হোমপেজ মুয়াবিয়া প্রসঙ্গ মুয়াবিয়ার আকিদা সম্পর্কে খাজাবাবা ফরিদপুরীর নসিহত

মুয়াবিয়ার আকিদা সম্পর্কে খাজাবাবা ফরিদপুরীর নসিহত

1514

 মুয়াবিয়ার আকিদা সম্পর্কে খাজাবাবা ফরিদপুরীর নসিহত

[বিশ্বওলি খাজাবাবা ফরিদপুরী (কু: ছে: আ:) ছাহেবের পবিত্র নসিহত শরীফ – খন্ড-৯ “মুহাররাম” গ্রন্থে- স্পেশালি মুয়াবিয়ার প্রতি আকিদা উল্লেখ করা হয়েছে। কাজেই সাবধান! খাজাবাবার নিজস্ব কথা ও মতামতকে ইতিহাস গ্রন্থ বলে খামখেয়ালী করার কোনো সুযোগ নেই।]

এই গ্রন্থে মুয়াবিয়ার ব্যাপারে খাজাবাবা ফরিদপুরী (কু: ছে: আ:) ছাহেবের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কথা নিম্নরূপঃ

  • কারবালার ইতিহাস যে শঠতার কলঙ্কে লিপ্ত, তাহার সূত্রপাত হয় হযরত আলী (কঃ) এর সময়ে সিফফিনের যুদ্ধে সন্ধির নামে প্রহসন ও তদীয় শাহাদাত এর মাধ্যমে। [মুহাররাম: পৃষ্ঠা-৯, লাইন-২৪]
  • ইমাম হাসান (রাঃ) এর প্রতি মদিনাবাসীর সম্মান প্রদর্শন দেখিয়া মুয়াবিয়ার শংকা বাড়িয়া যায়। তাই খেলাফতের দাবিতে যাহাতে নবী বংশের কেহ আর না আসিতে পারে, তাই মুয়াবিয়া কূটচালের আশ্রয় গ্রহণ করেন হযরত ইমাম হাসান (রাঃ) কে আততায়ী দ্বারা বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়। [মুহাররাম: পৃষ্ঠা-১৩, লাইন-২৬]
  • এতদ্বসত্ত্বেও মুয়াবিয়া সকল সময়েই হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) এর উপর প্রখর দৃষ্টি রাখিতে লাগিলেন। তিনি তাহার শেষ ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করিতে লাগিলেন, যাহাতে নবী করিম (সাঃ) এর কণিষ্ঠ দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) কেও খেলাফতের দাবি হইতে বিচ্যুত করিয়া নিজ পুত্র এজিদকে সিংহাসনে বসানো যায়। মুয়াবিয়া বুঝিতে পারিয়াছিলেন যে, তাহার পুত্রের খেলাফত প্রাপ্তির বিরুদ্ধে যদি কখনো কোনো দাবি উত্থাপিত হয় বা সশস্ত্র যুদ্ধ হয়, তাহা হইবে হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) ছাহেবকে কেন্দ্র করিয়া। ইমাম হাসান (রাঃ) ছাহেবের সহিত সম্পাদিত সন্ধি চুক্তির খেলাফ করিয়া মুয়াবিয়া নিজ পুত্র এজিদকে যুবরাজ ও তাহার সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে জীবদ্দশাতেই ঘোষণা দান করেন; যাহাতে এজিদের সিংহাসন প্রাপ্তিতে বিঘ্ন না ঘটে। [মুহাররাম: পৃষ্ঠা-১৪, লাইন-৩ থেকে ১৫]
  • রাসুলে পাক (সাঃ) এর সাত্বিক আদর্শচ্যুত মুয়াবিয়া ইসলামিক গণতন্ত্রকে পদদলিত করিয়া রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বেপরোয়া হইয়া উঠেন। [মুহাররাম: পৃষ্ঠা-৩৩, লাইন-২]
  • তিনি (মুয়াবিয়া) হযরত হাসান (রাঃ) কে মারোয়ানের কুমন্ত্রণায় বিষ প্রয়োগে হত্যা করেন। [মুহাররাম: পৃষ্ঠা-৩৩, লাইন-৪]
  • স্বার্থপর, নিষ্ঠুর ও রাসূল পাক (সাঃ) এর আদর্শচ্যুত মুয়াবিয়া পুত্র এজিদকে যে উপদেশ দেন, কুখ্যাত এজিদ হিংস্রতা ও স্বার্থপরতায় আরো কয়েক ধাপ অগ্রসর হয়। [মুহাররাম: পৃষ্ঠা-৩৩, লাইন-১৩]

নিম্নে মুয়াবিয়ার আরো কিছু উল্লেখযোগ্য চরিত্রের কথা তুলে ধরা হলোঃ

  1. হযরত আলী (ক) এর খেলাফতি কালে মুয়াবিয়ার বিভিন্ন ষড়যন্ত্র এবং হযরত আলী (ক) কে আততায়ীর হাতে শহীদ করার পেছনে মুয়াবিয়ার হাত থাকা।
  2. ষড়যন্ত্র করে ইমাম হাসান (রাঃ) কে খেলাফতি থেকে সরিয়ে দেয়া, বিভিন্ন সময়ে দুর্ব্যবহার এবং ইমাম হাসান (রাঃ) কে বিষ প্রয়োগে হত্যার জন্য খাজাবাবা সরাসরি মুয়াবিয়াকে দায়ী করেছেন।
  3. মুয়াবিয়ার মৃত্যুর পূর্বে সন্ধি চুক্তি ও শর্ত ভঙ্গ করে, ইমাম হোসেন (রাঃ) কে খেলাফতের দায়িত্ব না দিয়ে – মুয়াবিয়ার লম্পট পুত্র এজিদ কে খেলাফতের উত্তরাধিকার করা।
  4. খাজাবাবা ফরিদপুরী মুয়াবিয়া কে স্বার্থপর, নিষ্ঠুর ও রাসূলে পাক (সঃ) এর আদর্শচ্যুত বলেছেন।
  5. এছাড়াও মুয়াবিয়ার ব্যাপারে খাজাবাবা ফরিদপুরী বিভিন্ন শব্দ ব্যবহার করেছেন – যেমনঃ কূটচাল, ক্ষমতালিপ্সু, বেপরোয়া, আদর্শচ্যুত এ জাতীয় আরো নানা শব্দ।

গ্রন্থসূত্র: বিশ্বওলি খাজাবাবা ফরিদপুরী (কু: ছে: আ:) ছাহেবের পবিত্র নসিহত শরীফ – ৯ম খন্ড “মুহাররাম”