একজন সাধু বা গুরুর মধ্যে যেসব নৈতিকগুন থাকা আবশ্যকঃ
—নিশাত ওয়াহিদ
১. নারী ও পুরুষ উভয় ভক্তকে সমান ভাবে মূল্যায়ন করবে।
২. একজন প্রকৃত সাধু তার নারী ভক্তের প্রতি অধিক আসক্ত হবে না। এবং তার ভক্তদ্বয়কেও এই শিক্ষাই দান করবে।
৩. একজন সাধুর নিতীর মধ্যে ছোট-বড় কোনো মিথ্যার অপশন থাকবে না, সাধনার পথে সুবিধালাভের আশায়ও না।
৪. ভক্তদের অনুনয়-বিনয়ে কখনওই একজন সাধুর নিকটে বিরক্তি বোধ হবে না।
৫. সত্যিকারের সাধু কখনও তার শত্রুর অমঙ্গলও কামনা করবে না।
৬. একজন প্রকৃত সাধু দুনিয়া মুখী কাজে অশ্লীল ভাষা কিংবা ক্রোধ বশে কারো প্রতি আক্রমনাত্মকও হবেন না।
৭. একজন সাধু অন্যের গোপনীয়তা কখনও অন্য আরেকজনের কাছে প্রকাশ করবে না। এমনকি খুব ঘনিষ্ঠ কোনো সহদয়ের নিকটেও না।
৮. একজন সাধু এমন কিছুতে আসক্ত হবেনা, যাতে সমাজের চোখে তার আসক্তিগুলো অনৈতিক মনে হয়। এবং নিজের অনৈতিক আসক্তির কারনে যাতে উর্ধতন সাধুদের সুনাম নষ্ট না হয়, সেদিক তিনি অবশ্যই বিবেচনা করবে।
৯. প্রকৃত সাধু আত্মশুদ্ধি সাধনায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করাকেই মূল সাধনা মনে করবে। আত্মশুদ্ধির সাধনায় প্রতিষ্ঠিত না হয়ে, নারী নিয়ে সাধনার চেতনা কেবল ভোগের আশা ছাড়া কিছু না।
সর্বোপরি কথাঃ
একজন প্রকৃত সাধুর কাছে নারী নিয়ে সাধন নামের কোন সাধনাই নাই। যদি থাকতো তাহলে মহানবী হেরা গুহায় ধ্যান সাধনার পথ কেন দেখালেন, কেনো ভগবান শ্রী কৃষ্ণ ১৬ বছর বয়সে রাধাকে ছেড়ে সন্যাসীর পথ বেছে নিলেন, কেনো নিমাই বাসর না করে বিষ্ণুপ্রিয়াকে ছেড়ে ঘর ছাড়া হলেন, কেনো খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি ৮২ বছর বয়সে বিয়ে করলেন?
যদি নারী সঙ্গ নামের সাধন এতই জরুরি হতো তাহলে মহা মানবগণ কেন নারী সাধন নিয়ে শিক্ষা না দিয়ে কেনো নির্জন সাধনার উপদেশ দিলেন?
[ বিঃদ্রঃ—সাধু চিনতে সাধু হওয়া লাগেনা, গুনগুলো দেখেও চেনা যায়। ]