হোমপেজ ইলমে মারেফত নিরাকারে যিনি আল্লাহ- সাকারে তিনিই মুহাম্মদ।

নিরাকারে যিনি আল্লাহ- সাকারে তিনিই মুহাম্মদ।

1398

নিরাকারে যিনি আল্লাহ- সাকারে তিনিই মুহাম্মদ।

হজরত আলী (আলাইহিস সালাম) বলেন- ”আমি নিরাকার খোদার ইবাদত করি না।” প্রশ্ন হতে পারে, তাহলে তিনি কার ইবাদত করেন? নবিজী বলেন- “যে আমাকে দেখলো, সে আল্লাহকেই দেখলো।” কথার রহস্য কী? শেখ হাসিনা যদি বলেন- ‘যে আমাকে দেখলো, সে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকেই দেখলো।’ কথা কিন্তু সত্য। কারণ শেখ হাসিনা-ই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী! তাহলে নবিজীর বাণী- ”যে আমাকে দেখলো, সে আল্লাহকেই দেখলো!” তাহলে এর মানেটা কি দাড়াচ্ছে, ”আমিই আল্লাহ”।

নিরাকারে যিনি আল্লাহ, আকারে তিনিই ‘মুহাম্মদ”। তাই হজরত আলী নিরাকার আল্লাহর ইবাদতে যতটা না আগ্রহী, সাকার আল্লাহ মুহাম্মদ সাঃ এর গোলামী করতে তার চেয়েও বেশী আগ্রহী। তাই নবিজী যখন আলীর উরুতে ঘুমিয়েছিলেন আসরের নামাজের সময় চলে গেলো, নামাজ পড়লেন না, নবিজির ঘুম ভাঙলেন না। কারণ সাকার খোদা তো উরুতেই আছেন।

সুরা নিসা’র ১৫০/১৫১ নং আয়াতে বলা হয়েছে ”যারা আল্লাহ এবং তার রাসুলকে পৃথক জানে, তারা কাফের।”
নজরুল বলেন- “আহমাদের মিমের পর্দা উঠায়ে দেখো মন, আহাদ সেথায় বিরাজ করেন হেরে গুণিজন!”

‘আহমাদ’ নবিজীর একটি নাম। ‘আহাদ’ আল্লাহর একটি নাম। ‘আহমাদ’ হতে ”মিম’ বাদ দিলে ‘আহাদ’ হয়ে যায়। মানে- আহাদ-ই এসেছেন ‘আহমাদ’ সেজে, কেবল মিমের একটি পর্দা দিয়ে আবৃত হয়ে।

আবু জাহেল মার্কা লোকেরা দেখেছে ‘তিনি আব্দুল্লাহর পুত্র মুহাম্মদ’, তিনি বিয়ে, সংসার, পেশাব, পায়খানা, ঘুম গোসল ইত্যাদি করেছেন! তিনি আমাদের মত একজন মানুষ ছিলেন! কিন্তু অন্ধের দলেরা মিমের পর্দাটি সরিয়ে খোদাকে দেখতে পায়নি। আবু জাহেলের বংশধর এখোনো কি আছে না? যাদের দাড়ি টুপি, পাগড়ী, নামাজ রোজা সবই আছে। শুধু নেই ঈমান।

– হাফেজ তৌসিফ হোসাইন