অবিশ্বাস সত্যকে পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখে।
সংসয় আর সন্দেহের পেটে জম্ম নেয় কুফরী তথা অবিশ্বাস। আর এই অবিশ্বাস সত্যকে পর্দা নিয়ে ঢেকে রাখে। যেভাবে সূর্যকে কোয়াশা ঢেকে রাখে। ধোয়া আগুনকে ঢেকে রাখে। তেমনিভাবে সত্য ঢাকা পড়ে সন্দেহ আর সংশয়ের মধ্যে। এই সংশয় আর সন্দেহের একটি মাত্র পর্দা, সেই পর্দাটির নাম হল কর্তৃত্বভিমান তথা ইগো সেন্টিসিটি। এটা খুবই সূক্ষ্ম পর্দা কারোর মনেই হবে না এটা যে তার মধ্যে আছে। আনুষ্ঠানিক ইবাদত করার পরও এটা থেকে যায়। এটা নিজে নিজে সরিয়ে নেওয়া যায় না, যদি না কোনো কামেলের রহমত না পাওয়া যায়। যুক্তি আর সরলতা এক নয়।
যুক্তি বারবার পোশাক বদলায়, সে ধূর্ত শিয়ালের ন্যায়। কিন্তু সরলতা ভক্তিবিনয়, বিশ্বাস ও প্রেমের উপর দন্ডায়মান। সুতরাং বুদ্ধি এবং যুক্তির যেখানে সমাধি সরলপ্রেম সেখান থেকে আরম্ভ। এই প্রেমই প্রকৃত সিজদা। এই প্রেম কোনো যুক্তি, আইন, নীতি, আদর্শ, গন্ডি ও শাস্ত্র মানে না। প্রেমের কোনো দলিল লাগে না, প্রেমের কোনো প্রমাণ লাগে না। প্রেম নিজেই প্রমাণ। প্রেমে যুক্তি নাই, যুক্তি প্রেম নাই। প্রেম একদম সরল। সরলতা দিয়ে সকল ঐশ্বর্য লাভ করা যায়।
আর আত্ন অংকারে সংসয় আর সন্দেহের বশীভূত হয়ে নিহ্নবে চিত্তদাহ হয়। তাই নিজেকেই নিজেই সিজদা করতে হবে। নিজেকে নিজে সিজদা দিতে না পারলে কখনো সংসয়ের ধূমজাল থেকে বের হওয়া সম্ভপর নয়। তাই নিজেকে সিজদার মধ্যে আনতে গেলে যিনি সিজদার উপরস্থিত তাকেই সিজদা দিতে হবে। এই সিজদা অঙ্গভঙ্গি নহে। এ ব্যতীত সিজদা দেওয়া সম্ভপর নয়। আমার আপন প্রবৃত্তি আমার চেয়ে শক্তিশালী তাই তাকে সিজদার মধ্যে এনে সর্বজনীন করতে হবে।
– আর এফ রাসেল আহমেদ