হোমপেজ ইসলামের ভ্রান্ত ধারণা সূফিবাদের আড়ালে নামধারী কিছু সুন্নি পীরেরা যেভাবে ওহাবী মতবাদ প্রচার করছে।

সূফিবাদের আড়ালে নামধারী কিছু সুন্নি পীরেরা যেভাবে ওহাবী মতবাদ প্রচার করছে।

সূফিবাদের আড়ালে নামধারী কিছু সুন্নি পীরেরা যেভাবে ওহাবী মতবাদ প্রচার করছে।

সূফিবাদের আড়ালে কিছু নামধারী সুন্নি পীরেরা ওহাবী মতবাদ প্রচার করছে এবং আহলে বায়াতকে চরমভাবে অপমান করছে।

আসুন জেনে নিই এই মুখোশধারী পীরদের মারাত্মক দুটি অন্যতম আকিদা।

  • ১/ এরা বলে মাওলা আলীর চেয়ে তিন খলিফা সবচেয়ে বেশি সম্মানিত সাহাবী। অর্থাৎ রাসূল পাক সঃ এর পর সবচেয়ে বেশি সম্মানিত আবু বকর, ওমর, উসমান এবং তারপর মাওলা আলী।
  • ২/ এরা মোনাফেক মোয়াবিয়াকে একজন উঁচু স্তরের সম্মানিত জলিল কদর সাহাবী মনে করে এবং পঞ্চম খলিফা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করে।

এবার আসুন মাওলা আলী সমন্ধে আল্লাহ এবং রাসূল পাক সঃ কি বলছেন, তা সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করি।

