আল্লাহর বিধান মুমিনগণ যেন মোয়াবিয়ার উপর অভিশাপ সম্পাত করে।
মাওলা আলি (আ:)এর পুত্র এবং মহানবি (সা:) এর প্রিয় নাতি ইমাম হাসান (আ:)কে বিষ প্রয়োগে শহিদ করেছিলেন তুলাকা, মুনাফিক, অভিশপ্ত সাহাবা আমির মোয়াবিয়া।
কোরানিক দর্শন জানান দিচ্ছে, “যে ইচ্ছাকৃত কোনো মুমিনকে শহিদ করলো, সে অভিশপ্ত, সে মুনাফিক, সে জালিম, সে ফাসিক, সে কাফির।” (৫: ৪৪,৪৫,৪৭/ ৪: ৯৩/ ৫১: ৭-১১/ ৪৯ঃ১৪)।
“যেই ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মুমিনকে হত্যা করিবে, সুতরাং তাহার (হত্যার) বিনিময় তাহার জন্য জাহান্নাম। সেই উহার মধ্যে অনন্তকাল থাকিবে এবং তাহার উপর আল্লাহর গোস্বা এবং লানত (অভিশাপ) থাকিবে এবং (তিনি আল্লাহ) তাহার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা রাখিবেন।” (সুরা নিসা আয়াত ৪:৯৩)।
কোরানের সূরা নিসার ৯৩নং আয়াত দ্বারা সাবিত হলো যে মুমিনকে হত্যা করে, সে অভিশপ্ত, জাহান্নামী।
আমিরুল মুমিনিন ইমাম হাসান (আঃ) কে সুকৌলে বিষ প্রয়োগ করেন, আমির মোয়াবিয়া। সুতরাং মুমিনকে যে জেনে শুনে হত্যা করলো সে শত ভাগ কাফের। এই কাফের ও জালেমের উপর অভিশাপ দেওয়া আল্লাহর সুন্নত। সুতরাং তুলাকার, খবিসে আজম, শয়তানের মাথা, আমির মোয়াবিয়ার উপর অভিশাপ দেওয়া মুমিনগনের উপর ওয়াজিব।
যারা আমির মোয়াবিয়াকে সাহাবা হিসাবে অন্তর দিয়ে মানে সে অবশ্যই আহলে বায়াতের উপর, নবীর সাহাবাদের উপর জুলুম করলো। যার কলবে মোয়াবিয়ার প্রেম আর ভালোবাসা থাকবে, সে নি:সন্দেহে মুনাফিক। ইহা আহলে সুন্নাতুল জামাতের আকিদা। সুতরাং যার কন্ঠে আমির মোয়াবিয়ার প্রশংসা শুনা যাবে, তার কাছ থেকে সাবধান, সে মসজিদের মিম্বরে বসে মানুষকে ধোঁকা দিবে।
বিঃদ্রঃ যদি কেউ আমির মোয়াবিয়ার কুকর্মের ইতিহাস জানতে চান, তাহলে সৈয়দ গোলাম মোর্শেদের “কারবালা ও মোয়াবিয়া” নামক বইটি পড়ুন, আরো পড়ুন কালান্দার জাহাঙ্গীর আঃ এর মারফতের গোপন কথা, সুফিবাদ আত্মপরিচয়ের একমাত্র পথ, মারফতের ভেদ রহস্য, ও মারফতের গোপন দর্শন অনেকেরই অজানা” এই বইগুলো পড়ুন, তাহলে মোয়াবিয়া এবং মসলকে মোয়াবিয়া নামক সুন্নিদের স্বরূপ জানতে পারবেন, এবং শিয়ারা যে সুফিবাদ মানে না তারও ইতিহাস জানতে পারবেন।
নিবেদক: আর এফ রাসেল আহমেদ