হোমপেজ খাজাবাবা ফরিদপুরীর বাণী ও উপদেশ খাজাবাবা ফরিদপুরীর বাণী (পর্ব-১৬)

খাজাবাবা ফরিদপুরীর বাণী (পর্ব-১৬)

বিশ্ব জাকের মঞ্জিল দরবার শরিফ জামে মসজিদ, সদরপুর, ফরিদপুর।

খাজাবাবা ফরিদপুরীর বাণী (পর্ব-১৬)

কারবালার ঘটনা নিয়ে খাজাবাবা ফরিদপুরীর বাণী: (বিশেষ পর্ব)

উল্লেখ্য যে, শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কু: ছে: আ:) ছাহেব কেবলাজান হুজুরের দেওয়া খােদাপ্রাপ্তিজ্ঞান অর্জন সম্পর্কিত এই সকল নসিহতসমূহে হযরত পীর কেবলাজান হুজুর মানব জীবনে খােদাপ্রাপ্তিজ্ঞান চর্চার গুরুত্ব ও খােদাপ্রাপ্তি সাধনার পথে মাকাম-মঞ্জিল, ছায়ের-ছুলুক, ফানা-বাকা, উরুজ-নজুল, জাহেরী ও বাতেনী শরীয়ত, কামেল পীরের যথার্থ পরিচয় ইত্যাদি সম্পর্কে পবিত্র কুরআন মজীদ, হাদীসে রাসূলে করীম (সাঃ) ও তরিকতের পীরানে পীরগণের বক্তব্যের আলােকে ও নিজস্ব আত্মিক অভিজ্ঞতায় বর্ণনা করিয়াছেন।

সূত্রঃ পবিত্র নসিহত শরীফ ৯ম খন্ড, মুহাররাম—

(৩০১)
দয়াল নবী (সাঃ) বলিয়াছেন- ‘‘আমার আহলে বায়েত হইল- আলী, ফাতেমা, হাসান ও হোসেন।”

(৩০২)
“দয়াল নবী (সাঃ) এবং আহলে বায়েতের মহব্বত অর্জনের জন্য ১০ ই মুহাররম বিশেষ উল্লেখযোগ্য দিন।”

(৩০৩)
“মুহাররমের ১০ তারিখ- আশুরা দিবস। এই দিন উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য অত্যন্ত বিষাদময় দিন।”

(৩০৪)
“১০-ই মুহাররম আমাদের জন্য শোকাচ্ছন্ন দুঃখবিজড়িত ঘটনাবহুল এক দিবস। এই দিবসে ইমাম ছাহেবের মহব্বতের ফয়েজ ওয়ারেদ হয়। বিশ্ব ব্যাপী মোসলমানেরা এই আশুরা দিবসে যেমন মাতম ও হাহাকার করে, তেমন হাহাকার ক্রন্দন আর অন্য কোন দিবসে করে না।”

(৩০৫)
“বিশ্ব ব্যাপী মোসলমানেরা এই আশুরা দিবসে যেমন মাতম ও হাহাকার করে, তেমন হাহাকার ক্রন্দন আর অন্য কোন দিবসে করে না।”

(৩০৬)
“কারবালার মরু প্রান্তরে সত্যের আদর্শ সমুন্নত রাখার জন্যে, রাসূল (সাঃ) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও প্রচারিত সাত্ত্বিক আদর্শের পতাকাকে উড্ডীন রাখার জন্য দয়াল নবী (সাঃ) এর দৌহিত্র, হযরত আলী (কঃ) এর নন্দন হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) ছাহেব আত্মীয়-পরিজন ও অনুচরসহ অকাতরে শাহাদাত বরণ করেন। সত্যের আদর্শ রক্ষায় সর্বস্ব ত্যাগের এমন ঘটনা নজিরবিহীন।”

(৩০৭)
“এজিদ সৈন্যরা নিহত ইমাম ছাহেবের পবিত্র দেহ মোবারকের উপর দিয়া অশ্ব চালনা করিয়া দেহের হাড্ডি-মজ্জা-মাংশপেশীকে মরুভূমির বালুর সাথে মিশাইয়া দেয়। এমন পৈশাচিক হত্যাকান্ড আর কোথাও ঘটিয়াছে বলিয়া জানা যায় না।”

(৩০৮)
“আহলে বায়েতের প্রতীক হইল নূহের তরী। আর এই তরীতে আরোহণের উপায়ই হইল আহলে বায়েতের মহব্বত অর্জন; যে মহব্বত বিতরণের জন্য আকাশের ফেরেশতাসকল বিশেষভাবে প্রতি বছর মুহাররমের দশ তারিখে জমিনে নামিয়া আসেন এবং আশেকে রাসূলের দেলে মহব্বত ঢালিয়া দেন।”

(৩০৯)
“ইমাম ছাহেবের মহব্বত হকিকতে দয়াল নবী (সাঃ) এর মহব্বত। কাজেই ইমাম ছাহেবের মহব্বতে যে কাঁদিবে, হকিকতে দয়াল নবী (সাঃ) এর মহব্বতে সে কাঁদিবে। আর রাসূলে পাক (সাঃ) এর মহব্বতে যাহারা ক্রন্দন করিবে, তাহাদের দেল পরিচ্ছন্ন হইবে, তাহাদের জন্য দোযখের আগুন হারাম হইবে।”

(৩১০)
“হযরত নবী করীম (সাঃ) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) ছাহেব, তদীয় পরিবারের সদস্য ও অনুগত সহচরগণ কারবালা প্রান্তরে বুকের রক্ত ঢালিয়া আল্লাহতায়ালার সত্য ধর্ম ইসলাম ও তাহার আদর্শ রক্ষার জন্য যে ত্যাগের নিদর্শন রাখিয়া গিয়াছেন, ইতিহাসে তাহার তুলনা নাই।” (নসিহত-৯ম খন্ড, মুহাররাম)

(৩১১)
“তোমরা প্রতি বছর যেমন পবিত্র আশুরা মোবারক উদযাপন কর, ইমাম ছাহেবদের মহব্বতে অঝরে কান্দ, আমার অবর্তমানেও তোমরা এমনিভাবে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে সমবেত হইয়া পবিত্র আশুরা মোবারক উদযাপন করিবে; ইমাম ছাহেবদ্বয়ের মহব্বত অর্জনপূর্বক সেই মহব্বতের স্রোতে দেলের ময়লা পরিস্কার করিবে।”

সূত্রঃ শাহসূফী বিশ্বওলি খাজাবাবা ফরিদপুরীর লিখিত “নসিহত” সকল খন্ড একত্রে, (পৃষ্টাঃ-১১৬৭-১১৬৮)।

আরো পড়ুন: