হোমপেজ মুয়াবিয়া প্রসঙ্গ কোন যুক্তিতে মোয়াবিয়াকে জলিল কদর সাহাবী বলছেন?

কোন যুক্তিতে মোয়াবিয়াকে জলিল কদর সাহাবী বলছেন?

Advertisement:
IPL 2024: ফ্রিতেই IPL Live Cricket খেলা দেখুন Full HD তে

কোন যুক্তিতে মোয়াবিয়াকে জলিল কদর সাহাবী বলছেন?

স্বয়ং দয়াল রাসূল (সাঃ) যাকে মোনাফেক বলে আর আমরা সেই মোয়াবিয়াকে জলিল কদর সাহাবী বলি। এটা নাফরমানী, ঈমান বিধ্বংসী এবং ইসলামদ্রোহী আকিদা।

আসুন দলিলভিত্তিক সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে নিজের ঈমানকে পাকাপোক্ত করি।

দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) বলেনঃ
مَنْ فَارَقَ عَلِيّاً فَقَدْ فَارَقَنِي وَ مَنْ فَارَقَنِي فَقَدْ فَارَقَ اللهَ عَزَّوَجَلَّ.
“যে ব্যক্তি আলী থেকে পৃথক হয়, সে আমা থেকে পৃথক হলো। আর যে আমা থেকে পৃথক হলো, সে মহান আল্লাহ থেকে পৃথক হয়ে গেল।”

(আল মানাকিব- ইবনে মাগাযেলী ২৪০/২৮৭,আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪,আল মু’ জামুল কাবীর- তাবারানী ১২:৩২৩/১৩৫৫৯)

مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ، اَللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ وَعَاِد مَنْ عَادَاهُ.
“আমি যার মাওলা আলীও তার মাওলা। হে আল্লাহ! যে আলীকে ভালোবাসে তুমি তাকে ভালোবাস আর যে আলীর সাথে শত্রুতা করে তুমি তার সাথে শত্রুতা করো।”

IPL 2024: ফ্রিতেই IPL Live Cricket খেলা দেখুন Full HD তে

(কানযুল উম্মাল ১১:৬০৯/৩২৯৫০,আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১০৯,মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১০৪,আল মু’ জামুল কাবীর-তাবারানী ৪:১৭৩/৪০৫৩,তিরমিযী ৫:৬৩৩/৩৭১৩,মুসনাদে আহমাদ ১:৮৪,৮৮,১১৯,১৫২,৩৩১ ও ৪:২৮১,৩৬৮,৩৭০,৩৭২ ও ৫:৩৪৭,৩৫৮,৩৬১,৩৬৬,৪১৯)

عَلِيٌّ مَعَ الْحَقِّ وَ الْحَقُّ مَعَ عَلِيٍّ، لَنْ يَفْتَرِقَا حَتَّي يَرِدَا عَلَيَّ الْحَوضِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.
“আলী সত্যের সাথে আর সত্য আলীর সাথে,এই দুটো কখনো একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না যতক্ষণ না কেয়ামতের দিন হাউজে কাওসারে আমার সাথে মিলিত হবে।”

(তারীখে বাগদাদ ১৪:৩২১,ইমাম আলী (আ.)– ইবনে আসাকির ৩:১৫৩/১১৭২)

َالنَّظَرُ إِلَي وَجْهِ عَلِيٍّ عِبَادَةٌ.
“আলীর মুখের দিকে তাকানো ইবাদত।”

(আল মানাকিব- ইবনে মাগাযেলী ২০৬/২৪৪-২৪৬ ও ২০৯/২৪৮-২৪৯ ও ২১০/২৫২-২৫৩,আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৪২,আর রিয়াদুন্ নাদরাহ ৩:১৯৭)

عَلِيٌّ الصِّدِّيقُ الْاَكْبَرُ، وَ فَارُوقُ هَذِهِ الْاُمَّةِ، وَ يَعْسُوبُ الْمُؤْمِنِينَ.
“আলী ঈমানে সর্বাপেক্ষা দৃঢ়পদ,উম্মতের মধ্যে হক ও বাতিলে প্রার্থক্যকারী আর মুমিনদের কর্তা।”

(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৬/৩২৯৯০,আল মু’ জামুল কাবীর-তাবারানী ৬:২৬৯/৬১৮৪)

لِكُلِّ نَبِيٍّ وَصِيٌّ وَ وَارِثٌ، وَ إَِنَّ عَلِيّاً وَصِيِّي وَ وَارِثِي.
“প্রত্যেক নবীর ওয়াসী এবং উত্তরসূরি থাকে। আর আমার ওয়াসী এবং উত্তরসূরি হলো আলী।”

