হোমপেজ সকল দলিল আল্লাহর মনোনীত পীরকে হাদিয়া প্রদান করা ফরজ।

আল্লাহর মনোনীত পীরকে হাদিয়া প্রদান করা ফরজ।

আল্লাহর মনোনীত পীরকে হাদিয়া প্রদান করা ফরজ।

আল্লাহর মনোনীত মহামানব অলী আল্লাহ অর্থাৎ পীরকে হাদিয়া প্রদান করা ফরজ। ইহা কল্যাণকর এবং পবিত্র হওয়ার উত্তম পদ্ধতি।

সূরা আল-মুজাদালাহ (المجادلة), আয়াত: ১২
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا نَاجَیۡتُمُ الرَّسُوۡلَ فَقَدِّمُوۡا بَیۡنَ یَدَیۡ نَجۡوٰىکُمۡ صَدَقَۃً ؕ ذٰلِکَ خَیۡرٌ لَّکُمۡ وَاَطۡہَرُ ؕ فَاِنۡ لَّمۡ تَجِدُوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ

উচ্চারণঃ ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূইযা-না-জাইতুমুর রাছূলা ফাকাদ্দিমূবাইনা ইয়াদাই নাজওয়া-কুম সাদাকাতান যা-লিকা খাইরুল্লাকুম ওয়া আতহারু ফাইল্লাম তাজিদূ ফাইন্নাল্লা-হা গাফূরুর রাহীম।

অর্থঃ “হে মুমিনগণ, তোমরা রাসূলের কাছে একান্ত স্বাক্ষাৎ করতে চাইলে তারপূর্বে হাদিয়া প্রদান করবে। এটা তোমাদের জন্যে কল্যাণকর ও পবিত্র হওয়ার ভাল উপায়। যদি তাতে সক্ষম না হও, তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”

মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর পবিত্র কুরআন শরীফে সুস্পষ্ট ঘোষণা করছেন, রাসূলের সাথে স্বাক্ষাৎ করার পূর্বেই হাদিয়া প্রদান করতে নির্দেশ করছেন। যুগে যুগে প্রতিটি নবী-রাসূল ভক্তদের এই হাদিয়া সানন্দেচিত্তে গ্রহণ করছেন। এই হাদিয়া শুধু টাকা পয়সা নয় বরং ইহা গরু-ছাগল, মহিষ, খেজুর, বিভিন্ন প্রকার ফল, সবজি অথবা চাউল হতে পারে। যেহেতু অলী আল্লাহগণ আল্লাহর মনোনীত এবং একাধারে রাসূল, তাই তাঁদেরকেও হাদিয়া দেওয়া ভক্তদের জন্য ফরজ। কারণ নবুয়াতের ধারা বিলুপ্তি ঘটলেও কিন্তু রেসালাতের ধারা বিলুপ্তি ঘটেনি। বরং কেয়ামত পর্যন্ত মানুষকে হেদায়েত দেওয়ার জন্য যুগে যুগে অলী আল্লাহ রুপে রাসূল আসছে এবং আসবে। তাই পবিত্র কুরআন শরীফের উক্ত আয়াত আল্লাহর মনোনীত সকল অলী আল্লাহর জন্য প্রযোজ্য। বরং ইহা অস্বীকার করা কুফরির শামিল।

মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর মনোনীত মহামানবদের সাথে কতোটা নিবিড় প্রেমের সম্পর্ক, তা উক্ত আয়াতে সুস্পষ্ট প্রমাণিত। মহামানবদের সম্মানিত করার জন্যই এই হাদিয়া প্রদানের ব্যবস্হা করছেন। কারণ মহামানগন আমাদের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা স্বত্ত্বা এবং তাঁরা আল্লাহর জাত পাকের সাথে মিশে একাকার হয়ে গেছে। এই হাদিয়া প্রদানকে আমাদের জন্য অধিক কল্যাণকর এবং পবিত্র হওয়ার ঘোষণা করছেন। মোর্শেদকে হাদিয়া প্রদানের মাধ্যমে ভক্ত তার পাপ থেকে মুক্তি পায় এবং জাগতিক জীবন কল্যাণমূখী হয়। হাদিয়া প্রদান হলো পাপ থেকে মুক্তির অন্যতম উপায়। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের ভালোবেসে পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার অতি সহজ পথ বাতলে দিয়েছেন। তবে অক্ষম অর্থাৎ গরীব ভক্তদের জন্য ইহা মাফ করে দিয়েছেন। তাঁদের জন্য চোখের পানিই হাদিয়াস্বরুপ হিসাবে গণ্য হবে।

তবে ইসলাম ধর্মে জোর জবরদস্তি নেই। কারোর ইচ্ছা না হলে সে দিবে না। উক্ত আয়াত থেকে স্পষ্ট বুঝা যায়, মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর মনোনীত মহামানবেদর কতোটা সম্মানিত করছেন এবং ভালোবাসেন। নচেৎ তাঁদের হাদিয়া প্রদান করা কল্যাণকর এবং পবিত্র হওয়ার উত্তম উপায় হতো না। কেবলমাত্র একজন গুরুভক্ত এবং সুস্হ বিবেক সম্পন্ন লোকই এটা অনুধাবন করতে সক্ষম। আমাদের মতো পাপী লোক ইহা বুঝতে অক্ষম। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে তাঁর মনোনীত অলী আল্লাহর গোলামি করার তৌফিক ভিক্ষা দান করুক। আমিন।

নিবেদক : অধম পাপী মোজাম্মেল পাগলা।