(বিষয় বস্ত: পূর্ববর্তী প্রধান প্রধান ওলী-আল্লাহগণের ভবিষ্যদ্বাণীর ভিত্তিতে তরিকতের ইমাম শায়খ আহমদ সেরহেন্দী হযরত মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ছাহেবের শ্রেষ্ঠত্ব নিরূপণ।)
পূর্বাভাসের তাৎপর্যঃ
হযরত মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ছাহেবের জন্মকালীন সময়ের বা জন্মপূর্ব কালীন সময়ের যে সকল পূর্বাভাস বা ইশারা ইংগিত পূর্ববর্তী পোস্ট গুলোতে আলোচনায় সন্নিবেশিত হইল-তাহা সমুদয়ই হযরত মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ছাহেবের শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা সম্পর্কে কিঞ্চিত পরিমাণ হইলেও পাঠকের মনে ধারণার সৃষ্টি করিবে।
বর্ণীত সকল পূর্বাভাস পূর্ণাংগ বুঝিতে হইলে মুজাদ্দেদ ছাহেবের সারা জীবনের কর্মকান্ড তথা সংস্কারধর্মী কার্যকলাপ ও দীন ইসলামের হেফাজতে তাহার বলিষ্ঠ ভুমিকা এবং মারেফাত চর্চা বা খোদাতত্ত্বজ্ঞান সম্পর্কিত যে নেয়ামত তিনি রাখিয়া যান-তাহার বিশ্লেষণ প্রয়োজন। পরবর্তী নসিহত সমূহে সে সম্পর্কে আলোচনা করার আশা রহিল।
পৃথিবীতে এক লক্ষ বা দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর আগমন করিয়াছেন। তাহাদের মধ্যে অল্প কয়েকজন পয়গম্বর সংবাদ কুরআন হাদীসে পাওয়া যায়। লক্ষ লক্ষ পয়গম্বরের মধ্যে উলুল আজম পয়গম্বর মাত্র কয়েকজন। হযরত মুসা (আঃ), হযরত ইব্রাহিম (আঃ), হযরত ঈসা (আঃ)-সকলেই উলুল আজম পয়গম্বর।
পৃথিবীতে তাঁহাদের আগমনের পূর্বে কম বেশী পূর্বাভাস পাওয়া গিয়াছে। কিন্তু সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল (সাঃ) এর আগমনের পূর্বে যত বেশী আগাম সংবাদ পাওয়া গিয়াছে, তত সংবাদ আর কোন পয়গম্বররের জীবন ইতিহাসে নাই। বরং সকল উলুল আজম পয়গম্বর (আঃ)-ই দয়াল নবী (সাঃ) এর আগমনের পূর্বে তাহার শ্রেষ্ঠত্ব ও বিশাল কর্মকান্ড সম্পর্কে আগাম সংবাদ প্রদান করিয়াছেন।
পূর্ববর্তী ধর্মীয় আসমানী কিতাব সমূহে যেমন তাওরাত, যবুর, ইঞ্জিলে রাসূলে পাক (সাঃ) এর আগমন সংবাদ মিলে; তেমনি পাওয়া যায় ‘‘বেদ-পুরানে” বা বৌদ্ধদিগের ধর্মগ্রন্থ দিবা নিকায়া-য়” অথবা পার্শী জাতীয় ধর্মগ্রন্থ “জিন্দাবেস্তা বা দসাতিরে”।
রাসূলে পাক (সাঃ) সম্পর্কে উল্লেখিত কিতাব সমূহে যে সকল পূর্বাভাস সন্নিবেশিত হইয়াছে, তাহার বিস্তারিত আলোচনায় আমি যাইতেছি না-শুধু বলিতেছি যে, দুনিয়ায় আগমনের পূর্বের উল্লেখিত ভবিষ্যৎদ্বাণী সমূহ রাসূলে পাক (সাঃ) এর শ্রেষ্ঠত্বেরই ইংগিতবাহক।
তেমনি নবুয়তির দফতর শেষ হওয়ার পরে হাজার বছরের মধ্যে কোন ওলী- আল্লাহর জীবনেই এত বেশী জন্মপূর্ব আগাম সংবাদ সন্নিবিষ্ট হয় নাই, যেমন হইয়াছে হযরত মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ছাহেবের জীবনে। উক্ত সমস্ত পূর্বাভাসই যে মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) শ্রেষ্ঠত্বের ইংগিত বাহক, তাহা আর উল্লেখের দাবী রাখে না।
খোদাপ্রাপ্তি জ্ঞানের আলোকে শাহ্সূফী হযরত ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নসিহত-৮ এর “মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ও খাজা বাকীবিল্লাহ (রঃ)” কিতাব হতে তুলে ধরা হয়েছে।
→ নসিহত: মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ও খাজা বাকীবিল্লাহ (রঃ) এর সব গুলো অধ্যায়
আরো পড়ুন:
→ পীরের প্রতি মুরিদের আদব সর্ম্পকে মোজাদ্দেদ আলফেছানী রা: এর উপদেশ