হোমপেজ মুয়াবিয়া প্রসঙ্গ মুয়াবিয়ার ২২টি নির্মম কুকীর্তি তুলে ধরা হলো:

মুয়াবিয়ার ২২টি নির্মম কুকীর্তি তুলে ধরা হলো:

মুয়াবিয়ার ২২টি নির্মম কুকীর্তি তুলে ধরা হলো:

১/
মোয়াবিয়ার দাদা মূর্তি পূজারী উমাইয়া আশেকে রাসুল হযরত বিল্লাল (রাঃ) কে নির্মমভাবে অত্যাচার করে এবং দয়াল রাসূল পাক (সঃ) এর ঘোর বিরোধী ছিলো। অথচ মোয়াবিয়া মোহাম্মদী খেলাফতের পরিবর্তে তার দাদা মূর্তি পূজারীর নামানুসারে উমাইয়া খেলাফত চালু করে। যা মুসলিম সমাজে দীর্ঘ ৮৯ বছর উমাইয়া খেলাফত ব্যবস্হা হিসাবে চালু থাকে।

২/
মোয়াবিয়ার পিতা আবু সুফিয়ান দয়াল রাসূল (সাঃ) এর বিরুদ্ধে ২৭টি যুদ্ধের নেতৃত্ব প্রদান করে। এতে হাজার সাহাবী শাহাদাৎ বরণ করে।

৩/
মোয়াবিয়ার মাতা হিন্দা একটানা ২০ বছর পতিতালয়ের বেশ্যার সর্দারনী ছিলো। মোয়াবিয়া যখন ৬ মাসের গর্ভ অবস্থায়, তখন আবু সুফিয়ানের সাথে হিন্দার বিবাহ হয়। বিবাহের কিছুদিন পরে মোয়াবিয়া জন্মগ্রহণ করে। তাই মোয়াবিয়ার সঠিক পিতৃ পরিচয় আজও পাওয়া যায়নি।

৪/
মোয়াবিয়ার মাতা হিন্দা উহুদের যুদ্ধে দয়াল রাসূল (সাঃ) এর আপন চাচা হযরত হামজা (রাঃ) এর কলিজা কাঁচা চিবিয়ে ভক্ষণ করে এবং অঙ্গ পতঙ্গ কেটে গলায় মালা পরে।

৫/
মোয়াবিয়া মারওয়ানের মাধ্যমে মা আয়েশাকে দাওয়াত করে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।

৬/
মোয়াবিয়া হযরত আবু বকরের ছেলে আবুল কাসেমকে মাওলা আলীর পক্ষ অবলম্বন করার জন্য নির্মমভাবে হত্যা করে থাকে।

৭/
দয়াল রাসূল (সা:) বলেন, হে আম্বার! তোমাকে একদল বিদ্রোহী মোনাফেকরা হত্যা করবে। সিফফিনের যুদ্ধে হযরত আম্বার (রাঃ) মাওলা আলীর পক্ষ অবলম্বন করার জন্য, মোয়াবিয়া হযরত আম্বার (রাঃ) কে নির্মমভাবে হত্যা করে। হযরত আম্বার (রাঃ) মৃত্যুর সময় পানি পানি বলে চিৎকার করেছিলো। কিন্তু মোনাফেকের দল হযরত আম্বার (রাঃ) কে একফোঁটা পানি পর্যন্ত দেয়নি।

৮/
সিফফিনের যুদ্ধে বিখ্যাত আশেকে রাসুল ওয়াজ করণি পাগলা মাওলা আলীর পক্ষে মোয়াবিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তাই মোয়াবিয়া রাগান্বিত হয়ে বৃদ্ধ ওয়াজ করণি পাগলাকে হত্যা করে।

৯/
পবিত্র কুরআন শরীফে সূরা নিসার ৯৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে, যে একজন মুমিন বান্দাকে হত্যা করবে, সে চির জাহান্নামী। অথচ মোয়াবিয়া সিফফিনের যুদ্ধে মাওলা আলীর পক্ষে হাজার হাজার মুমিন সাহাবীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। সাহাবীদের বিরোধিতা করার নাম যদি মোনাফেক হয়, তাহলে সাহাবীদের হত্যা করার নাম কি হবে?

১০/
সিফফিনের যুদ্ধে একদল মাওলা আলীর পক্ষ ত্যাগ করার কারণে ধর্ম থেকে খারেজি হয়ে যায়। তাহলে মোয়াবিয়া সরাসরি মাওলা আলীর বিপক্ষে যুদ্ধ করার জন্য কি হতে পারে?