  • “হে নবী পরিবার! আল্লাহ তো চান তোমাদেরকে অপবিত্রতা থেকে দুরে রাখতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরুপে পবিত্র রাখতে।” [সূরা আহযাব, আয়াত নং ৩৩]।
  • “হে রাসূল! আপনি বলে দিন, আমি রেসালাতের বিনিময়ে তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না। একমাত্র আমার নিকট আত্নীয়দের (আহলে বায়াতের) সাথে ভালোবাসা পোষণ ছাড়া।” [সূরা শূরা, আয়াত নং ২৩]।
  • “হে রাসূল! আপনার প্রতিপালক আপনার উপর যে রিসালাত অবতীর্ণ করেছেন তাহা পৌঁছিয়ে দিন। তা না হলে তো রিসালাতের (বেলায়েত) কিছু পৌঁছিয়ে দেওয়া হলো না। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে মানব জনতা থেকে নিয়ে আসবেন। এবং আল্লাহ তায়ালা কাফের সম্প্রদায়কে হেদায়েত করে না।” [সূরা মায়েদা, আয়াত নং ৬৭]।
  • “মুমিনদের আমলনামার শিরোনাম হলো আলী ইবনে আবু তালিবের ভালোবাসা।” [কানযুল উম্মাল, ৪:৪১০]।
  • “আমার পরে আলী হলো আমার উম্মতের মধ্যে সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী।” [আল ফেরদৌস ১:৩৭০/১৪৯১]।
  • “জেনে রেখো যে, আলী তোমাদের মাঝে আমার ভাই, উত্তরসূরি এবং স্থলাভিষিক্ত। সুতরাং তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং তাঁর আনুগত্য করবে।” [তারিখে তাবারী ২:২১৭]।
  • “নিশ্চয়ই আলী আমার পরে তোমাদের অভিভাবক।” [কানযুল উম্মাল, ১১:৬১২/৩২৯৬৩]।
  • “আমি আর আলী একই বৃক্ষ থেকে। আর সমস্ত মানুষ বিভিন্ন বৃক্ষ থেকে।” [মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ৯: ১০০]।
  • “তুমি আমা থেকে আর আমি তোমা থেকে।” [সহীহ বুখারী, ৪২২,৫৮৭], [সুনানে তিরমিজি, ৫৬৩৫/৩৭১৬]।
  • “নিশ্চয়ই আলী আমা থেকে আর আমি আলী থেকে। আর সে আমার পরে সকল মুমিনদের নেতা।” [মুসনাদে আহমাদ, ৪:৪৩৮]।
  • “আলীকে স্মরণ করা ইবাদততুল্য।” “আলী সৃষ্টিকুলের সেরা।” “আলী সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ যে তা মানবে না, সে নিঃসন্দেহে কাফের।” [আল ফেরদৌস, ৩১৫১], [মানাকিবে খারেযমী, ৬২], [তারীখে বাগদাদ, ৭:৪২১]
  • “আলী কুরআনের সাথে আর কুরআন আলীর সাথে।” “আমার নিকটে আলী আমার শরীরে যুক্ত, আমার মাথার ন্যায়।” “আমার নিকটে আলীর মর্যাদা হলো যেমন, আমার প্রতিপালকের নিকটে আমার মর্যাদা।” [আল মুস্তাদরাক হাকেম, ৩: ১২৪], [তারীখে বাগদাদ, ৭:১২], [যাখায়িরুল উক্বা, ৬৪]।
  • “যে ব্যক্তি আলীকে কষ্ট দেয়, সে আমাকে কষ্ট দেয়।” “মুনাফিকরা আলীকে ভালোবাসে না, আর মুমিন তাঁকে ঘৃণা করে না।” [মুসনাদে আহমাদ, ৩:৪৮৩], [সুনানে তিরমিজি, ৩৭১৭]।
  • “আলীর প্রতি ভালোবাসা আগুন থেকে মুক্তির কারণ।” “আলী ঈমানে সর্বাপেক্ষা দৃঢ়পদ, উম্মতের মধ্যে হক ও বাতিলে পার্থক্যকারী আর মুমিনদের কর্তা।” “আলীর মুখের দিকে তাকানো ইবাদত।” [আল ফেরদৌস, ২৭২৩], [কানজুল উম্মাল, ৩২৯৯০], [আল রিয়াদুন নাদরাহ, ৩:১৯৭]।
  • “যে আলী থেকে পৃথক হয়, সে আমা থেকে পৃথক হলো। আর যে আমা থেকে পৃথক হলো, সে মহান আল্লাহ থেকে পৃথক হয়ে গেল।” “আমি যার মাওলা আলী তার মাওলা। হে আল্লাহ! যে আলীকে ভালোবাসে তুমি তাকে ভালোবাস, আর যে আলীর সাথে শক্রতা করে তুমি তার সাথে শক্রতা করো।” [আল মানাকিব ইবনে মাগাযেলী, ২৪০/২৮৭], [মুসনাদে আহমাদ, ১১৯,১৫২,৩৩১]।
  • “যখন কেয়ামত উপস্থিত হবে এবং জাহান্নামের অগ্নিপার্শ্বে পুলসিরাত টাঙানো হবে, তখন শুধু কেবলমাত্র যার সঙ্গে আলীর পত্র থাকবে, সে ছাড়া কারো তা পার হবার অনুমতি থাকবে না।” “বিশ্ব প্রতিপালক আলীর ব্যাপারে আমার সাথে কঠিনভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন। অতঃপর আমাকে বলছেন, নিশ্চয়ই আলী হলো হেদায়েতের পতাকা, ঈমানের শীর্ষচূড়া, আমার বন্ধুগনের নেতা আর আমার আনুগত্যকারী সকলের জ্যোতিস্বরুপ।” [ফারায়িদুস সামতাইন, ২৮৯], [শারহে নাহজুল বালাঘা ইবনে আবীল হাদীদ, ৯:১৬৮]।
  • “যদি মানুষ আলী ইবনে আবি তালিবের ভালোবাসায় একমত হতো, তাহলে মহান আল্লাহ কখনো জাহান্নামকে সৃষ্টি করতেন না।” “যদি আসমানসমূহ এবং জমিনকে দাঁড়িপাল্লার একপাশে আর আলীর ঈমানকে আরেক পাশে রাখা হয়, তাহলে আলীর ঈমানের পাল্লা ভারী হবে।” [মাকতাবুল হুসাইন আঃ খারেযমী, ১ঃ৩৮], [আল ফেরদৌস, ৫১০০]।
  • “হিকমতকে দশ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আলীকে তাঁর থেকে থেকে নয় ভাগ প্রদান হয়েছে আর সমস্ত মানুষকে দেওয়া হয়েছে বাকী একভাগ।” “মেরাজ রজনীতে আল্লাহ আমার সাথে আলীর ভঙ্গিমায় কথা বলছিলো। আমি ভেবেছি আল্লাহ নয়, স্বয়ং আলীই কথা বলছে।” [হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৪], [মুসনাদে আবু ইয়ালা ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা নং ৫৩]।
  • “আমার প্রতি তিনটি ওহী অবতীর্ণ হয়েছে, নিশ্চয়ই আলী মুসলমানদের নেতা, মুত্তাকীনদের ইমাম এবং নুরানি ও শুভ্র মুখমন্ডলের অধিকারীদের সর্দার।” “হে আলী! তোমার শান্তিই আমার শান্তি আর তোমার যুদ্ধই আমার যুদ্ধ।” [কানজুল উম্মাল ৬ষ্ঠ খন্ড], [পৃষ্ঠা নং ১৭৫, হাদিস নং ২৬২৮], [ইবনে আবিল, শারহে নাহজুল আল বালাঘা: ১৮ খন্ড, পৃষ্ঠা নং ২৪]।

