মুয়াবিয়া কৌশলে আয়েশা (রাদি আল্লাহু আনহু)-কে নির্মমভাবে হত্যা করে।
হিজরী ৫৮ সনে উম্মুল মুমেনিন হযরত আয়েশা (রাদি আল্লাহু আনহু) মুয়াবিয়ার গভর্নর মারওয়ান কতৃর্ক নিহত হন। হযরত মা আয়েশা (রাদি আল্লাহু আনহু) মুয়াবিয়ার ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ ও সেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সোচ্চার ছিলেন। তিনি মুয়াবিয়াকে বিভিন্ন সময় পত্র ও দূতের মাধ্যমে সতর্ক করে দিতেন। রাসুল পাক (সাঃ) এর বিশিষ্ট সাহাবি হযরত হাজর বিন আদিকে (রাদি আল্লাহু আনহু) তার বার জন সঙ্গীসহ জিন্দা মরুভুমির বালুতে পুতে হত্যার ঘটনা উম্মুল মুমেনিন কে অত্যন্ত ব্যথিত করেছিল।
হযরত আয়েশা (রাদি আল্লাহু আনহু) এর জন্য মুয়াবিয়াকে তিরস্কার করেছিলেন। তিনি সব সময় মুয়াবিয়ার ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপের সমালোচনা করতেন। এতে মুয়াবিয়া স্বভাবতই হযরত আয়েশা (রাদি আল্লাহু আনহু) এর ওপর বিরক্ত ছিলেন এবং তাকে পথের কাঁটা ভাবতে শুরু করলেন। তাই মুয়াবিয়ার নির্দেশেই মারওয়ান প্রতারণার মাধ্যমে হযরত আয়েশা (রাদি আল্লাহু আনহু) কে তার দরবারে দাওয়াত করে।
মারওয়ান একটি গর্ত করে তন্মধ্যে তলোয়ার ও বল্লমের শূল স্থাপন করে। গর্তের উপর মাটির কৃত্রিম ফরাশ তৈরি করে তার ওপর একটি চেয়ার স্থাপন করে তাতে উম্মুল মুমেনিনকে বসতে অনুরোধ করে। হযরত আয়েশা (রাদি আল্লাহু আনহু) তখন বয়সের ভারে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। হযরত আয়েশা (রাদি আল্লাহু আনহু) চেয়ারে বসতে গিয়ে গর্তের মধ্যে পড়ে শূলবিদ্ধ হয়ে অল্পক্ষণের মধ্যে মারা যান।
[তথ্য সূত্র: “ইসলামের ইতিহাস”, মাওলানা আকবর শাহ নাজিরাবাদী, ২য় খন্ড পৃষ্ঠা-৪০, ইসলামিক ফাউন্ডশন বাংলাদেশ।]