১১/
মাওলা আলী খলিফা হওয়ার পর সকল প্রাদেশিক গর্ভণর মাওলা আলীর নিকট বায়াত গ্রহণ করে আনুগত্য স্বীকার করে। কিন্তু একমাত্র মোয়াবিয়া মাওলা আলীর বায়াত গ্রহণ করেননি এবং শুরু থেকেই মাওলা আলীর খেলাফতের বিরুদ্ধে গিয়ে অস্ত্র ধারণ করে।

১২/
মোয়াবিয়া সিফফিনের যুদ্ধে মাওলা আলীর বিরুদ্ধে পরাজয়ের মূহুর্তে পবিত্র কুরআন শরীফকে বল্লমের আগায় বিদ্ধ করে পবিত্র কুরআন শরীফের অবমাননা করে।

১৩/
মোয়াবিয়া স্বর্ণ মুদ্রার বিনিময়ে ঘাতক মুলজিমকে দিয়ে নামাজরত অবস্থায় মাওলা আলীকে হত্যা করায়।

১৪/
হযরত ইমাম হাসান (আঃ) খলিফা হওয়ার সাথে সাথে মোয়াবিয়া বায়াত হওয়ার পরিবর্তে প্রচন্ড ঘোর বিরোধীতা শুরু করে। মোয়াবিয়া ঢাকঢোল পিটিয়ে ফরমান জারি করে, যে ইমাম হাসানের মাথা কেটে এনে দিতে পারবে তাকে মোয়াবিয়ার যুবতী কন্যা এবং দশ হাজার স্বর্ণ মুদ্রা দেরহাম দেওয়া হবে।

১৫/
মাওলা ইমাম হাসান ক্ষমতায় বসার কিছুদিন পর মোয়াবিয়া সরাসরি ইমাম হাসানের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং মাওলা ইমাম হাসানের পায়ে প্রচন্ডভাবে ছোরা দিয়ে আঘাত করা হয়।

১৬/
মোয়াবিয়া মাত্র ৬মাসের মাথায় ইমাম হাসানকে ক্ষমতাচূত্য করে এবং মাওলা ইমাম হাসানকে সন্ধিচুক্তি করতে বাধ্য করে। মাওলা ইমাম হাসান মুসলিম সমাজে শান্তি বজায়ের স্বার্থে এবং মোয়াবিয়ার পর মাওলা ইমাম হোসাইনকে খলিফা করার ওয়াদা করিয়ে সন্ধিচুক্তি করে।

১৭/
মোয়াবিয়া পরবর্তীতে ষড়যন্ত্র করে স্বর্ণ মুদ্রার বিনিময়ে ময়মুনা বুড়ির মাধ্যমে ইমাম হাসানের বউকে দিয়ে বিষ প্রয়োগ করে মাওলা ইমাম হাসানকে হত্যা করা হয়।

১৮/
মোয়াবিয়া টাকার বিনিময়ে মসজিদের ইমাম নিয়োগ করে জুমার খুৎবায় মাওলা আলীর নামে গালাগালি প্রথা চালু করে। যা সুদীর্ঘ ১০০ বছর বলবৎ ছিলো। পরবর্তীতে আব্বাসীয় খলিফা আবদুল আজিজ এসে এই গালাগালি প্রথা বন্ধ করে।

১৯/
মাওলা আলীকে গালাগালি করার জন্য সবাই খুৎবা না শুনেই চলে যেতো। তাই মোয়াবিয়া শুক্রবারের জুমার খুৎবা নামাজের আগে প্রচলন করে। যাতে মানুষ গালাগালি শুনতে বাধ্য হয়। কিন্তু এর আগ পর্যন্ত শুক্রবারের জুমার খুৎবা নামাজের পরে প্রচলিত ছিলো।

২০/
মোয়াবিয়া ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে খেলাফত ব্যবস্হা ধ্বংস করে রাজতন্ত্র চালু করে। আজও আরব দেশে তা বলবৎ রয়েছে।

২১/
মোয়াবিয়া ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে সারাক্ষণ মদ এবং নারী নিয়ে লিপ্ত থাকতো। তাছাড়া মোয়াবিয়া রাজ প্রাসাদের হাজার হাজার যুবককে খাসি করায়।

২২/
মোয়াবিয়া সন্ধিচুক্তি ভঙ্গ করে মাওলা ইমাম হোসাইনের পরিবর্তে কুপুত্র এজিদকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে। মোয়াবিয়া সকল প্রাদেশিক গর্ভণরকে বাধ্য করে এজিদের কাছে বায়াত নিতে। শুধুমাত্র মক্কা ও মদিনার গর্ভণর এজিদের কাছে বায়াত গ্রহণ করে না। মূলত কারবালার সূত্রপাত এখান থেকেই শুরু হয়।নচেৎ ভিন্ন রকম চিত্র হতে পারতো। তাই মোয়াবিয়াকেই এজিদের গডফাদার বলা হয়।

তথ্যসূত্র:

  • -কারবালা ও মোয়াবিয়া, সৈয়দ গোলাম মোর্শেদ।)
  • -বেহুঁশের চৈতন্য দান, বেনজির হক চিশতি।)

নিবেদক : অধম পাপী মোজাম্মেল পাগলা।