হোমপেজ ইলমে মারেফত নাম ধরে ডাকলে কি ঈশ্বরকে পাওয়া যায়?

নাম ধরে ডাকলে কি ঈশ্বরকে পাওয়া যায়?

নাম ধরে ডাকলে কি ঈশ্বরকে পাওয়া যায়?

“নাম ও রূপ কোনো দেহের বা বস্তুর হয়ে থাকে” ঈশ্বর তো নাম ও রূপের অতীত। ঈশ্বর বা আল্লাহ শব্দটি ‘ঈশ্বর’ আল্লাহ নয়। ‘জল’ শব্দটি যদি ‘জল’ হতো, তাহলে জল জল করে চিৎকার করলেই পিপাসা দূরীভূত হতো। তেমনি ঈশ্বর বা আল্লাহ করে চিৎকার করলে তাঁর সাড়া পাওয়া যাবে না।

প্রাণরূপী ঈশ্বর বা আল্লাহ সব জীবদেহেই স্থিররূপে বর্তমান। প্রাণই যখন স্বয়ং ঈশ্বর বা আল্লাহ। যেথায় প্রাণের স্পন্দন বহমান সেখানে ইশ্বর বা আল্লাহ অস্তিত্ত বিদ্যমান। ইশ্বর/ভগবান /গড/আল্লাহ/খোদা/ ইত্যাদি নামে ডেকে থাকি তাহা আল্লাহ বা ইশ্বর নয়! নয়নে যাহা দৃশ্যমান তাহাতে আল্লাহ বা ইশ্বর বিরাজমান। মানুষের মাঝে আল্লাহ/ইশ্বর বহমান বিভিন্ন গ্রন্থে দেখা যায় ইশ্বর বা আল্লাহ রূপ ই মানুষের রূপ। অদৃশ্য অ-বস্তুু উপর বিশ্বাস স্থাপন করা সুস্থ মানবের কাজ নয়। যারা অদৃশ্যে বিশ্বাসী তার মূর্খ, উগ্র, খোদার অস্তিত্বের অস্বীকারকারী।

আমি আমার রূপে আমার খোদাকে দেখতে পাই। তাই ক্রমানয়ে নিরবতার দিকে অগ্রসর হইতেছি। চিৎকার করে আল্লাহ বা ইশ্বর পাওয়া গেলে সাবাই তাহাই করিত। জল না খেলে পিপাসা নিবারন হয় না, আল্লাহ বা ইশ্বর না দেখে ডাকলে ইশ্বর বা আল্লাহকে পাওয়া যায় না। দেখে ইশ্বর বা আল্লাহ কে ডাকুন। অবশ্যই সাড়া মিলবে। মানুষে মানুষ রতন এই মানুষকে ভালবাসো বেঁচে থাক যতক্ষণ, মানুষের কল্যাণে করিও কাজ, মানুষের প্রয়োজনে মানুষ আসিবে কাল আজ।

– নিরন্ন আশ্রম