।

মহান আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টির পূর্বে গুপ্ত ধনাকারে ছিলেন। যখন নিজেকে প্রকাশ করতে ইচ্ছে পোষণ করলেন, তখন আল্লাহ তায়ালা তাঁর নুর থেকে নুরে মোহাম্মদী অর্থাৎ পাক পাঞ্জাতন সৃষ্টি করলেন। আর পাক পাঞ্জাতনের নুর থেকে সমগ্র সৃষ্টি জগত সৃষ্টি করলেন। মহান আল্লাহ তায়ালা এই পাক পাঞ্জাতনের নুর সৃষ্টি করে লক্ষ লক্ষ বছর রেখে দিলেন। তখন ১৮ হাজার মাখলুকাত সৃষ্টি হয়নি। শুধু একমাত্র আল্লাহ এবং পাক পাঞ্জাতন ছিলো। পাক পাঞ্জাতন অর্থ হলো, পাঁচটি পবিত্র দেহ মোবারক। এই পাক পাঞ্জাতন হলো দয়াল রাসূল (সাঃ), মাওলা আলী, জগত জননী মা ফাতেমা এবং মাওলা ইমাম হাসান ও হোসাইন। একটি তাঁরকার মধ্যে রমনী ছিলেন, সেই রমনীর দুই কানে দুটি দুল ছিলো, গলায় হার ছিলো এবং মাথায় তাজ ছিলো। সেই রমনীটি হলো স্বয়ং জগত জননী মা ফাতেমা, দুটি দুল হলো মাওলা ইমাম হাসান ও হোসাইন, গলার হার হলো মাওলা আলী এবং মাথার তাজ হলো দয়াল রাসূল পাক (সাঃ)। একবার দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) জীব্রাইল (আঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার বয়স কতো। তখন জিবরাইল (আঃ) বলেন, জানি না। তবে আমি জন্মের পর আকাশে একটি উজ্জ্বল তাঁরকাকে ৭০ হাজার বছর পর পর ৭০ হাজারবার উদিত হতে দেখেছি। তখন দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) বললেন, সেই উজ্জ্বল তাঁরাকাটি ছিলাম আমরা পাঁচজন। মূলত পাক পাঞ্জাতন হলো এক এবং অভিন্ন নুরে মোহাম্মদী স্বত্ত্বা। সর্বশেষে মহান আল্লাহ তায়ালা বাবা আদম (আঃ) কে তৈরি করে জগতে মানুষ সৃষ্টির ধারা প্রচলন করলেন। বাবা আদম (আঃ) এর পূর্বে মহান আল্লাহ তায়ালা জ্বিন, ফেরেশতা, আসমান ও জমিন সৃষ্টি করছিলেন।

মাওলা আলী একমাত্র ব্যক্তি যিনি পবিত্র ক্বাবাগৃহে জন্মগ্রহণ করে। মাওলা আলী চোখ মেলেই প্রথমে দয়াল রাসূল (সাঃ) এর চেহারা মোবারক দর্শন করে এবং প্রথম খাবার দয়াল রাসূল (সাঃ) এর লালা মোবারক খান। মাওলা আলী ১০ বছর বয়সে মা খাদিজার পর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। মাওলা আলী জন্মের পর থেকে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত দয়াল রাসূলের সাথে ছায়াসঙ্গীর মতো লেগে থাকতেন। হিজরতের সময় নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও দয়াল রাসূল (সাঃ) এর বিছানায় শুয়ে ছিলেন। মাওলা আলীর একক বীরত্বেই মুসলমানরা সবগুলো যুদ্ধে জয়লাভ করেন। মাওলা আলীর বীরত্বের জন্যই স্বয়ং আল্লাহ আসাদুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর সিংহ বলে উপাধি দিয়েছেন এবং জুলফিকার তরবারি উপহার পেয়েছেন। মাওলা আলীর কোলেই দয়াল রাসূল (সাঃ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং মাওলা আলী তিনদিন পর মাত্র ১৩ জন মুমিন সাহাবী নিয়ে দাফন কাফন সম্পন্ন করে। অপরদিকে হযরত আবু বকর বৃদ্ধ বয়সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। এর আগে হযরত আবু বকর কাফের, মুশরিক এবং মূর্তি পূজারী ছিলো। ইসলামের প্রারম্ভে হযরত আবু বকরের ভূমিকা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই বলে হযরত আবু বকর কোনভাবেই সিদ্দিকে আকবর নয়, তবে অবশ্যই সিদ্দিক। শুধু হযরত আবু বকর নয়, বরং সকল সাহাবী, অলী আল্লাহ, মুমিন, ঈমানদার ও মুসলমান সকলেই সিদ্দিক। কারণ সবাই বিশ্বাসী বলেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে। তবে বিশ্বাসের প্রকারভেদ এবং তারতম্য থাকাটা স্বাভাবিক।

