চুরাশি লক্ষ যোনি ভেদতত্ব (জন্মতত্ত্ব)।
শোনো সে চুরাশি লক্ষ যোনি বিবরণ।
ত্রিশলক্ষ বার বৃক্ষ যোনিতে জনম
তাতে যত কষ্ট হয় অশেষ করণ।
ত্রিশলক্ষ বার বৃক্ষ যোনিতে ভ্রমিতে
কত যুগ যুগান্তর যাবে ক্রমেতে।
মৎস্যে কূর্মে নয়লক্ষ বার জন্ম হয়
ভ্রমিতে পাড়িতে জীব কত কষ্ট পায়।
নয়লক্ষ বার জন্ম হয় ধীরে ধীরে
ঘরবাড়ি ঠিন নাই যথা তথা ফিরে।
কৃমিজন্ম দশলক্ষ ভ্রমিয়া বিশেষে
একাদশ লক্ষ বার পক্ষী যোনি শেষে।
বিশলক্ষ বার জন্ম পশুর যোনিতে
নানারূপে কত কষ্ট পায় অবনীতে।
অবশেষে গো যোনিতে জন্ম লয়
এর চেয়ে উত্তম জন্ম পশুকুলে নাই,
গো যোনির শেষে পশু যোনি নাই।
মানুষ্য যোনিতে জন্ম গো যোনি ছাড়াই।
মানব কুলেতে জন্ম চারলক্ষ বার
অপরূপ সে বারতা কহি সবিস্তার।
জন্মিয়া মানবকুলে আত্মা না উদ্ধারে
পুনঃ সে চুরাশিলক্ষ যোনিপথে ঘুরে।
বারবার জন্মলাভে কত কষ্ট পায়
শ্রীচরণ দাসে বলে নাইকো উপায়।
“শ্রীচরণ দাসের মতে পাপী বা অপরাধীরা নিম্নোক্ত পরিমাণ যোনি খেটে অবশেষে মুক্তিলাভ করে মানব জন্মলাভ করবে।”
৩০,০০,০০০ বৃক্ষকুল
৯,০০,০০০ মৎস্যকুল
১০,০০,০০০ কৃমিকুল
১১,০০,০০০ পক্ষিকুল
২০,০০,০০০ পশুকুল
৪,০০,০০০ মানবকুল
= ৮৪,০০,০০০ জনম
তবে কেবল এর এতটুকু ব্যাখ্যা করা যায় যে, রূপকসাহিত্যে কুল চার প্রকার। যথাঃ
(১) পশুকুল,
(২) মানবকুল,
(৩) দেবকুল
(৪) গুরুকুল বা ঈশ্বরকুল।
এখানে বৃক্ষকুল দেহ, মৎস্য ও কৃমিকুল শুক্রাণু-ডিম্বাণু ও পক্ষিকুল কানাই। অতঃপর পশুরূপে জন্ম। তারপর আত্মতাত্ত্বিক জ্ঞানার্জন করে মানবকুল লাভ করা।
অথবা শূন্য (০) ফেলে দিয়ে,
৩০ বৃক্ষকুল
৯ মৎস্যকুল
১০ কৃমিকুল
১১ পক্ষিকুল
২০ পশুকুল
৪ মানবকুল
= ৮৪ জনম
যে অবধি পর্যন্ত আত্মার মুক্তি লাভ হবে না, ততদিন পর্যন্ত আমাদেরকে এই ৮৪ ফেঁরে ঘুড়তেই হবে, যেকোনো রূপেই হোক। তাই কর্মগুনে কামেল মুর্শিদের আদেশ নিষেধ মেনে চলে মুক্তি লাভ করতে হবে।
– হোসেইন সম্রাট।