শরিয়তের গুপ্তভেদ
শরিয়ত বলতে শুধু ওয়াক্তি নামাজ, রোজা, হজ্জ ও জাকাতকে বোঝায়না। যার সুমিষ্ট ব্যাবহার, নিষ্ঠাচার, সৃষ্টির প্রতি যার প্রেম, দয়া ও সদাচারন আছে তার শরিয়ত পরিপূর্ণ ভাবে পালন হয়ে যায়। কথায় আছে শরিয়ত ছাড়া মারেফত লাভ করা যায়না, এর বড় প্রমান হচ্ছে বাবা হায়দার আলী শাহ রহঃ, শামস তাবরিজ রহঃ, বহলুল রহঃ, শেখ ফরিদ আউলিয়া রহঃ এবং আরো অনেক মহামানবগণ। তারা কোন শরিয়ত মানতেন? কোন নামাজ পড়তেন? তারা কিভাবে মারেফতে অর্জন করের্ছেন?
তাদের শরিয়ত ছিলো বাতেনী(গুপ্ত) শরিয়ত, যা আত্মার সাথে সংঘটিত। আর জাহেরী (বা বাহ্যিক) শরিয়ত যাহা কেবল শুধু দেহের বা প্রানের সাথে তুলনা করা যায়।
এই বিষয়ে খাজা বাবা ফরিদপুরী (রঃ) বলেন:-
“নামাজের দুইটি দিক বা অবস্থা রহিয়াছে। একটি জাহেরী অবস্থা, যাহাকে দেহের সহিত তুলনা করা যায়। আর একটি বাতেনী অবস্থা যাহাকে প্রানের সহিত তুলনা করা যায়।”
আসলে শরিয়ত বলতে আমরা নিম্ন স্তরের সল্প জ্ঞানপাপীরা মনে করি শুধু ওয়াক্তিয়া নামাজ, রোজা, হজ্জ, জাকাত, দাড়িকেই বোঝায়। আসলে এটা ভুল কথা, শরিয়তের সংজ্ঞা শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে। আর শরিয়তের সমন্বয়ই মারেফত। আর মারেফতে যে পৌছায় তার শরীয়ত, হকিকত ও তরিকত এমনিতেই সিদ্ধ হয়ে যায়।
সুতরাং শুধু ওয়াক্তিয়া নামাজ, রোজা, হজ্জ, জাকাত করে পরিপূর্ণ শরিয়ত পালন হয়না এবং গুরুবাদ ছাড়া কোনো ইবাদতই পূর্ণ্য হয়না। সুতরাং, গুরু আপনার লাগবেই।
লেখা: Nishat Wahid