মাওলা আলীর শান-মান: পর্ব-৬
মাওলা আলীর অসাধারণ শান-মান (ধারাবাহিক পর্ব নং-৬)।
দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) মাওলা আলীর উদ্দেশ্য বলেন, إِنَّ هَذَا أَخِي وَ وَصِيِّي وَ خَلِيفَتِي فِيكُمْ، فَاسْمَعُوا لَهُ وَ أَطِيعُوه.
“জেনে রেখো যে,সে তোমাদের মাঝে আমার ভাই,উত্তরসূরি এবং স্থলাভিষিক্ত। সুতরাং তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং তার আনুগত্য করবে।”
(তারীখে তাবারী ২:২১৭,আল কামিল ফিত্ তারীখ ২:৬৪,মাআলিমুত্ তানযীল ৪:২৭৮)
দয়াল রাসূল (সাঃ) বিদায় হজ্বের শেষে মদিনা ফেরার পথে আল্লাহর হুকুমে গাদীরে খুম নামক জায়গায় সোয়া লক্ষ সাহাবীর সামনে মাওলা আলীকে রাসূলের ওফাের পর পরবর্তী মুসলিম জাহানের খলিফা এবং ইলমে মারেফাতের ধনভাণ্ডারের উত্তরসূরী এবং রাসূলের একমাত্র স্থলাভিষিক্ত করে যান। তাছাড়া সকল সাহাবীকে মাওলা আলীর কথা মতো চলতে বলে এবং মাওলা আলীর প্রতি আনুগত্যের শপথ করিয়ে নেন। যাতে মুসলিম জাতি কখনো বিপদগামী না হয় এবং সুযোগ্য নেতার নেতৃত্বে মোহাম্মদী ইসলামকে এগিয়ে নিতে পারে। যারা মাওলা আলীর কথা শুনেনি এবং আনুগত্য স্বীকার করেনি, তারাই মুসলমান থেকে খারিজি হয়ে গেছে। মাওলা আলীর প্রতি আনুগত্য এবং বশ্যতা স্বীকার করার নামই ইবাদত এবং মুমিন হওয়ার একমাত্র বৈধ পথ। এইদ্বারা কেয়ামত পর্যন্ত বজায় থাকবে। মাওলা আলীর প্রতি আনুগত্য ব্যতীত কেউ নবী-রাসূল, সাহাবী এবং অলী আল্লাহ হতে পারেনি এবং কেয়ামত পর্যন্ত কেউ হতে পারবে না।
সাহাবীরা মোনাফেক এবং মুমিন চিনতো মাওলা আলীর মাধ্যমে। মুমিন এবং মোনাফেক চেনার একমাত্র বৈধ মানদণ্ড হলো মাওলা আলী। যে মাওলা আলীর প্রতি বিদ্বেষ করবে সে মোনাফেক এবং যে মাওলা আলীকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসবে সে মুমিন। মূলত মাওলা আলী হলো ধর্ম, ঈমান ও মুমিনের মাপকাঠি। মাওলা আলীকে যে যতটুকু ভালোবাসবে, সে ততটুকু ধার্মিক, ঈমানদার এবং মুমিন।
নিবেদক : অধম পাপী মোজাম্মেল পাগলা।