হযরত আবু বকর, ওমর এবং ওসমান ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পূর্বে মূর্তিপূজা এবং বিভিন্ন পাপ কাজে লিপ্ত ছিল। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর, তারা এসব অপকর্ম ছেড়ে দিয়ে রাসূল পাক সঃ এর সঙ্গী হয়ে যায়। মাওলা আলী একমাত্র ব্যক্তি যে কিনা পবিত্র ক্বাবাঘরে জন্মগ্রহণ করে এবং প্রথম চোখ খুলে রাসূল পাক সঃ কে দেখে ও তাঁর লালা মোবারক প্রথম খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে। আল্লাহ তায়ালা আহলে বায়াতকে সৃষ্টি লগ্ন থেকেই পুতঃপবিত্র করে রাখছেন এবং রেসালাতের বিনিময় কিছু চাননি শুধুমাত্র আহলে বায়াতের ভালোবাসা ব্যতীত।

আবার শেরে খোদা হযরত আলীকে যতক্ষণ পর্যন্ত মাওলা ঘোষণা করা না হয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত রিসালাত অপূর্ণ থেকেছিল। যখন রাসূল পাক সঃ গাদীরে খুমে শেরে খোদা হযরত আলীকে সোয়া লক্ষ সাহাবীর সামনে মাওলা ঘোষণা করা হলো, তখন আল্লাহ তায়ালা বলল আজ আমি আমার ধর্মকে পরিপূর্ণ করে দিলাম। এবং পবিত্র কুরআন শরীফের আয়াত নাজিল পরিসমাপ্তি ঘোষণা করে দিলেন। সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ নিজের নুর থেকে পাক পাঞ্জাতন সৃষ্টি করলেন। আর পাক পাঞ্জাতন থেকে সমস্ত সৃষ্টি জগৎ অর্থাৎ মানুষ, ফেরেশতা, জ্বীন, পানি, মাটি, আগুন, বৃক্ষ ইত্যাদি তৈরি করলেন।

মাওলা আলী হলেন সকল মুমিনদের নেতা এবং তাঁর চেহারার দিকে তাকানোই ছিল ইবাদত। তাহলে আবু বকর, ওমর ও উসমান কি মুমিন ছিলেন না? মুমিন থাকলে অবশ্যই তাদের নেতা ছিলেন মাওলা আলী এবং মাওলা আলীর চেহারার দিকে তাকিয়ে তারা ইবাদত করত। এখন আপনি বলুন তো! নেতা কিভাবে কর্মীর চেয়ে কম সম্মানিত হয়? অথচ এমন আজব আষাঢ়ের গল্প আমরা হরদম শুনে আসছি এবং বিশ্বাস করছি। অথচ রাসূল পাক সঃ সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করছেন, যে আলীকে সর্বশ্রেষ্ঠ মানবে না সে কাফের হয়ে যাবে। এখন রাসূল পাক সঃ এর ভাষ্য অনুযায়ী ঐসব নামদারী পীরেরা সুনিশ্চিতভাবে কাফের হয়ে যায়।

এটা কিন্তু আমার কথা নয় বরং স্বয়ং রাসূল পাক সঃ এর কথা। ফতোয়া দিতে চাইলে আপনি রাসূলে পাক সঃ কে দিন। আবু বকর, ওমর ও উসমান নিশ্চয়ই পাক পাঞ্জাতনের নুর থেকে সৃষ্টি। তাহলে তারা কিভাবে সৃষ্টি হয়ে স্রষ্টার মূল স্বত্বার থেকে বেশী সম্মানিত হয়। এ যেনো হাজার হাজার হাঁড়ির কারিগরের চেয়ে একটি হাঁড়ির মূল্য বেশি। এমন তুঘলকি কান্ডকে কিভাবে বিশ্বাস করি? কোন বিবেকবান মানুষ এমন অবাস্তব গল্প বিশ্বাস করতে পারে না। যারা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে এবং অন্ধের সাগরে হারিয়ে গেছে, কেবলমাত্র তারাই এমন আষাঢ়ের গল্প বিশ্বাস করবে। ছিঃ ছিঃ ধিক জানাই এমন নোংরা আকিদাকে এবং যারা এগুলো প্রচার করে।