(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৩৮,আল ফেরদৌস ৩:৩৩৬/৫০০৯, ইমাম আলী (আ.)– ইবনে আসাকির ৩: ৫/১০৩০-১০৩১)

দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন, যে ব্যক্তি আলী থেকে পৃথক হয়, সে আমার কাছ থেকে পৃথক হয়ে যায় আর যে আমার থেকে পৃথক হয় সে সরাসরি আল্লাহর কাছ থেকে পৃথক হয়ে যায়। অথচ মোয়াবিয়া মাওলা আলীর বিরুদ্ধে সিফফিন যুদ্ধ করে সরাসরি পৃথক হয়ে গেছে। যুদ্ধ মানে তো আর বন্ধুত্ব নয় বরং সরাসরি পৃথক হয়ে যা। এই সহজ কথাটি যারা বুঝতে চায় না, তাদেরকে আর কি দিয়ে বুঝাবো। আবার রাসূল (সাঃ) বলেন আমি যার মাওলা আলী তার মাওলা। যে আলীকে ভালোবাসে সে আমাকে ভালোবাসে আর যে আলীর সাথে শক্রতা করে সে আমার সাথে শক্রতা করে। এখন বলুন কেউ কি তার মাওলা অর্থাৎ অভিভাবকের সাথে যুদ্ধ করতে পারে? মোয়াবিয়া মাওলা আলীর সাথে যুদ্ধ করে দিবালোকের ন্যায় শক্রুতা করেছিলো। মোয়াবিয়া মাওলা আলীকে হত্যা করার জন্যই যুদ্ধ করেছিলো।

শক্রুতার চরম শিখরে পৌঁছালেই একজনের সাথে যুদ্ধ বাঁধে। আপনাদের ব্যক্তি জীবন দিয়েই একটু চিন্তা ভাবনা করুন, কঠিন ঘোরতর দুশমন ছাড়া কেউ কারোর সাথে যুদ্ধ কিংবা মারামারিতে লিপ্ত হয় না। মনে রাখবেন মোয়াবিয়া মাওলা আলীকে চুমু দেওয়ার জন্য যুদ্ধ করেনি বরং সরাসরি হত্যা করার জন্যই যুদ্ধ করেছিলো। একজন বদ্ধ উন্মাদও বিশ্বাস করবে না, যুদ্ধ মানে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ বরং ঘোরতর শক্রুতা। আর মাওলা আলীর সাথে শক্রতা মানে স্বয়ং সরাসরি আল্লাহ ও রাসূলের সাথে শক্রতা করা। এখন আপনারা বলুন, আল্লাহ ও রাসূলের দুশমনকে কিভাবে মুমিন জলিল কদর সাহাবী বলতে পারি? বিবেকের মাথা তো খেয়ে ফেলেনি একজন খোদাদ্রোহীকে জলিল কদর সাহাবী বলতে যাবো। নিজের স্বত্বাকে কারোর কাছে ইজারা দেওয়া হয়নি এবং চোখ দুটো এখনো অন্ধ হয়ে যাইনি ও কান দুটি এখনো বধির হয়ে যাইনি যে, মোয়াবিয়াকে সাহাবী বলতে হবে।

দয়াল রাসূল (সাঃ) বলছেন, হক আলীর সাথে এবং আলী হকের সাথে। আলী যেদিকে মোড় নেয় সেদিকে হক এবং ধর্ম মোড় নেয়। আলীর চেহারার দিকে তাকানোই উত্তম ইবাদত। আর মোয়াবিয়া সেই স্বয়ং হক ও ধর্মের কান্ডারি মাওলা আলীর বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করেছিলো। মূলত মোয়াবিয়া সত্য এবং স্বয়ং ধর্মের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করেছিলো। যাঁর দিকে তাকানো উত্তম ইবাদত, তাঁর বিরুদ্ধে কিভাবে অস্ত্র ধারণ করা যায়? না না মোয়াবিয়া শুধু মাওলা আলীর সাথে যুদ্ধ করেনি বরং সরাসরি হক, ধর্ম, কোরআন এবং আল্লাহ ও রাসূলের সাথে যুদ্ধ করেছিলো। এই অমোঘ সত্য কথাটি যাদের হৃদয়ে এখনো পরিস্ফুটিত হয়নি, তারা কখনো ঈমানদার হতে পারে না বরং গোমরাহিতে লিপ্ত রয়েছে। তাদের বিবেকের স্বত্ত্বা, হৃদয়ের চোখ ও কান সবকিছু পঁচে গলে নষ্ট হয়ে গেছে।

