ইসলাম যেভাবে পরিপূর্ণতা লাভ করে

ইসলাম যেভাবে পরিপূর্ণতা লাভ করে

ইসলাম পরিপূর্ণতা লাভ করে যখন মাওলা প্রকাশিত হয়।সরকারে দোআলম গদিরে খুমে মাওলা অভিষেকের পর্বের মাধ্যমেই ইসলাম পরিপূর্ণতা লাভ করে। মাওলা মনোনিত হওয়ার পর ইসলাম পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয়। মাওলাইয়াত ব্যতীত ইসলাম পূর্ণলতা লাভ করে নাই। মাওলাই ইসলাম পরিপূর্ণতা দান করেন। এই মাওলা হল আমিরুল মুমিনিন। তিনি মুমিনগণের মাওলা। মুমিন ব্যতীত কেউ মাওলাকে উপলব্ধি করতে পারে না। মুমিনদের রাহনুমাই হল মাওলা।

মাওলাকে কেন্দ্র করেই রাসুল পাক (সা.) – পর্দা নেওয়ার পর ইসলামের সৌন্দর্য বিনষ্ট হয়। সৃষ্টি হয় ইসলামের মধ্যে মতভেদ। এই মতভেদের কোলেই ফেরকা নামক ভাইরাস সৃষ্ট হয়। রাসুল পাক (সা.)- এর অধিকাংশ সাহাবিগণই আমলকে প্রাধান্য দিয়ে মাওলাকে সুকৌশলে এড়িয়ে গেছেন। অথচ মাওলা হল ঈমানের মূল ভিত্তি। আসহাবে সুফ্ফা তথা সুফিগণ ব্যতীত ইসলামের কোনো ফেরকাই মাওলাকে ঈমানের ভিত্তি মানে না। মাওলার উপর ঈমান না থাকলে আমল দিয়ে কি নাজাত মিলবে?

নাজাতের একটাই সিরাত সেটা হল মনে প্রাণে মাওলার আনুগত্য মেনে নেওয়া। সুফিগণ ব্যতীত ইসলামের সকল ফেরকাই সালাত, যাকাত, সিয়াম, হজ ও কোরবানিতে এক ও অভিন্ন। আবু জাহেল, আবু লাহাব, উকবা, মগিরা, মারওয়ান, মোয়াবিয়া ও এজিদ তারা নামাজ, রোজা, হজ ও কুরবানি তথা আনুষ্ঠানিক আমলে কমতি ছিল না। তারা শুধু নবি ও তাঁর মাওলাকে মেনে নিতে পারে নাই।

সুফিগণ ব্যতীত সকল ফেরকাই সালাত, যাকাত, সিয়াম, হজ ও কোরবানিতে একমত। শুধুমাত্র মাওলা বিষয়ে তারা দ্বিমত ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া। আযাজিল হাকিম মানছে কিন্তু হাকিমের হুকুম মানে নাই। তেমনিভাবে রাসল পাক (সা.)- এর সাহাবিগণ মুহাম্মদ মানছে কিন্তু মুহাম্মদের মাওলা আলীকে মাওলারূপে মেনে নিতে পারে নাই। মাওলার চেহারা যে আল্লাহ চেহারা, ইহাতে সন্দেহ থাকলে যে ঈমান নাই। ওহাবিরা ঈমানকে ফেলে দিয়ে আমলকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে ফেলছে।

মাওলার আনুগত্য না মানার প্রতিক্রিয়াই ইসলামের মধ্যে এত দল ও মতের আবির্ভাব হয়। ইবাদতের মধ্যে আল্লাহ নাই। আল্লাহ থাকে মাওলার আনুগত্যের মধ্যে। কারণ, মাওলা যে ইবাদতের মূল। মূলকে ফেলে শতজনম আমল করলে কি আর মুক্তি মিলবে? সুতরাং অপ্রিয় সত্য কথাটি বলতে চাই, মাওলার আনুগত্য ব্যতীত কেউ মাকামে মাহমুদায় প্রবেশ করতে পারবে না। মাওলাই দাসত্বকে পরিপূর্ণতা দান করেন।

মাওলার দাসত্ব করে মুমিন, মুহসিনিন, মুত্তাকি ও সাবেরিনগণ। তাঁরা মাওলাকে জালিকাল কিতাব মানে। যে কিতাবে কোনো সন্দেহ নাই। মাওলাই সন্দেহমুক্ত আল কিতাব।

সাহাবিগণ তো কোরানের উপর সন্দেহ করে এক ইসলামকে ৭৩ টুপি পড়িয়ে ভাগ করেছেন। তাদের অনুসারীগণই মাওলা বংশকে নির্বিচারে শহীদ করে আনুষ্ঠানিক ইবাদত বন্দেগিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। সুতরাং মাওলা হল ঈমানের খুঁটি। মাওলার আনুগত্যের মধ্যেই মুমিন আর মুনাফিকের চরিত্র প্রকাশিত হয়। যে কোরান পাঠ করে মাওলার পরিচয় পাওয়া যায় না, সেই কোরান পাঠ অবশ্যই জাহান্নামে নিয়ে যাবে, ইহাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।

সুতরাং মাওলার আনুগত্য ব্যতীত পূর্ণ ইসলাম কায়েম অসম্ভব। অতএব মাওলাই হক, সত্যই মাওলা।

নিবেদক:
আর এফ রাসেল আহমেদ ওয়ার্সী
১৮.০৩.২০২৫

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel