পঞ্চপ্রেম এবং পঞ্চরস
ঈশ্বর পঞ্চপ্রেমে এই বিশ্ব বহ্ম্রান্ড সৃষ্টি করে এই পঞ্চ প্রেমের মাধ্যমেই তাঁর সৃষ্টিকূলকে রক্ষা করে চলছেন। আর এই পঞ্চপ্রেম হলঃ সখ্য, শান্ত, দাস্য, বাৎসল্য ও মধুর প্রেম।
বন্ধুর সাথে বন্ধুর প্রেম কে বলা হয় সখ্য প্রেম। আর পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের যে ভালবাসা, তা হল শান্ত প্রেম। দাস্য প্রেম হল প্রভুর প্রতি বা মালিকের প্রতি দাসের বা গোলামের পরস্পর ভালবাসা। বাৎসল্য হল সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার যে মায়া মহব্বত বা স্নেহ ভালবাসা। আর মধুর প্রেম সংজ্ঞাহীন। মধুর প্রেম সম্পর্কে বলে বুঝানো সম্ভব নয়। আমি শুধু মধুর প্রেম সম্পর্কে ধারনা দিলাম। আর মধুর প্রেম হল একটি ছেলের সাথে একটি মেয়ের ভালবাসা, উদাহরণ স্বরূপ বলা চলে স্বামী-স্ত্রীর পরস্পর প্রেম ভালবাসা।
আর এই পঞ্চপ্রমের মধ্যে মধুর প্রেমই সর্বশ্রেষ্ঠ প্রেম। তবে এই পঞ্চপ্রেমের পঞ্চভাগীদার থাকলেও দয়ালকে বা প্রভুকে বা গুরুকে এই পঞ্চপ্রেমেই আরাধনা করতে হবে। তাই প্রকৃত বৈষ্ণবগণ শ্রী কৃষ্ণকে কখনো বৎসরূপে, কখনো দাসীরূপে, কখনো শান্তসমাহিত স্নিগ্ধতার মাধ্যমে, আবার কখনো কোন্তারূপে মধুর রসের মাধ্যমে কৃষ্ণকে উপলব্ধি করেছেন।
বিঃদ্রঃ প্রকৃত বৈষ্ণবগণ এই পঞ্চপ্রেমকেই পঞ্চরস বলে অবহিত করেছেন। তাদের এই পঞ্চরস কিছু ভ্রান্ত বাউল মতবাদের অনুসারীদের পঞ্চরস অর্থাৎ সরল চন্দ্র, গরল চন্দ্র, রোহানী চন্দ্র, ধারা চন্দ্র, আদি চন্দ্র ইত্যাতি বা মল, মূত্র, রজঃ বীর্য ইত্যাদি থেকে পৃথিক।
লেখাঃ DM Rahat