এবার আসি মোয়াবিয়া প্রসঙ্গে:

মোয়াবিয়া সিফফিনের যুদ্ধে মাওলা আলীর পক্ষের হাজার হাজার প্রথম শ্রেণীর মুমিন সাহাবীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। অথচ পবিত্র কুরআন শরীফে সূরা নিসা আয়াত নং ৯৩ তে স্পষ্ট করে বলা আছে, একজন মুমিন বান্দাকে হত্যা করলে সে চির জাহান্নামী। আর সেখানে মোনাফেক মোয়াবিয়া হাজার হাজার মুমিন সাহাবী হত্যা করার পরও, তাকে আমি কোন যুক্তিতে সাহাবী বলব? এই প্রশ্নের উত্তর আদৌ আমি খুঁজে পাইনি। যেদিন পবিত্র কুরআন শরীফ এবং আল্লাহকে অস্বীকার করতে পারব, সেদিন মোয়াবিয়াকে সাহাবী মানা যাবে। এর আগে কখনো সম্ভব নয়। নয় আল্লাহকে মানতে হবে নচেৎ মোয়াবিয়াকে মানতে হবে। কারণ দুটি বিপরীত ধর্মী। একটি মানলে অপরটি মানা যাবে না। এখন আপনি সিদ্ধান্ত নিন! আপনি কি আল্লাহকে মানবেন নাকি মোয়াবিয়াকে মানবেন।

আমি আমার মহান আল্লাহ মানলাম এবং মোনাফেক মোয়াবিয়াকে পরিত্যাগ করলাম। আবার রাসূল পাক সঃ বলেছেন, আলীর সাথে শক্রতা করা মানে স্বয়ং আমার সাথে শক্রতা করা। আর মোয়াবিয়া মাওলা আলীর সাথে সিফফিনের যুদ্ধ করে চরম শক্রতা করেছিল। জ্ঞানপাপীরা আবার বলিয়েন না, যুদ্ধ মানে বন্ধুত্ব করা। কারণ আপনাদের অবিবেচক জ্ঞানের কাছে সবই সম্ভব। এখন আমি কাকে মানব রাসূল পাক সঃ কে নাকি রাসূল পাক সঃ এর শক্র মোয়াবিয়াকে? এখানেও দুটি বিপরীত ধর্মী। একজনকে মানলে অপরজনকে মানা যায় না। এই সাধারণ সমীকরণ একজন বদ্ধ উন্মাদ পাগলও বুঝবে। আমি বেছে নিলাম রাসূল পাক সঃ কে আর মোয়াবিয়াকে তালাক দিলাম। আর আপনি কি করবেন, তা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।

এই যে শুনুন, সুন্নি মুখোশধারী পীরেরা। আর কতকাল আহলে বায়াতকে অতি সূক্ষ্ণ কৌশলে অপমান করবেন। আর আহলে বায়াতের খুনি ইসলামের চির দুশমন মোনাফেক মোয়াবিয়ার প্রশংসা করবেন। মুসলিম জাতি এবার আপনাদের কাছে জানতে চায়। আপনাদের মুখোশ উন্মোচন হয়ে গেছে বাংলার আহলে বায়াত প্রেমিকদের নিকট। আর আপনারা ধোঁকা দিতে পারবেন না, আমরা এখন অনেক সচেতন হয়ে গেছি। বিশ্বাস করুন আপনাদের সাজানো বাগান তাসের ঘরের মতো ভেঙে তছনছ হয়ে যাবে। আপনাদের মুরিদরাই আপনাদের মুখে থুতু নিক্ষেপ করে চলে আসবে আহলে বায়াতের পক্ষে।

এখনো সময় আছে মোয়াবিয়ার দালালী বাদ দিয়ে, আহলে বায়াতের পক্ষে আসুন। নচেৎ অচিরেই আপনাদের সাম্রাজ্য গুঁড়িয়ে যাবে। ১৪০০ বছর ধরেই আমাদের ধোঁকা দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছেন। আর নয় এবার আমরা জেগে উঠেছি জলন্ত আগ্নেয়গিরির মতো। মনের কোনায় হাজারও অজস্র কথা লুকিয়ে আছে, বড় পোস্ট হবে বিধায় লিখলাম না। আবারও দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে এবং মাঠে। আমার লেখায় কারোর মনে কষ্টের কারণ হয়ে থাকলে, নিজগুণে ক্ষমা করে দিবেন।

নিবেদক : অধম পাপী মোজাম্মেল পাগলা।