দয়াল রাসূল (সাঃ) বলেন, আলী হক ও বাতিলের প্রার্থক্যকারী এবং মুমিনের কর্তা। আলী আমার একমাত্র ওয়াসী এবং উত্তরসূরী। তাই তো মাওলা আলী সিফফিন যুদ্ধের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন মোয়াবিয়া সুস্পষ্ট বাতিল। দয়াল রাসূল (সাঃ) এর মনোনীত উত্তরসূরীর সাথে যুদ্ধ করা মানে স্বয়ং রাসূলেরই সাথে যুদ্ধ করা। যেমন কোন পীর যদি তার আওলাদকে পরবর্তী খলিফা মনোনয়ন করে আর কোন ভক্ত যদি তার পীরের মনোনীত খলিফার সাথে সরাসরি যুদ্ধ করে, তাহলে সে কি আর ভক্ত থাকবে? নিশ্চয়ই সে বেইমান বিশ্বাস ঘাতক মুরিদ হিসাবে সবার নিকট চিহ্নিত হবে। এখন আপনি বলুন তাহলে মোয়াবিয়া কিভাবে দয়াল রাসূল (সাঃ) এর আওলাদ এবং একমাত্র মনোনীত খলিফার সাথে যুদ্ধ করে জলিল কদর সাহাবী হয়? এটা তো পাগলের প্রলাপকেও হার মানাবে। যদি মোয়াবিয়া দয়াল রাসূলের আওলাদের সাথে যুদ্ধ করেও মুমিন সাহাবী হয়, তাহলে আজ থেকে আপনারা মোয়াবিয়াপন্হী পীরের আওলাদকে ঐ পীরের ভক্তরা সবাই মিলে জুতাপিটা করবেন। কারণ ইহা তো আপনাদের গুরু মোয়াবিয়ার সুন্নত। যদি আপনারা তাহা না করেন, তাহলে কখনো মুমিন হতে পারবেন না। কারণ আপনি মোয়াবিয়াকে জলিল কদর সাহাবী মানবেন অথচ মোয়াবিয়ার সুন্নত মানবেন না, তা কখনো হতে পারে না।

কি ভাই বিবেকবুদ্ধি কি লোপ পেয়েছে নাকি এখনো জাগ্রত রয়েছে? উপরের সুস্পষ্ট আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, মোয়াবিয়া কখনো জলিল কদর সাহাবী হতে পারে না। মোয়াবিয়া সরাসরি হকের দুশমন, ইসলামের দুশমন, পবিত্র কুরআনের দুশমন, আহলে বাইতের দুশমন এবং আল্লাহ ও রাসূলের দুশমন। বিশ্বাস করুন, মোয়াবিয়াপন্হী পীরের ভক্তরা সুস্পষ্ট বিপদগামী এবং আহলে বাইতের দুশমন। ঈমান বাঁচাইতে চাইলে এখনই মোয়াবিয়াপন্হী পীরকে তালাক দিয়ে দেন। নচেৎ আপনারা কখনো মুমিন তো দুরের কথা বরং জাহান্নামের দিকে ধাবিত হচ্ছেন। হে মুসলিম জাতি! আর কতকাল মোনাফেক মোয়াবিয়ার অনুসারী হয়ে থাকবেন? দয়া করে এবার আপনাদের শুদ্ধ বিবেককে জাগ্রত করুন, নচেৎ ইহকাল এবং পরকাল দুটিই হারাবেন।

আমরা যখনই দলিল দিয়ে মোয়াবিয়ার মুখোশ উন্মোচন করি, তখনই তারা আমাদেরকে শিয়া ট্যাগ লাগিয়ে উদোর পিন্ডি বদোর ঘাড়ে চাপাতে চেষ্টা করে। এভাবে আর কতকাল আপনাদের ভাঙা সারিন্দা বাজিয়ে যাবেন। শিয়া উপাধি দিয়ে আর সত্যকে ঢেকে রাখা যাবে না। সত্য তার আপন গতিতেই স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হয়। মানুষকে আর কতকাল ধোঁকা দিবেন? জনগণ এখন সত্য জানতে শিখছে। সত্য সামনে এসে গেছে ধোঁকা দেওয়ার দিন শেষ। মনে রাখবেন, আলো আসলে অন্ধকার দূরীভূত হবেই হবে। সময় এখনো ফুরিয়ে যাইনি, তওবা করে মহাসত্য এবং আহলে বাইতের পথে ফিরে আসুন।

মহান মালিক আমাদের সকলকে তাঁর নুরময় কদমে আশ্রয় ভিক্ষা দিক। আমিন।

নিবেদক : অধম পাপী মোজাম্মেল পাগলা।