প্রাণায়াম (পর্ব-০৫)
প্রাণায়াম সম্পর্কে আমি প্রাথমিক ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এই পর্বটাই শেষ পর্ব হিসেবে লিখতে চাচ্ছি। প্রাণায়াম সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানে, আমার চেয়ে বেশিই জানে। আমি কাউকে জ্ঞান দেওয়ার জন্য বা উপদেশ দেওয়ার জন্য লিখি না। এটা ত ফেইসবুক, এমন কি আমি আমাদের দরবারের গুরুভাইদেরও কখনো উপদেশ বা জ্ঞান দিয়ে কথা বলি না। প্রাণায়াম পর্ব লিখতে গিয়েও কিছু শুনতে হইছে ফেইবুকে। আমি ছোট মানুষ, এতো কথা কি আমার গায়ে সয়!
এবার আসল কথাই আসি:
মুদ্রা ও আসন গুরুত্ব পূর্ন, তবে মুদ্রার চেয়ে আসনের গুরুত্ব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল মেরুদণ্ড সোজা রেখে বসা। সেটা সব সময়ের জন্য। দেহের মাঝে ছয়টা চক্র আছে, একটা থেকে আরেকটায় শক্তি সঞ্চালিত হয়, মেরুদণ্ড বাকা থাকলে এই কার্যে বিঘ্ন ঘটে কিছুটা। তাই সব সময় মেরুদণ্ড সোজা করে বসা উচিত, এর ফলে শ্বাস প্রশ্বাসও স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারবে।
ধ্যান কিংবা প্রাণায়ামে আসনে বসার পর সবচেয়ে বড় সমস্যা হল পায়ে ঝি ঝি ধরা। এটা যেমন বিরক্তিকর তেমনি কষ্টকরও বটে। অনেক্ষন বসে থাকলে পায়ে ঝিঝি ধরে। তখন অনেকেই আসন ছেড়ে উঠে যায়, এবং পুনরায় বসতে চায় না। তাই এই ঝি ঝি এর সমাধানও আপনাকে জানতে হবে, না জানলেও সমস্যা নাই বটে। কিন্তু যে গুরু চতুরঙ্গের জ্ঞানী তিনি আপনাকে সাধনার সকল পথ সম্পর্কেই জানাবেন। যারা অভিজ্ঞ তারাই এর সমাধান জানেন, তাছাড়া বাকীরা এমনিতেই কষ্ট করে। সহজ সমাধান, পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির মোটা ও প্রধান রগটা চেপে ধরুন, এর চেয়ে উত্তম হল একটা রশি দিয়ে গোল করে আঙ্গুলের গোড়াটা (বৃদ্ধাঙ্গুলি) খুব শক্ত করে প্যাঁচিয়ে ফেলুন যাতে আঙুলে রক্ত চলাচল করতে না পারে, মাত্র ১৫ সেকেন্ড এর মধ্যে ঝি ঝি থেমে যাবে এবং আপনি পুনরাই আবার আসনে বসতে পারবেন। তারপর একসময় অভ্যাস হয়ে গেলে আর এই সমস্যা হবে না।
আর লিখার ইচ্ছা নাই, মন চাইলো তাই লিখলাম, জ্ঞানীরা কিছুই পাবেনা আমার পোস্ট থেকে, কারন তারা এর চেয়ে অনেক জানে, তবে যারা কম জানেন বা বুঝেন্, বা যাদের ধারনা নাই, তারা হয়তো কিছুটা উপকৃত হলে হতেও পারেন প্রাণায়াম এর আমার দেওয়া মোট ৫টি পর্ব একত্রে পড়ে।
ভুল থাকলে সংশোধন করে দিয়েন, এমনিতেই শুধু ভুল ভুল বলে চিল্লায়েন না দয়া করে। আর কেউ প্রশ্নও কইরেন না এই সম্পর্কে, আমার চালানপাতি এতোটুকুই ভাই, আমাকে জিজ্ঞাস করে লাভ নাই।
» প্রাণায়াম (সবগুলো পর্ব পড়ুন)
লেখাঃ DM Rahat
YouTube: Sufism BD