সত্য এক খন্ড বিহীন অভিন্ন।
মানুষ সত্য (হক খোদা) খুঁজে পাইনা! সত্য কেন খুঁজে পাইনা? এতো কিতাব, এতো পণ্ডিত, ডক্টর, বিজ্ঞানী, মসজিদ, মন্দির,সুফি, মোল্লা, পুরোহিত,পাদরি,গুরুদোয়ারা ইত্যাদি ইত্যাদি।
সত্যি! সত্য কোথায়? অন্যের সকল কিছু স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যায়।ভালো মন্দের ব্যখ্যা করা যায়। সকল কিছুতে সাক্ষী দেওয়া যায়।কিন্তু যিনি সাক্ষী দিচ্ছেন তিনি কি জানেন তিনার সত্য(হক) সম্পর্কে? যদি না জেনে থাকেন তার বক্তব্য নিষ্ফল,অনর্থক, মিথ্যা নয় কি?
জানা কিংবা অজানা নয় দেখা কিংবা অদেখা নয় “সত্য (হক খোদা) বর্তমান” এটাই সত্য। সত্য স্থির এবং উপস্থিত। সত্য সত্যের জায়গায় বর্তমান।যিনি সত্য জানার বাসনায় মোহে আবদ্ধ তিনি কি করে সত্য জানবেন? মোহ অপর একটি মোহ তৈরি করে! যিনি সত্য জানতে চান তিনি বর্তমানে স্থির হওয়ার বিদ্যা জানা জুরুরি। “যিনি স্থির সত্যকে সব জায়গায় দেখতে পান”, দেখতে পান মরুর বালি চরে,বাতাসের স্নিগ্ধতায়, সবুজ বৃক্ষের শাখা প্রশাখায়, সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জনে, ফুল ফল কিংবা পাখিদের কলরোলে, আকাশের মেঘের ছায়ায় কিংবা মাটির গভীরতায়,অন্ধকারের জোনাকি পোকায় কিংবা সূর্যের আলোর অগ্নিতাপে অর্থাৎ বর্তমানের সকল রূপে রূপান্তর স্থির দৃশ্য অদৃশ্য সত্যের রূপ।
যেই চোখ বর্ণমালা চেনে না সেই চোখের চিকিৎসা চিকিৎসক কি ভাবে করবে? চোখ অপারেশন করলে ভালো দেখা যাবে অচেনাকে জানা যাবেনা। বর্ণমালা চেনানোর দায়িত্ব শিক্ষকের চিকিৎসকের নয়। বর্ণমালা চেনার জন্য চোখের চিকিৎসা করা আর সত্য (হক খোদা) জানার জন্য আনুষ্ঠানিক চর্চার পন্ডিতদের নিকট যাওয়া একই অর্থ। চিকিৎসক কখনো বর্ণমালা শিক্ষা দিবে না।মনে রাখা উচিৎ চিকিৎসক রোগ নির্ণয় কারি বর্ণমালা শিক্ষাদান কারি নয়। আনুষ্ঠানিক চর্চার পন্ডিতদের চাঁদা দাও, খাওয়াতে থাক, থাকার জায়গা করে দাও ইত্যাদি ইত্যাদি।তবেই তুমি সত্য জানবে। তাদের কথায় তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা বা সেবা করা সত্যের পথে স্থির থাকা! এসব নিছক দোকা ছারা অন্য কিছু কি?
নিজে সত্যে (হক খোদা) উপনীত না হওয়া পর্যন্ত সত্য দেখা যায় না। “কে সত্যকে দেখতে চাচ্ছেন তিনি নির্ণয় না হলে, যা দেখার চেষ্টা দেখা হলেও কি চেনা যাবে”? অর্থাৎ নিজের দৃশ্যকে না জেনে অদৃশ্যকে কিভাবে জানতে পারি!সত্য তখনই বর্তমান যখন নিজেকে জানা বা চেনা হয়। মানুষই সত্যের (হক খোদা) মহাগ্রন্থ। মানুষ থেকে আলাদা কোন সত্য নেই, সত্যের নির্ণয়ে নির্ধারণ কারি ব্যাক্তি সকল কিছুতে সত্যই দেখতে পান। সত্য বর্তমান, সত্য মূল, সত্য বীজ, সত্য অনন্ত, সত্য এক এবং অভিন্ন পরম শক্তি।
চেতনা সত্যের খুটি, চেতনাহীন দাসত্বের ঘাঁটি। চেতনা পূন্যের রূপদর্শন শূন্যে এবং মুক্ত। চেতনাহীন পাপের প্রায়শ্চিত্ত দাসত্ব ও শোষণ। চেতনা মোহ মুক্ত চেতনাহীন মোহ যুক্ত। সত্য মোহ মুক্ত! মোহ মুক্ততাই সত্যের একে, স্থিরতার খন্ড বিহীন অভিন্ন চর্চায় উপনীত করে। যাহা সত্যের পরিপূর্ণ অথৈ মুগ্ধতায় একজন সত্য ধারণকারী হক ওয়ালার বসবাস।
-সাদিকুল ইসলাম।