দয়াল রাসূল (সাঃ) মেরাজ থেকে এসে বললেন- আবু বকর, আমি আল্লাহর সাথে দেখা স্বাক্ষাৎ করে এসেছি এবং মেরাজের ঘটনা বর্ণনা করলেন। তখন হযরত আবু বকর একবাক্যে সবকিছু বিশ্বাস করলেন। তাই দয়াল রাসূল (সাঃ) তাকে বিশ্বাসী উপাধি দিলেন। আর মাওলা আলী শুধু সিদ্দিকে আকবর নয় বরং স্বয়ং বিশ্বাস এবং হক। মাওলা আলী হলেন সেই ব্যক্তি, যার চেহারার দিকে তাকানো অতি উত্তম ইবাদত। তাই মুমিন সাহাবীরা সবসময় চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকতো। মেরাজ রজনীতে দয়াল রাসূল (সাঃ) আল্লাহর আরশের পায়ায় মাওলা আলীর নাম দেখা পায়। মাওলা আলীর পত্র ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না এবং মুমিনদের নেতা ও মাওলা। মাওলা আলী আল্লাহর বন্ধুগণের নেতা এবং আল্লাহর আনুগত্যকারীদের জ্যোতিস্বরুপ। মাওলা আলী হলেন সেই ব্যক্তি যার ভালোবাসায় মানুষ একমত হলে আল্লাহ জাহান্নাম সৃষ্টি করতো না এবং তাঁকে সৃষ্টি কুলের সেরা বানিয়েছেন। অথচ অজ্ঞ বিবেকহীন মুসলিম সেই মাওলা আলীকে সাধারণ সিদ্দিক বলে এবং হযরত আবু বকরকে মাওলা আলীর উপরে উপাধি দেয়। আরে ভাই হযরত আবু বকর তো সৃষ্টি এবং মাওলা আলী হলেন পাক পাঞ্জাতনের সদস্য। যাঁদের নুর দ্বারা তামাম মাখলুকাত সৃষ্টি হয়েছে। সেই মাওলা আলী কিভাবে সাধারণ একজন সৃষ্টির চেয়ে কম দামী হতে পারে। এটা আষাঢ় মাসের গল্প এবং হাস্যকর ছাড়া ভিন্ন কিছু নয়। যিঁনি সৃষ্টির শুরু থেকে দয়াল রাসূল (সাঃ) এর সাথে লক্ষ লক্ষ বছর একসাথে মিশে একাকার ছিলেন, সেই মাওলা আলীর চেয়ে হযরত আবু বকর কিভাবে দয়াল রাসূল (সাঃ) এর অধিক বিশ্বাসী হতে পারে? মনে হচ্ছে মার চেয়ে মাসির দরুদ বেশি। আপনারা কোন দলিলের বলে আবু বকর কে সিদ্দিকী আকবর বলেন, তা আমি অধম অবগত নই। চ্যালেন্জ করলাম কোরআন ও হাদিস থেকে একটি দলিল দেখাইতে পারবেন না। যদি না পারেন, অন্তত একটি জাল হাদিস দেখান। তবুও তো মনকে শান্তনা দিতে পারবো।

আফসোস আপনাদের মোয়াবিয়া-ইয়াজিদ হাজার হাজার জাল হাদিস তৈরি করলেও, হযরত আবু বকরকে সিদ্দিকী আকবর বানাইতে ভুলে গেছে। এই ভুলের জন্য মোয়াবিয়া ও ইয়াজিদের উপর লানত দিতে পারেন। হায়রে অন্ধ, বধির, অজ্ঞ ও অবিবেচক মানুষ এখনো সময় আছে, আর মাওলা আলীর বিরোধিতা করিয়েন না। তাহলে ইহকাল এবং পরকাল দুটিই ধ্বংস অনিবার্য। আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা যেমন শিরকি গুনাহ। ঠিক তেমনিভাবে পাক পাঞ্জাতনের মর্যাদা, সম্মান ও শ্রেষ্টত্বের সাথে কাউকে তুলনা করা অথবা বেশি মনে করা সরাসরি কুফরি গুনাহ। মনে রাখবেন পাক পাঞ্জাতন সৃষ্টির মূল এবং সৃষ্টির উৎস। মনিবের সাথে কখনো গোলামের তুলনা হয় না। গোলাম চিরকাল গোলামই থাকে, গোলাম কখনো মনিব হতে পারে না।

যারা মাওলা আলী অর্থাৎ পাক পাঞ্জাতনের চেয়ে অন্য কাউকে বেশি সম্মানিত করতে চায়, মনে রাখবেন ওরাই খারেজি ও মোনাফেক। এদের কাছ থেকে সবসময় সাবধানে থাকবেন। নচেৎ ওরা আপনাকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিবে। কারণ ওরা জাহান্নামের ঠিকাদারি নিয়েই জগতে প্রেরণ হয়েছে। ওদেরকেই বলা হয় মানুষ শয়তান।

নিবেদক : অধম পাপী মোজাম্মেল পাগলা।